- মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,
- জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর।
দিনাজপুরের ফুরবাড়ি উপজেলার উত্তর লক্ষিপুর গ্রামে জমির আইল দিয়ে চলাচলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশিয় অস্ত্রের আঁঘাতে মা ছেলেসহ তিনজন চাতাল শ্রমিক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে ওই গ্রামের এক প্রভাবশালি পরিবারের সদস্যরা। গুরুতর আহত পিয়ারা বেগম, পিয়ারুল ইসলাম ও পিয়ারুলের মামাত ভাই বাবু মন্ডল আহত হয়েছে। এদের মধ্য পিয়ারুল ও বাবু মন্ডলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রতিবেশিরা রাতেই তাদের দ্রুত ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছেন । এ বিষয়ে আজিজার রহমানের ছেলে শাহিনুর রহমান বাদী হয়ে ফুলবাড়ি থানায় জাকারিয়া জাকির, শাহানুর ইসলাম পিতা মোঃ তোফাজ্জল হোসেন ও তোফাজ্জল হোসেন, পিতা-অজ্ঞাত সহ ৫ জনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ করেছেন।
থানার এজাহার সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, ১৫ আগস্ট রাত্রী সাড়ে নয়টার পর বাদীর ভাই চাতাল শ্রমিক পিয়ারুল ইসলাম বিবাদীদের জমির আইল দিয়ে মাঠে আলোই মাছ শিকারে যায়। বিষয়টি ২ নং বিবাদী পিয়ারুলের যাওয়া দেখতে পেয়ে অকথ্য অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় পিয়ারুলের মা পিয়ারা বেগম (৫৫) বাড়ি থেকে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করলে বিবাদীরা তাঁকে মারপিট করে আহত করে। মায়ের উপর আক্রমণ করে আহত করেছে এমন ঘটনা শুনতে পেয়ে ছেলে পিয়ারুল ও পিয়ারুলের মামাত ভাই বাবু মন্ডল এবং বোন ফাতেমা বেগম এগিয়ে আসে। এ সময় বিবাদীরা একযোগে আক্রমন করে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে লোহার শাবল দিয়ে পিয়ারুল ও বাবু মন্ডলের মাথায় ও শরীরে আঁঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। মারামারির একপর্যায়ে বিবাদী তোফাজ্জলের স্ত্রী শাহানাজ বেগম (৪২) ও শাহানুরের স্ত্রী গোলাপী বেগম(২২) বাদীর বোন ফাতেমা বেগমের গলার ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ও ৩ আনা ওজনের কানের একটি স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নিয়ে মারডাং করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। গ্রামের সাইফুলের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৪০) মৃত: আসাদ আলীর ছেলে মোজাহার আলি (৭০) সহ অনেকেই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিবাদী পক্ষরা প্রভাবশালী। তারা মামলাবাজ ও প্রকাশ্যে দেশিয় অস্ত্রনিয়ে চলাফেরা করে। তাই গ্রামের কোন লোকই তাদের ভয়ে মুখ খুলতে চায় না। এ ছাড়া বিবাদী জাকারিয়া একজন উকিল, সে কথায় কথায় গ্রামের লোকজনকে কেস/মামলার হুমকি দেন তাই গ্রামের লোকজন তাদের পরিবারের সঙ্গে মেলামেশা করেনা।
প্রতিবেশীরা জানান চাতাল শ্রমিক পিয়ারুল ও বাবু মন্ডলের অবস্থা আসংখ্যা জনক। তারা ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশ্রাফ ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।।