টঙ্গীতে শ্রমিক বিক্ষোভ, পুলিশের রাবার বুলেটে আহত অর্ধশতাধিক
- আপডেট টাইম : ০৯:০৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট ২০২১
- / ২৫১ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।
শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপে অন্তত অর্ধশতাধিক শ্রমিক ও পুলিশ সদস্য আহত হন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার ভাদাম এলাকায় ক্রসলাইন লিমিটেড পোশাক কারখানারশ্রমিকরা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলে এ ঘটনা ঘটে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকরা জানান ভাদাম এলাকায় শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সকাল থেকে কারখানা মূলফটকের সামনে বিক্ষোভ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শ্রমিকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট ৫৮ রাউন্ড শটগান ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
সংঘর্ষের সময় প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক ও পুলিশ আহত হন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এএসআই এমদাদুল হক, মেহেদী, সাব্বির, আশরাফুল, মারুফ তমাল ও আনসার সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, রেজাউল করিম, মোহাম্মদ আলী মোল্লা আহত হন।
আহতদের টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অপরদিকে টঙ্গীর দাড়াইল এলাকায় এসঅ্যান্ডপি বাংলা লিমিটেড পোশাক কারখানায় হঠাৎ করে কারখানা কর্তৃপক্ষ নোটিশ জারি করেন— কারখানার ভেতরে শ্রমিকদের নামাজপড়া, পাঞ্জাবি দাড়ি ও টুপি পড়ে কারখানায় প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরে কারখানার শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
ঘটনাস্থলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও থানা পুলিশ কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ ইসলামি রাষ্ট্র অনুযায়ী আইন মেনে কারখানার পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হলে শ্রমিকরা শান্ত হয়ে কর্মস্থলে ফিরে যান।
এ সময় কারখানায় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার অপরাধ দক্ষিণ ইলতুৎমিস, সহকারী পুলিশ কমিশনার পীযূষ কুমার দে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এস আলম, টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম।
এ বিষয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এস আলম জানান, ক্রসলাইন লিমিটেড পোশাক কারখানার সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। দুটি কারখানায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।