ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নান্দাইলে মরহুম আব্দুল জলিল শিক্ষা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফি গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর এলাকা থেকে অজ্ঞতনামা (২৬) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ দুই জামায়াতকর্মী হত্যার মূলহোতা মানিক শতকোটি টাকার মালিক নজরুল ইসলাম মানিক মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: প্রধান আসামি হিটু শেখ ৭ দিনের রিমান্ডে ভাঙ্গুড়ায় মোড়ক জাত করে নিম্নমানের ঘি বাজারে সয়লাব ঐতিহ্যবাহী কালিয়াকৈর প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ২০২৫ অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, অভিযুক্ত ধর্ষককে গণ ধোলাই পবিত্র মাহে রমজানে নগরজুড়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ এর ডমিনেশন পেট্রোলিং ও আইনশৃঙ্খলা তদারকি গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে হেরোইনহ মোহাম্মদ আলী নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে কাশিমপুর থানা পুলিশ বিএমপি গোয়েন্দা শাখার অভিযানে ৫০০ গ্রাম গাঁজা সহ আটক ০২ জন।

নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী কারাগারে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৪৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

রিপোর্টার নাটোর ॥
গৃহকর্মী শ্যামলী খাতুনকে(১২) শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের স্ত্রী সুমি বেগমকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন নাটোরের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে নাটোরের একটি আদালতে হাজির করলে সুমি বেগমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় নাটোরের পাইকের দোল গ্রাম থেকে সুমি বেগম ও তার মা দিলারা বেগমকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদশেষে রাত ১১টার দিকে ভুক্তভোগীর মায়ের করা অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা রুজু করে পুলিশ। গৃহকর্মী শ্যামলী খাতুন নাটোর সদর উপজেলার পাইকের দোল গ্রামের মঞ্জিল হোসেনের মেয়ে।

নাটোর থানা সূত্রে জানা যায়, অভাবী শ্যামলী তিন বছর আগে ঢাকায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই খন্দকার আতিকুর রহমানের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজে যোগদান করে। কাজের বিনিময়ে শ্যামলীকে প্রতিমাসে ১২০০ টাকা করে প্রথম ৮ মাস বেতন দেওয়া হয়। পরে তাকে আর কোন বেতন দেওয়া হয়নি। উল্টো বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে খুন্তির গরম ছ্যাঁকা দেওয়া ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন এসআই খন্দকার আতিকুর রহমানের স্ত্রী সুমি বেগম।

ভুক্তভোগী শ্যামলী ও তার পরিবারের দাবি, তবে ভুক্তভোগী জানান, এসআই খন্দকার আতিকুর রহমান ওই কিশোরীকে মা বলে সম্বোধন করতেন এবং ভালো ব্যবহার করতেন। শ্যামলীকে নির্যাতনের কারণে তিনি প্রায় তার স্ত্রী বকাবকি করতেন। তবে নির্যাতন শুধু সুমি বেগম করতেন বলে জানায় শ্যামলী। অধিকাংশ সময় পুলিশ কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে নির্যাতন চালানো হতো।

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. তারেক জুবায়ের জানান, গ্রামবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ পাইকোরদোল গ্রামের একটি বাড়ী থেকে অভিযুক্ত সুমিকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওই কিশোরীর মায়ের মামলা নেওয়া হয়। এখন পুলিশ অভিযোগ তন্দ করবে। আইন সবার জন্য সমান। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী কারাগারে

আপডেট টাইম : ০৯:১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

রিপোর্টার নাটোর ॥
গৃহকর্মী শ্যামলী খাতুনকে(১২) শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের স্ত্রী সুমি বেগমকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন নাটোরের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে নাটোরের একটি আদালতে হাজির করলে সুমি বেগমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় নাটোরের পাইকের দোল গ্রাম থেকে সুমি বেগম ও তার মা দিলারা বেগমকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদশেষে রাত ১১টার দিকে ভুক্তভোগীর মায়ের করা অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা রুজু করে পুলিশ। গৃহকর্মী শ্যামলী খাতুন নাটোর সদর উপজেলার পাইকের দোল গ্রামের মঞ্জিল হোসেনের মেয়ে।

নাটোর থানা সূত্রে জানা যায়, অভাবী শ্যামলী তিন বছর আগে ঢাকায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই খন্দকার আতিকুর রহমানের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজে যোগদান করে। কাজের বিনিময়ে শ্যামলীকে প্রতিমাসে ১২০০ টাকা করে প্রথম ৮ মাস বেতন দেওয়া হয়। পরে তাকে আর কোন বেতন দেওয়া হয়নি। উল্টো বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে খুন্তির গরম ছ্যাঁকা দেওয়া ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন এসআই খন্দকার আতিকুর রহমানের স্ত্রী সুমি বেগম।

ভুক্তভোগী শ্যামলী ও তার পরিবারের দাবি, তবে ভুক্তভোগী জানান, এসআই খন্দকার আতিকুর রহমান ওই কিশোরীকে মা বলে সম্বোধন করতেন এবং ভালো ব্যবহার করতেন। শ্যামলীকে নির্যাতনের কারণে তিনি প্রায় তার স্ত্রী বকাবকি করতেন। তবে নির্যাতন শুধু সুমি বেগম করতেন বলে জানায় শ্যামলী। অধিকাংশ সময় পুলিশ কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে নির্যাতন চালানো হতো।

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. তারেক জুবায়ের জানান, গ্রামবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ পাইকোরদোল গ্রামের একটি বাড়ী থেকে অভিযুক্ত সুমিকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওই কিশোরীর মায়ের মামলা নেওয়া হয়। এখন পুলিশ অভিযোগ তন্দ করবে। আইন সবার জন্য সমান। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।