ঢাকা ০৯:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
না.গঞ্জে বাবু-ফকিরের অপরাধ সাম্রাজ্যের পাহারায় বিএনপি নেতা সুমন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ২ শিশু সন্তানসহ বাবার মৃত্যু কোনো মার্ডার পুলিশের গুলিতে হয়নি, কিলিং এজেন্ট ছিল: শেখ হাসিনা মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রুহুল আমিন দুলালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন নবীকে নিয়ে ‘কটূক্তি’, থানার ভেতরই একজনকে হত্যা করল পুলিশ নির্বাচন ব্যবস্থা, দুদক ও সংবিধান সংস্কার নিয়ে যা বললেন কমিশন প্রধানরা বরগুনায় মামলা করে হুমকিতে বাদী” জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন তানভীরের সঙ্গে শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস ডিএমপির ডিবি অফিসার রাকিবের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের একাধিক অভিযোগ: সঠিক তদন্তের দাবি আগৈলঝাড়ায় ট্রাক ইজিবাইক সংঘর্ষে নিহত ২

কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন ৭৬ শতাংশ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
  • / ২৬২ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ  ডেস্ক ॥

চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) মে মাস পর্যন্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার ৭৬ শতাংশ, যা জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মে মাস পর্যন্ত এডিপির জাতীয় গড় অগ্রগতি ৫৮ শতাংশ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবশিষ্ট এক মাসের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপি প্রায় শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

এছাড়া, বাস্তবায়ন অগ্রগতির এই হার গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। গত বছর মে পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতির হার ছিল ৫৯ শতাংশ। মোট বরাদ্দ এক হাজার ৭৬৩ কোটি টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছিল এক হাজার ৪২ কোটি টাকা। সেখানে চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের ৮৫টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৩২২ কোটি টাকার মধ্যে এক হাজার ৭৫২ কোটি টাকা ইতোমধ্যে ব্যয় হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, চলমান করোনা মহামারী ও ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে এডিপি বাস্তবায়নে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আমাদের সকল পর্যায়ের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে। করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের মতো সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে অতিদ্রুত লবণাক্তসহিষ্ণু ধানের জাত সম্প্রসারণের জন্য সকলকে নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ব্রিধান-৬৭, ব্রিধান-৯৭, ব্রিধান-৯৯, বিনা-১০ সহ অনেকগুলো লবণাক্তসহিষ্ণু জাতের ধান উদ্ভাবিত হয়েছে। এগুলোর পর্যাপ্ত বীজ উৎপাদন করে কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

‘আমাদের চাষের জমি কমছে, মানুষ বাড়ছে, খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে খাদ্যের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতাকে টেকসই করতে হলে আরও নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।’

সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) মো. আব্দুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো. রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (সার ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ এবং অন্যান্য সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন ৩ জন

এডিপি বৈঠকের আগে কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২০-২১’ প্রদান করেন। এ বছর কৃষি মন্ত্রণালয়ের ও দফতর বা সংস্থার মধ্যে ৩ জনকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। দফতর বা সংস্থার প্রধানদের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উপসচিব এস এম ইমরুল হাসান ও কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল বাতেন সিরাজী পুরস্কার পান।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন ৭৬ শতাংশ

আপডেট টাইম : ০৮:৫৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১

সময়ের কন্ঠ  ডেস্ক ॥

চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) মে মাস পর্যন্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার ৭৬ শতাংশ, যা জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মে মাস পর্যন্ত এডিপির জাতীয় গড় অগ্রগতি ৫৮ শতাংশ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবশিষ্ট এক মাসের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপি প্রায় শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

এছাড়া, বাস্তবায়ন অগ্রগতির এই হার গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। গত বছর মে পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতির হার ছিল ৫৯ শতাংশ। মোট বরাদ্দ এক হাজার ৭৬৩ কোটি টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছিল এক হাজার ৪২ কোটি টাকা। সেখানে চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের ৮৫টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৩২২ কোটি টাকার মধ্যে এক হাজার ৭৫২ কোটি টাকা ইতোমধ্যে ব্যয় হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, চলমান করোনা মহামারী ও ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে এডিপি বাস্তবায়নে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আমাদের সকল পর্যায়ের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে। করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের মতো সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে অতিদ্রুত লবণাক্তসহিষ্ণু ধানের জাত সম্প্রসারণের জন্য সকলকে নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ব্রিধান-৬৭, ব্রিধান-৯৭, ব্রিধান-৯৯, বিনা-১০ সহ অনেকগুলো লবণাক্তসহিষ্ণু জাতের ধান উদ্ভাবিত হয়েছে। এগুলোর পর্যাপ্ত বীজ উৎপাদন করে কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

‘আমাদের চাষের জমি কমছে, মানুষ বাড়ছে, খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে খাদ্যের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতাকে টেকসই করতে হলে আরও নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।’

সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) মো. আব্দুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো. রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (সার ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ এবং অন্যান্য সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন ৩ জন

এডিপি বৈঠকের আগে কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২০-২১’ প্রদান করেন। এ বছর কৃষি মন্ত্রণালয়ের ও দফতর বা সংস্থার মধ্যে ৩ জনকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। দফতর বা সংস্থার প্রধানদের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উপসচিব এস এম ইমরুল হাসান ও কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল বাতেন সিরাজী পুরস্কার পান।