ঢাকা ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারার তীরে উদ্ধারকৃত মস্তকবিহীন লাশের দাফন সম্পন্ন  গ্রাহক সেজে সাভার বিআরটিএ কার্যালয়ে দুনীতি দমন কমিশন দুদক অফিসারের অভিযান সাউন্ড থেরাপির উপকারীতা সত্যিই চমকে যাওয়ার মতোই বেক্সিমকো শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ মেংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের নির্বাচন বানচালে সক্রিয় আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন হুমকি দেওয়া বিমানের সেই ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে সুখবর কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ০২ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আটক মোংলায় জমি জমার বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৩ কালিয়াকৈরে উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী কারাগারে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৪১ ৫০০০.০ বার পাঠক

রিপোর্টার নাটোর ॥
গৃহকর্মী শ্যামলী খাতুনকে(১২) শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের স্ত্রী সুমি বেগমকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন নাটোরের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে নাটোরের একটি আদালতে হাজির করলে সুমি বেগমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় নাটোরের পাইকের দোল গ্রাম থেকে সুমি বেগম ও তার মা দিলারা বেগমকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদশেষে রাত ১১টার দিকে ভুক্তভোগীর মায়ের করা অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা রুজু করে পুলিশ। গৃহকর্মী শ্যামলী খাতুন নাটোর সদর উপজেলার পাইকের দোল গ্রামের মঞ্জিল হোসেনের মেয়ে।

নাটোর থানা সূত্রে জানা যায়, অভাবী শ্যামলী তিন বছর আগে ঢাকায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই খন্দকার আতিকুর রহমানের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজে যোগদান করে। কাজের বিনিময়ে শ্যামলীকে প্রতিমাসে ১২০০ টাকা করে প্রথম ৮ মাস বেতন দেওয়া হয়। পরে তাকে আর কোন বেতন দেওয়া হয়নি। উল্টো বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে খুন্তির গরম ছ্যাঁকা দেওয়া ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন এসআই খন্দকার আতিকুর রহমানের স্ত্রী সুমি বেগম।

ভুক্তভোগী শ্যামলী ও তার পরিবারের দাবি, তবে ভুক্তভোগী জানান, এসআই খন্দকার আতিকুর রহমান ওই কিশোরীকে মা বলে সম্বোধন করতেন এবং ভালো ব্যবহার করতেন। শ্যামলীকে নির্যাতনের কারণে তিনি প্রায় তার স্ত্রী বকাবকি করতেন। তবে নির্যাতন শুধু সুমি বেগম করতেন বলে জানায় শ্যামলী। অধিকাংশ সময় পুলিশ কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে নির্যাতন চালানো হতো।

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. তারেক জুবায়ের জানান, গ্রামবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ পাইকোরদোল গ্রামের একটি বাড়ী থেকে অভিযুক্ত সুমিকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওই কিশোরীর মায়ের মামলা নেওয়া হয়। এখন পুলিশ অভিযোগ তন্দ করবে। আইন সবার জন্য সমান। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী কারাগারে

আপডেট টাইম : ০৯:১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

রিপোর্টার নাটোর ॥
গৃহকর্মী শ্যামলী খাতুনকে(১২) শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের স্ত্রী সুমি বেগমকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন নাটোরের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে নাটোরের একটি আদালতে হাজির করলে সুমি বেগমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় নাটোরের পাইকের দোল গ্রাম থেকে সুমি বেগম ও তার মা দিলারা বেগমকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদশেষে রাত ১১টার দিকে ভুক্তভোগীর মায়ের করা অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা রুজু করে পুলিশ। গৃহকর্মী শ্যামলী খাতুন নাটোর সদর উপজেলার পাইকের দোল গ্রামের মঞ্জিল হোসেনের মেয়ে।

নাটোর থানা সূত্রে জানা যায়, অভাবী শ্যামলী তিন বছর আগে ঢাকায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই খন্দকার আতিকুর রহমানের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজে যোগদান করে। কাজের বিনিময়ে শ্যামলীকে প্রতিমাসে ১২০০ টাকা করে প্রথম ৮ মাস বেতন দেওয়া হয়। পরে তাকে আর কোন বেতন দেওয়া হয়নি। উল্টো বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে খুন্তির গরম ছ্যাঁকা দেওয়া ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন এসআই খন্দকার আতিকুর রহমানের স্ত্রী সুমি বেগম।

ভুক্তভোগী শ্যামলী ও তার পরিবারের দাবি, তবে ভুক্তভোগী জানান, এসআই খন্দকার আতিকুর রহমান ওই কিশোরীকে মা বলে সম্বোধন করতেন এবং ভালো ব্যবহার করতেন। শ্যামলীকে নির্যাতনের কারণে তিনি প্রায় তার স্ত্রী বকাবকি করতেন। তবে নির্যাতন শুধু সুমি বেগম করতেন বলে জানায় শ্যামলী। অধিকাংশ সময় পুলিশ কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে নির্যাতন চালানো হতো।

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. তারেক জুবায়ের জানান, গ্রামবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ পাইকোরদোল গ্রামের একটি বাড়ী থেকে অভিযুক্ত সুমিকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওই কিশোরীর মায়ের মামলা নেওয়া হয়। এখন পুলিশ অভিযোগ তন্দ করবে। আইন সবার জন্য সমান। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।