ঢাকা ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম

বাঘায় আবারও পদ্মার নদীর পানি বৃদ্ধি, ভাঙনে বসতভিটা ও তলিয়েযাচ্ছে আবাদি জমি

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৯:৪২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৩২ ৫০০০.০ বার পাঠক

বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধি।।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। একইসঙ্গে অব্যাহত রয়েছে নদীপাড়ের ভাঙনও। এতে বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের বহু আবাদি জমি ও বসতভিটা একের পর এক তলিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ও পড়েছে হুমকির মুখে। এরই মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের একটি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক নদীভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সোমবার(৬আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পদ্মার ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। গত কয়েকদিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১১ হাজার ২৮৪টি বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মার বাঘা পয়েন্টে পানি চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় দফায় বাড়তে শুরু করেছে। ফলে স্রোতের তীব্রতা বেড়েছে। এতে চকরাজাপুর ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলের গ্রাম এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা কয়েকগুণ বেড়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হলে তারা জিও ব্যাগ ফেলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও গ্রাম রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন,বর্তমানে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পদ্মার ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে। এরইমধ্যে ইউনিয়নের একটি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক পদ্মার ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে। পদ্মার পানি বেড়ে এখন বিপদসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। পানি বাড়ার কারণে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। তিনি নিজে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
তিনি জানান, ভাঙনের বিষয়টি রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হয়েছে। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে গ্রাম রক্ষা করার চেষ্টা করছে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশল বিভাগের শাখা কর্মকর্তা মাহাবুব রাসেল গণমাধ্যমকর্মীদের জানান,ভাঙনের কারণে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ২০০ মিটার এলাকায় ১১ হাজার ২৮৪টি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে কাজ অব্যাহত রয়েছে।

হাবিল উদ্দিন\01716824626

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাঘায় আবারও পদ্মার নদীর পানি বৃদ্ধি, ভাঙনে বসতভিটা ও তলিয়েযাচ্ছে আবাদি জমি

আপডেট টাইম : ০৯:০৯:৪২ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধি।।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। একইসঙ্গে অব্যাহত রয়েছে নদীপাড়ের ভাঙনও। এতে বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের বহু আবাদি জমি ও বসতভিটা একের পর এক তলিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ও পড়েছে হুমকির মুখে। এরই মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের একটি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক নদীভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সোমবার(৬আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পদ্মার ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। গত কয়েকদিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১১ হাজার ২৮৪টি বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মার বাঘা পয়েন্টে পানি চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় দফায় বাড়তে শুরু করেছে। ফলে স্রোতের তীব্রতা বেড়েছে। এতে চকরাজাপুর ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলের গ্রাম এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা কয়েকগুণ বেড়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হলে তারা জিও ব্যাগ ফেলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও গ্রাম রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন,বর্তমানে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পদ্মার ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে। এরইমধ্যে ইউনিয়নের একটি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক পদ্মার ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে। পদ্মার পানি বেড়ে এখন বিপদসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। পানি বাড়ার কারণে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। তিনি নিজে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
তিনি জানান, ভাঙনের বিষয়টি রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হয়েছে। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে গ্রাম রক্ষা করার চেষ্টা করছে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশল বিভাগের শাখা কর্মকর্তা মাহাবুব রাসেল গণমাধ্যমকর্মীদের জানান,ভাঙনের কারণে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ২০০ মিটার এলাকায় ১১ হাজার ২৮৪টি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে কাজ অব্যাহত রয়েছে।

হাবিল উদ্দিন\01716824626