ঢাকা ০১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা

নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী কারাগারে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২২৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

রিপোর্টার নাটোর ॥
গৃহকর্মী শ্যামলী খাতুনকে(১২) শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের স্ত্রী সুমি বেগমকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন নাটোরের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে নাটোরের একটি আদালতে হাজির করলে সুমি বেগমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় নাটোরের পাইকের দোল গ্রাম থেকে সুমি বেগম ও তার মা দিলারা বেগমকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদশেষে রাত ১১টার দিকে ভুক্তভোগীর মায়ের করা অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা রুজু করে পুলিশ। গৃহকর্মী শ্যামলী খাতুন নাটোর সদর উপজেলার পাইকের দোল গ্রামের মঞ্জিল হোসেনের মেয়ে।

নাটোর থানা সূত্রে জানা যায়, অভাবী শ্যামলী তিন বছর আগে ঢাকায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই খন্দকার আতিকুর রহমানের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজে যোগদান করে। কাজের বিনিময়ে শ্যামলীকে প্রতিমাসে ১২০০ টাকা করে প্রথম ৮ মাস বেতন দেওয়া হয়। পরে তাকে আর কোন বেতন দেওয়া হয়নি। উল্টো বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে খুন্তির গরম ছ্যাঁকা দেওয়া ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন এসআই খন্দকার আতিকুর রহমানের স্ত্রী সুমি বেগম।

ভুক্তভোগী শ্যামলী ও তার পরিবারের দাবি, তবে ভুক্তভোগী জানান, এসআই খন্দকার আতিকুর রহমান ওই কিশোরীকে মা বলে সম্বোধন করতেন এবং ভালো ব্যবহার করতেন। শ্যামলীকে নির্যাতনের কারণে তিনি প্রায় তার স্ত্রী বকাবকি করতেন। তবে নির্যাতন শুধু সুমি বেগম করতেন বলে জানায় শ্যামলী। অধিকাংশ সময় পুলিশ কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে নির্যাতন চালানো হতো।

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. তারেক জুবায়ের জানান, গ্রামবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ পাইকোরদোল গ্রামের একটি বাড়ী থেকে অভিযুক্ত সুমিকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওই কিশোরীর মায়ের মামলা নেওয়া হয়। এখন পুলিশ অভিযোগ তন্দ করবে। আইন সবার জন্য সমান। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী কারাগারে

আপডেট টাইম : ০৯:১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

রিপোর্টার নাটোর ॥
গৃহকর্মী শ্যামলী খাতুনকে(১২) শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের স্ত্রী সুমি বেগমকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন নাটোরের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে নাটোরের একটি আদালতে হাজির করলে সুমি বেগমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় নাটোরের পাইকের দোল গ্রাম থেকে সুমি বেগম ও তার মা দিলারা বেগমকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদশেষে রাত ১১টার দিকে ভুক্তভোগীর মায়ের করা অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা রুজু করে পুলিশ। গৃহকর্মী শ্যামলী খাতুন নাটোর সদর উপজেলার পাইকের দোল গ্রামের মঞ্জিল হোসেনের মেয়ে।

নাটোর থানা সূত্রে জানা যায়, অভাবী শ্যামলী তিন বছর আগে ঢাকায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই খন্দকার আতিকুর রহমানের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজে যোগদান করে। কাজের বিনিময়ে শ্যামলীকে প্রতিমাসে ১২০০ টাকা করে প্রথম ৮ মাস বেতন দেওয়া হয়। পরে তাকে আর কোন বেতন দেওয়া হয়নি। উল্টো বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে খুন্তির গরম ছ্যাঁকা দেওয়া ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন এসআই খন্দকার আতিকুর রহমানের স্ত্রী সুমি বেগম।

ভুক্তভোগী শ্যামলী ও তার পরিবারের দাবি, তবে ভুক্তভোগী জানান, এসআই খন্দকার আতিকুর রহমান ওই কিশোরীকে মা বলে সম্বোধন করতেন এবং ভালো ব্যবহার করতেন। শ্যামলীকে নির্যাতনের কারণে তিনি প্রায় তার স্ত্রী বকাবকি করতেন। তবে নির্যাতন শুধু সুমি বেগম করতেন বলে জানায় শ্যামলী। অধিকাংশ সময় পুলিশ কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে নির্যাতন চালানো হতো।

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. তারেক জুবায়ের জানান, গ্রামবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ পাইকোরদোল গ্রামের একটি বাড়ী থেকে অভিযুক্ত সুমিকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওই কিশোরীর মায়ের মামলা নেওয়া হয়। এখন পুলিশ অভিযোগ তন্দ করবে। আইন সবার জন্য সমান। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।