ঢাকা ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ নোয়াগড় গ্রামে কোটি টাকার হিসাব নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত।। সেনাবাহিনীর হাতে ১১ জন আটক ভৈরবে রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে মাদক দ্রব্য গাঁজাসহ হিজরা গ্রেফতার পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার সুন্দরবনের খালে কাঁকড়া ধরায় চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ ডাকাত তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স আজমিরীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে একটি মাটি ভর্তি ট্রাকটর আটক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল রিমান্ডে

গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানাধীর এলাকায়  তাজমহল হসপিটালে আরাফাত ভুল চিকিৎসা এক শিশু  মৃত্যুর অভিযোগ।

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪৬:৫২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ আগস্ট ২০২১
  • / ৩৬২ ৫০০০.০ বার পাঠক

মানসুরা আক্তার কাকলী স্টাফ রিপোর্ট।।।

গাজীপুরের কোনাবাড়ী কলেজ রোড এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভুল অপারেশনে আরাফাত হোসেন (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যুও অভিযোগ উঠেছে।

নিহতের পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, জানা যায়, আরাফাতের বাবা শেখ শাহা আলম, চাচা মাহবুবসহ ৩-৪জন অভিভাবক সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাজমহল হসপিটালে নিয়ে যান আরাফাতকে। সেখানে শিশুকে অনাহারে রেখে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। শিশুকে অজ্ঞান করে অপারেশন করেন ডা. আবুল হোসেন। আধা ঘন্টা অপারেশন করতে সময় লাগার কথা থাকলেও সাড়ে তিনটাও আপরেশন থিয়েটার থেকে কেউ বের না হলে  শিশু আরাফাতের অভিভাবকের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি হসপিটালের কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলেও তারা কিছু জানাতে রাজি হয়নি। রাত সাড়ে আটটার দিকে আরাফাতের জ্ঞান ফিরে না আসার কথা অভিভাবকরা জানতে পারেন। তখন ডা. আবুল হোসেন ও হসপিটাল কর্তৃপক্ষ নানা ছলচাতুরি করে শিশুটির লাশ হসপিটাল থেকে বের করার  চেষ্টা করে। পরে অভিভাবকদের কাছে গিয়ে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় যে, শিশু আরাফাতকে দ্রুত ঢাকার একটি হসপিটালের আইসিওতে ভর্তি করতে হবে। সেই সময় অভিভাবকরা টের পান তাদের আরাফাত আর পৃথিবীতে বেচে নাই। তবু আরাফাতকে নিয়ে রাতেই ধানমন্ডির ১৭ নম্বর এলাকার পিং কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আরাফাত কে আইসিওতে নিয়ে একজন চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। পরে আরাফাতের চাচা মাহবুবকে ডেকে জানান, এই  শিশু সন্ধ্যার দিকেই মারা গেছেন। ওই সময় শিশুর অভিভাবকরা রাত তিনটার দিকে বিকল্প একটি এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে আরাফাতের লাশ নিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর মেট্রো থানার সারদাগঞ্জ গ্রামে নিয়ে আসেন। বুধবার সকালে পারিবারিক কবরস্থানে আরাফাতের নামাজে জানাযা শেষে দাফন করা হয় বলে অভিভাবকরা জানান।

নিহত আরাফাতের চাচা মাহবুব জানান,শহীদ সোহরার্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. আবুল হোসেন আমাদের ফুসলিয়ে তাজমহল হসপিটালে নিয়ে যান। সেখানে অপারেশন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকলেও আরাফাতকে ভুল ইনজেকসন পুস করে অজ্ঞান করে। পরে অপারেশন করার পর আর জ্ঞান ফিরে আসেনি। এসময় তাজমহল  হসপিটাল কর্তৃপক্ষ ও ওই চিকিৎসক  নিজেরা বাচার জন্য রাতেই ঢাকার একটি হাসপাতালে পাঠিয়ে হয়রানি করেন। আমি এ হত্যাকারীদের বিচার চাই।

তাজমহল হসপিটালের ম্যানেজার মেহেদি জানান, ডা. আবুল হোসেন ওই শিশু আরাফাতকে নিয়ে অপারেশন করতে এখানে নিয়ে আসেন। পরে বিকেলের দিকে শিশুকে অজ্ঞান করে অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর শিশুর অবস্থা খারাপ হতে থাকলে ওই চিকিৎসক নিজেই ঢাকার কোন হাসাপাতালে নিয়ে যান। পরের ঘটনাটি জানি না।

এ বিষয়ে শহীদ সোহরার্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এসোসিয়েট প্রফেসর ডা.আবুল হোসেনের সাথে তার মুঠো  ফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানাধীর এলাকায়  তাজমহল হসপিটালে আরাফাত ভুল চিকিৎসা এক শিশু  মৃত্যুর অভিযোগ।

আপডেট টাইম : ০৫:৪৬:৫২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ আগস্ট ২০২১

মানসুরা আক্তার কাকলী স্টাফ রিপোর্ট।।।

গাজীপুরের কোনাবাড়ী কলেজ রোড এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভুল অপারেশনে আরাফাত হোসেন (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যুও অভিযোগ উঠেছে।

নিহতের পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, জানা যায়, আরাফাতের বাবা শেখ শাহা আলম, চাচা মাহবুবসহ ৩-৪জন অভিভাবক সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাজমহল হসপিটালে নিয়ে যান আরাফাতকে। সেখানে শিশুকে অনাহারে রেখে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। শিশুকে অজ্ঞান করে অপারেশন করেন ডা. আবুল হোসেন। আধা ঘন্টা অপারেশন করতে সময় লাগার কথা থাকলেও সাড়ে তিনটাও আপরেশন থিয়েটার থেকে কেউ বের না হলে  শিশু আরাফাতের অভিভাবকের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি হসপিটালের কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলেও তারা কিছু জানাতে রাজি হয়নি। রাত সাড়ে আটটার দিকে আরাফাতের জ্ঞান ফিরে না আসার কথা অভিভাবকরা জানতে পারেন। তখন ডা. আবুল হোসেন ও হসপিটাল কর্তৃপক্ষ নানা ছলচাতুরি করে শিশুটির লাশ হসপিটাল থেকে বের করার  চেষ্টা করে। পরে অভিভাবকদের কাছে গিয়ে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় যে, শিশু আরাফাতকে দ্রুত ঢাকার একটি হসপিটালের আইসিওতে ভর্তি করতে হবে। সেই সময় অভিভাবকরা টের পান তাদের আরাফাত আর পৃথিবীতে বেচে নাই। তবু আরাফাতকে নিয়ে রাতেই ধানমন্ডির ১৭ নম্বর এলাকার পিং কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আরাফাত কে আইসিওতে নিয়ে একজন চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। পরে আরাফাতের চাচা মাহবুবকে ডেকে জানান, এই  শিশু সন্ধ্যার দিকেই মারা গেছেন। ওই সময় শিশুর অভিভাবকরা রাত তিনটার দিকে বিকল্প একটি এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে আরাফাতের লাশ নিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর মেট্রো থানার সারদাগঞ্জ গ্রামে নিয়ে আসেন। বুধবার সকালে পারিবারিক কবরস্থানে আরাফাতের নামাজে জানাযা শেষে দাফন করা হয় বলে অভিভাবকরা জানান।

নিহত আরাফাতের চাচা মাহবুব জানান,শহীদ সোহরার্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. আবুল হোসেন আমাদের ফুসলিয়ে তাজমহল হসপিটালে নিয়ে যান। সেখানে অপারেশন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকলেও আরাফাতকে ভুল ইনজেকসন পুস করে অজ্ঞান করে। পরে অপারেশন করার পর আর জ্ঞান ফিরে আসেনি। এসময় তাজমহল  হসপিটাল কর্তৃপক্ষ ও ওই চিকিৎসক  নিজেরা বাচার জন্য রাতেই ঢাকার একটি হাসপাতালে পাঠিয়ে হয়রানি করেন। আমি এ হত্যাকারীদের বিচার চাই।

তাজমহল হসপিটালের ম্যানেজার মেহেদি জানান, ডা. আবুল হোসেন ওই শিশু আরাফাতকে নিয়ে অপারেশন করতে এখানে নিয়ে আসেন। পরে বিকেলের দিকে শিশুকে অজ্ঞান করে অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর শিশুর অবস্থা খারাপ হতে থাকলে ওই চিকিৎসক নিজেই ঢাকার কোন হাসাপাতালে নিয়ে যান। পরের ঘটনাটি জানি না।

এ বিষয়ে শহীদ সোহরার্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এসোসিয়েট প্রফেসর ডা.আবুল হোসেনের সাথে তার মুঠো  ফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।