সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিজিবি এখন ত্রিমাত্রিক বাহিনী বিজিবি মহাপরিচালক
- আপডেট টাইম : ০৮:৩৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
- / ৩৫০ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার ॥
দেশের ঐতিহ্যবাহী সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে দাবি করে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিশেষ করে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্ব এবং ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় বিজিবি আজ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত হয়েছে।
আজ বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের মাল্টিপারপাস সেডে ২০২০ সালের বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘পদক প্রদান’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিজিবি মহাপরিচালক। মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদকপ্রাপ্তদের পদক পরিয়ে দেন।
বিজিবিতে অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি সংযুক্তির কথা জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, “উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এই বাহিনীতে আভিযানিক ক্ষেত্রে সংযোজিত হয়েছে ২টি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার, যুগোপযোগী ও কার্যকরী ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র, আর্মাড পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি), রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল, অল টেরেইন ভেহিক্যাল, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন হাইস্পীড বোট, ইন্টারসেপ্টর বোট ও ইউটিলিটি বোট। এছাড়া ভারত ও মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের প্রায় ৮০ কিঃমিঃ সীমান্ত এলাকা ‘স্মার্ট বর্ডার সার্ভেইল্যান্স এন্ড রেসপন্স সিস্টেম’ এর আওতায় আনা হয়েছে। বিজিবি’র আভিযানিক কার্যক্রমকে আধুনিক, যুগোপযোগী ও গতিশীল করার লক্ষ্যে যশোরে একটি অত্যাধুনিক ডাটা সেন্টার ডিজাস্টার রিকভারী সাইট স্থাপন করা হয়েছে।”
সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিজিবি সদস্যদের পোশাক, আবাসন, বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ প্রভূত উন্নয়ন সধিত হয়েছে জানিয়ে এ জন্য তিনি বিজিবির প্রতিটি সদস্যের পক্ষ থেকে বর্তমান সরকার ও মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিজিবি মহাপরিচালক দৃঢ়তার সাথে বলেন, বর্তমান সরকারের উদ্যোগে বিজিবির এ সকল সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তিতে এ বাহিনীর সদস্যদের সক্ষমতা ও কর্মস্পৃহা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আজ তাদের মনোবল অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক উন্নত। এ অবদান বিজিবির সকল সদস্য ও তাদের পরিবার আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
বিজিবি’র বিভিন্ন কর্মকান্ডে ২০২০ সালের বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৪টি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ৫৯ জনকে পদক প্রদান করা হয়েছে। পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে ১০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক (বিজিবিএম), ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক (পিবিজিএম), ১০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক সেবা (বিজিবিএমএস) এবং ১৯ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক সেবা (পিজিবিএমএস) প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সম্মানিত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, বিজিবি’র সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা, সৈনিক ও বেসামরিক কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।