ঢাকা ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বিদেশি নাগরিকদের অপহরণ থেকে উদ্ধার: খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি জনাব মো. রেজাউল হক, পিপিএম মহোদয়ের দৃষ্টান্তমূলক অভিযান” আজমিরীগঞ্জে  নোয়াগড় পঞ্চায়েত সমিতির টাকার হিসাব কে কেন্দ্র করে দুই গুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত শতাধিক। উভয় পক্ষে দোকান লুটপাট ও ভাংচুর।  প্রবাস থেকে ‘নাগরিক টিভি’র নামে ডিজিটাল চাঁদাবাজি # টিটো-সাকিব সিন্ডিকেটের ভয়ঙ্কর নেটওয়ার্ক সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাইলেন জামায়াতের আমির শত কোটির তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ আগেই পদত্যাগের আবেদন করেছিলেন মোয়াজ্জেম: উপদেষ্টা আসিফ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাঁস চুরির অভিযোগে মারধর ঘটনায় যুবকের রহস্য জনক মৃত্যু । দেশে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন হচ্ছে শিগগিরই হবিগঞ্জে তুমুল সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক ভারত পাকিস্তান কি যুদ্ধে জড়াবে? চট্টগ্রামে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপনের দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে মতবিনিময় শনিবার

তুমিই আমাদের বাংলাদেশ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২১
  • / ৩১৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
  • আজ জাতীয় শোক দিবস

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট  ॥

যতকাল রবে পদ্মা যমুনা, গৌরী মেঘনা বহমান/ ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।/ দিকে দিকে আজ অশ্রæগঙ্গা/ রক্তগঙ্গা বহমান/ নাই নাই ভয় হবে হবে জয়/ জয় শেখ মুজিবুর রহমান।”

শোক দিবসে সারাদেশের পথে-প্রান্তরে লাখো কোটি কৃতজ্ঞ বাঙালীর কণ্ঠে আজ ধ্বনিত হবে প্রখ্যাত কবি অন্নদাশঙ্কর রায়ের ‘জয় মুজিবুর রহমান’ নামক কবিতায় জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এই পঙক্তিমালা।

বাংলার ইতিহাসে আজ সেই কালো দিন। ১৫ আগস্ট। জাতীয় শোকের দিন। বাংলার আকাশ-বাতাস আর প্রকৃতিও অশ্রুসিক্ত হওয়ার দিন। কেননা, পঁচাত্তরের এই দিনে আগস্ট আর শ্রাবণ মিলেমিশে একাকার হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রুর প্লাবনে। বৃষ্টিঝরা শ্রাবণের অন্তিম দিনে সেদিন বৃষ্টি নয়, ঝরেছিল রক্ত।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সুবেহ সাদিকের সময় যখন ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরে নিজ বাসভবনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে বুলেটের বৃষ্টিতে ঘাতকরা ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল, তখন যে বৃষ্টি ঝরছিল, তা যেন ছিল প্রকৃতিরই অশ্রুপাত। ভেজা বাতাস কেঁদেছে সমগ্র বাংলায়। ঘাতকদের উদ্যত অস্ত্রের সামনে ভীতসন্ত্রস্ত বাংলাদেশ বিহবাল হয়ে পড়েছিল শোকে আর অভাবিত ঘটনার আকস্মিকতায়। কাল থেকে কালান্তরে জ্বলবে এ শোকের আগুন। তাই ১৫ আগস্ট শোকার্দ্র বাণী পাঠের দিন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস।

সেদিন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বাসগৃহে, বত্রিশ নম্বরের সেই বাড়িতে, আমাদের ইতিহাস তীর্থে, পতিত হয়েছিলেন কেবল তাঁর নশ্বর শরীর নিয়ে। কিন্তু তাঁর অবিনশ্বর চেতনা ও আদর্শ ছিল মৃত্যুঞ্জয়ী। ঘাতকের সাধ্য ছিল না ইতিহাসের সেই মহানায়কের অস্তিত্বকে বিনাশ করে। বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হলেও তাঁর মৃত্যু নেই। তিনি চিরঞ্জীব। কেননা, একটি জাতিরাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতি তিনিই। যতদিন এ রাষ্ট্র থাকবে ততদিন অমর তিনি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তুমিই আমাদের বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ০৬:০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২১
  • আজ জাতীয় শোক দিবস

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট  ॥

যতকাল রবে পদ্মা যমুনা, গৌরী মেঘনা বহমান/ ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।/ দিকে দিকে আজ অশ্রæগঙ্গা/ রক্তগঙ্গা বহমান/ নাই নাই ভয় হবে হবে জয়/ জয় শেখ মুজিবুর রহমান।”

শোক দিবসে সারাদেশের পথে-প্রান্তরে লাখো কোটি কৃতজ্ঞ বাঙালীর কণ্ঠে আজ ধ্বনিত হবে প্রখ্যাত কবি অন্নদাশঙ্কর রায়ের ‘জয় মুজিবুর রহমান’ নামক কবিতায় জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এই পঙক্তিমালা।

বাংলার ইতিহাসে আজ সেই কালো দিন। ১৫ আগস্ট। জাতীয় শোকের দিন। বাংলার আকাশ-বাতাস আর প্রকৃতিও অশ্রুসিক্ত হওয়ার দিন। কেননা, পঁচাত্তরের এই দিনে আগস্ট আর শ্রাবণ মিলেমিশে একাকার হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রুর প্লাবনে। বৃষ্টিঝরা শ্রাবণের অন্তিম দিনে সেদিন বৃষ্টি নয়, ঝরেছিল রক্ত।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সুবেহ সাদিকের সময় যখন ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরে নিজ বাসভবনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে বুলেটের বৃষ্টিতে ঘাতকরা ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল, তখন যে বৃষ্টি ঝরছিল, তা যেন ছিল প্রকৃতিরই অশ্রুপাত। ভেজা বাতাস কেঁদেছে সমগ্র বাংলায়। ঘাতকদের উদ্যত অস্ত্রের সামনে ভীতসন্ত্রস্ত বাংলাদেশ বিহবাল হয়ে পড়েছিল শোকে আর অভাবিত ঘটনার আকস্মিকতায়। কাল থেকে কালান্তরে জ্বলবে এ শোকের আগুন। তাই ১৫ আগস্ট শোকার্দ্র বাণী পাঠের দিন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস।

সেদিন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বাসগৃহে, বত্রিশ নম্বরের সেই বাড়িতে, আমাদের ইতিহাস তীর্থে, পতিত হয়েছিলেন কেবল তাঁর নশ্বর শরীর নিয়ে। কিন্তু তাঁর অবিনশ্বর চেতনা ও আদর্শ ছিল মৃত্যুঞ্জয়ী। ঘাতকের সাধ্য ছিল না ইতিহাসের সেই মহানায়কের অস্তিত্বকে বিনাশ করে। বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হলেও তাঁর মৃত্যু নেই। তিনি চিরঞ্জীব। কেননা, একটি জাতিরাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতি তিনিই। যতদিন এ রাষ্ট্র থাকবে ততদিন অমর তিনি।