ঢাকা ০৭:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সাদাসিধে জীবনযাপন করত, অর্থ সম্পদে কোন নজর ছিল না

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:২২:৪৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট ২০২১
  • / ২৫৯ ০৫০০০. বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন জানিয়ে তাঁর বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির ছেলে, জাতির পিতার ছেলে অথচ সে (শেখ কামাল) অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপন করত। কখনও বাবা প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি সেজন্য অর্থ-সম্পদ, ব্যবসা-বাণিজ্যের দিকে তাঁর কোন নজর ছিল না। ’৭৫ এর আগে ১৯৭৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর একটা চক্রান্ত করে শেখ কামালকে গুলি করা হয়, হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। সে যখন বেঁচে যায় তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়।

বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন’ এবং ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার ২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের দিকে শেখ কামালের কোন দৃষ্টি ছিল না। দেশকে গড়ে তোলা, দেশের মানুষের পাশে থাকা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সাংস্কৃতিক অঙ্গন বা ক্রীড়া অঙ্গন- এসব কিছুর উন্নতি করা, এটাই ছিল শেখ কামালের কাছে সব থেকে বড় কথা। আবুল ফজল সাহেব একটা লেখা লিখেছিলেন সেটা যদি কেউ পড়েন তবে দেখবেন কীভাবে শেখ কামালের যে অমায়িকতা, সাদাসিধে জীবনযাত্রা, চলাফেরা সেটাই তিনি তুলে ধরেছেন।

জাতির পিতার বড় মেয়ে শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গে বলেন, আমার ছোট ভাই, আমি নিজে বলতে পারি শেখ কামাল অত্যন্ত সাদাসিধে জীবন যাপন করত। সে একজন সাংস্কৃতিক মনা আবার রাজনীতিবিদ, কখনও বিলাসব্যসন এসব দিকে তাঁর দৃষ্টি ছিল না। এটা আমার বাবার শিক্ষা ছিল, মায়ের শিক্ষা ছিল। তাছাড়া একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। সেখানে তো বিলাসিতা করার সুযোগ নেই। আর ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থসম্পদ এসব দিকে তাঁর কোন নজরই ছিল না।

শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথমবারের মতো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রবর্তিত এই পুরস্কারের জন্য সাতটি ক্যাটাগরিতে মোট ১০ ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে মনোনীত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ শেখ কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে টোকিও অলিম্পিক গেমস থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাদাসিধে জীবনযাপন করত, অর্থ সম্পদে কোন নজর ছিল না

আপডেট টাইম : ০৫:২২:৪৩ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন জানিয়ে তাঁর বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির ছেলে, জাতির পিতার ছেলে অথচ সে (শেখ কামাল) অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপন করত। কখনও বাবা প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি সেজন্য অর্থ-সম্পদ, ব্যবসা-বাণিজ্যের দিকে তাঁর কোন নজর ছিল না। ’৭৫ এর আগে ১৯৭৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর একটা চক্রান্ত করে শেখ কামালকে গুলি করা হয়, হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। সে যখন বেঁচে যায় তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়।

বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন’ এবং ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার ২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের দিকে শেখ কামালের কোন দৃষ্টি ছিল না। দেশকে গড়ে তোলা, দেশের মানুষের পাশে থাকা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সাংস্কৃতিক অঙ্গন বা ক্রীড়া অঙ্গন- এসব কিছুর উন্নতি করা, এটাই ছিল শেখ কামালের কাছে সব থেকে বড় কথা। আবুল ফজল সাহেব একটা লেখা লিখেছিলেন সেটা যদি কেউ পড়েন তবে দেখবেন কীভাবে শেখ কামালের যে অমায়িকতা, সাদাসিধে জীবনযাত্রা, চলাফেরা সেটাই তিনি তুলে ধরেছেন।

জাতির পিতার বড় মেয়ে শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গে বলেন, আমার ছোট ভাই, আমি নিজে বলতে পারি শেখ কামাল অত্যন্ত সাদাসিধে জীবন যাপন করত। সে একজন সাংস্কৃতিক মনা আবার রাজনীতিবিদ, কখনও বিলাসব্যসন এসব দিকে তাঁর দৃষ্টি ছিল না। এটা আমার বাবার শিক্ষা ছিল, মায়ের শিক্ষা ছিল। তাছাড়া একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। সেখানে তো বিলাসিতা করার সুযোগ নেই। আর ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থসম্পদ এসব দিকে তাঁর কোন নজরই ছিল না।

শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথমবারের মতো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রবর্তিত এই পুরস্কারের জন্য সাতটি ক্যাটাগরিতে মোট ১০ ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে মনোনীত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ শেখ কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে টোকিও অলিম্পিক গেমস থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।