ঢাকা ০৯:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন জামালপুরে ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা ময়মনসিংহে আন্তর্জাতিক শব্দদূষণ দিবস উদযাপিত উজিরপুরে সাব রেজিষ্টার মোঃ ইমরান খান এর বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রায়পুরে আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ জামালপুরে বিনা খেসারি-১ এর চাষের উজ্জল সম্ভাবনা

গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানাধীর এলাকায়  তাজমহল হসপিটালে আরাফাত ভুল চিকিৎসা এক শিশু  মৃত্যুর অভিযোগ।

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪৬:৫২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ আগস্ট ২০২১
  • ৩১৪ ০.০০০ বার পাঠক

মানসুরা আক্তার কাকলী স্টাফ রিপোর্ট।।।

গাজীপুরের কোনাবাড়ী কলেজ রোড এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভুল অপারেশনে আরাফাত হোসেন (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যুও অভিযোগ উঠেছে।

নিহতের পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, জানা যায়, আরাফাতের বাবা শেখ শাহা আলম, চাচা মাহবুবসহ ৩-৪জন অভিভাবক সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাজমহল হসপিটালে নিয়ে যান আরাফাতকে। সেখানে শিশুকে অনাহারে রেখে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। শিশুকে অজ্ঞান করে অপারেশন করেন ডা. আবুল হোসেন। আধা ঘন্টা অপারেশন করতে সময় লাগার কথা থাকলেও সাড়ে তিনটাও আপরেশন থিয়েটার থেকে কেউ বের না হলে  শিশু আরাফাতের অভিভাবকের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি হসপিটালের কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলেও তারা কিছু জানাতে রাজি হয়নি। রাত সাড়ে আটটার দিকে আরাফাতের জ্ঞান ফিরে না আসার কথা অভিভাবকরা জানতে পারেন। তখন ডা. আবুল হোসেন ও হসপিটাল কর্তৃপক্ষ নানা ছলচাতুরি করে শিশুটির লাশ হসপিটাল থেকে বের করার  চেষ্টা করে। পরে অভিভাবকদের কাছে গিয়ে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় যে, শিশু আরাফাতকে দ্রুত ঢাকার একটি হসপিটালের আইসিওতে ভর্তি করতে হবে। সেই সময় অভিভাবকরা টের পান তাদের আরাফাত আর পৃথিবীতে বেচে নাই। তবু আরাফাতকে নিয়ে রাতেই ধানমন্ডির ১৭ নম্বর এলাকার পিং কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আরাফাত কে আইসিওতে নিয়ে একজন চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। পরে আরাফাতের চাচা মাহবুবকে ডেকে জানান, এই  শিশু সন্ধ্যার দিকেই মারা গেছেন। ওই সময় শিশুর অভিভাবকরা রাত তিনটার দিকে বিকল্প একটি এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে আরাফাতের লাশ নিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর মেট্রো থানার সারদাগঞ্জ গ্রামে নিয়ে আসেন। বুধবার সকালে পারিবারিক কবরস্থানে আরাফাতের নামাজে জানাযা শেষে দাফন করা হয় বলে অভিভাবকরা জানান।

নিহত আরাফাতের চাচা মাহবুব জানান,শহীদ সোহরার্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. আবুল হোসেন আমাদের ফুসলিয়ে তাজমহল হসপিটালে নিয়ে যান। সেখানে অপারেশন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকলেও আরাফাতকে ভুল ইনজেকসন পুস করে অজ্ঞান করে। পরে অপারেশন করার পর আর জ্ঞান ফিরে আসেনি। এসময় তাজমহল  হসপিটাল কর্তৃপক্ষ ও ওই চিকিৎসক  নিজেরা বাচার জন্য রাতেই ঢাকার একটি হাসপাতালে পাঠিয়ে হয়রানি করেন। আমি এ হত্যাকারীদের বিচার চাই।

তাজমহল হসপিটালের ম্যানেজার মেহেদি জানান, ডা. আবুল হোসেন ওই শিশু আরাফাতকে নিয়ে অপারেশন করতে এখানে নিয়ে আসেন। পরে বিকেলের দিকে শিশুকে অজ্ঞান করে অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর শিশুর অবস্থা খারাপ হতে থাকলে ওই চিকিৎসক নিজেই ঢাকার কোন হাসাপাতালে নিয়ে যান। পরের ঘটনাটি জানি না।

এ বিষয়ে শহীদ সোহরার্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এসোসিয়েট প্রফেসর ডা.আবুল হোসেনের সাথে তার মুঠো  ফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু

গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানাধীর এলাকায়  তাজমহল হসপিটালে আরাফাত ভুল চিকিৎসা এক শিশু  মৃত্যুর অভিযোগ।

আপডেট টাইম : ০৫:৪৬:৫২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ আগস্ট ২০২১

মানসুরা আক্তার কাকলী স্টাফ রিপোর্ট।।।

গাজীপুরের কোনাবাড়ী কলেজ রোড এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভুল অপারেশনে আরাফাত হোসেন (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যুও অভিযোগ উঠেছে।

নিহতের পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, জানা যায়, আরাফাতের বাবা শেখ শাহা আলম, চাচা মাহবুবসহ ৩-৪জন অভিভাবক সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাজমহল হসপিটালে নিয়ে যান আরাফাতকে। সেখানে শিশুকে অনাহারে রেখে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। শিশুকে অজ্ঞান করে অপারেশন করেন ডা. আবুল হোসেন। আধা ঘন্টা অপারেশন করতে সময় লাগার কথা থাকলেও সাড়ে তিনটাও আপরেশন থিয়েটার থেকে কেউ বের না হলে  শিশু আরাফাতের অভিভাবকের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি হসপিটালের কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলেও তারা কিছু জানাতে রাজি হয়নি। রাত সাড়ে আটটার দিকে আরাফাতের জ্ঞান ফিরে না আসার কথা অভিভাবকরা জানতে পারেন। তখন ডা. আবুল হোসেন ও হসপিটাল কর্তৃপক্ষ নানা ছলচাতুরি করে শিশুটির লাশ হসপিটাল থেকে বের করার  চেষ্টা করে। পরে অভিভাবকদের কাছে গিয়ে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় যে, শিশু আরাফাতকে দ্রুত ঢাকার একটি হসপিটালের আইসিওতে ভর্তি করতে হবে। সেই সময় অভিভাবকরা টের পান তাদের আরাফাত আর পৃথিবীতে বেচে নাই। তবু আরাফাতকে নিয়ে রাতেই ধানমন্ডির ১৭ নম্বর এলাকার পিং কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আরাফাত কে আইসিওতে নিয়ে একজন চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। পরে আরাফাতের চাচা মাহবুবকে ডেকে জানান, এই  শিশু সন্ধ্যার দিকেই মারা গেছেন। ওই সময় শিশুর অভিভাবকরা রাত তিনটার দিকে বিকল্প একটি এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে আরাফাতের লাশ নিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর মেট্রো থানার সারদাগঞ্জ গ্রামে নিয়ে আসেন। বুধবার সকালে পারিবারিক কবরস্থানে আরাফাতের নামাজে জানাযা শেষে দাফন করা হয় বলে অভিভাবকরা জানান।

নিহত আরাফাতের চাচা মাহবুব জানান,শহীদ সোহরার্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. আবুল হোসেন আমাদের ফুসলিয়ে তাজমহল হসপিটালে নিয়ে যান। সেখানে অপারেশন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকলেও আরাফাতকে ভুল ইনজেকসন পুস করে অজ্ঞান করে। পরে অপারেশন করার পর আর জ্ঞান ফিরে আসেনি। এসময় তাজমহল  হসপিটাল কর্তৃপক্ষ ও ওই চিকিৎসক  নিজেরা বাচার জন্য রাতেই ঢাকার একটি হাসপাতালে পাঠিয়ে হয়রানি করেন। আমি এ হত্যাকারীদের বিচার চাই।

তাজমহল হসপিটালের ম্যানেজার মেহেদি জানান, ডা. আবুল হোসেন ওই শিশু আরাফাতকে নিয়ে অপারেশন করতে এখানে নিয়ে আসেন। পরে বিকেলের দিকে শিশুকে অজ্ঞান করে অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর শিশুর অবস্থা খারাপ হতে থাকলে ওই চিকিৎসক নিজেই ঢাকার কোন হাসাপাতালে নিয়ে যান। পরের ঘটনাটি জানি না।

এ বিষয়ে শহীদ সোহরার্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এসোসিয়েট প্রফেসর ডা.আবুল হোসেনের সাথে তার মুঠো  ফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।