ঢাকা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা ময়মনসিংহে আন্তর্জাতিক শব্দদূষণ দিবস উদযাপিত উজিরপুরে সাব রেজিষ্টার মোঃ ইমরান খান এর বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রায়পুরে আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ জামালপুরে বিনা খেসারি-১ এর চাষের উজ্জল সম্ভাবনা ব্যাংককের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেন এড.মো. মাসউদ তারাকান্দা উপজেলায় ছেঁড়া ১০টাকা নিয়ে সংঘর্ষে ছেলে নিহত-বাবা সংকটাপন্ন

নওমুসলিম জামিলা খাতুন প্রতারনার স্বীকার। 

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর। দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় বেলডাঙ্গা গ্রামের  আদিবাসী খোকন মুর্মুর স্ত্রী জামিলা মুর্মু।  সেই সুবাদে তার আদিবাসী স্বামীর পক্ষের ৩টি সন্তান থাকাবস্তায় গত ২০১৮ সালে ফুলবাড়ি উপজেলার বারোকোনা গ্রামের সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের প্ররচনায় পড়ে পুর্বের আদিবাসী স্বামীকে তালাক প্রদান করায়ে স্ব-ধর্ম ত্যাগ করে দিনাজপুর নোটারী পাবলিক আদালতে মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করান। যার এপিডএপিড নং ২১০৭, তাং ২২/১০/২০১৮ ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পর তার নাম রাখেন মোছাঃ জামিলা খাতুন। এবং সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম জামিলা খাতুন কে উক্ত তারিখেই বিবাহের এপিডএপিড করান যার নং ২১০৬। উক্ত বিবাহের দেনমোহর ৫ লক্ষ ধায্য করিয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।  উল্লেখ যে সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম এফ,ডি,ও এনজিওর মালিক।

বিবাহের পর সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম নওমুসলিম জামিলা খাতুন কে নিয়ে বিরামপুর উপজেলা শহরের ইসলামপাড়ার ভাড়া বাসায় রেখে স্বামী স্ত্রী হিসেবে ঘর সংসার করিতে থাকেন। এর কিছু দিন পর সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম ইসলামপাড়ার ভাড়া বাসায় জামিলা খাতুনকে একা রেখে সরে পড়েন। একদিন দুদিন অপেক্ষা করার পর জামিলা খাতুন স্বামী সিরাজুল ইসলাম কে মোবাইল ফোন কল দিলে স্বামী সিরাজুল ফোনকল কেটে দেয়া শুরু করেন। অসহায় জামিলা খাতুন নিরুপায় হয়ে অন্য নাম্বার থেকে ফোনদিলে সিরাজুল ফোন ধরেন এবং পরিচয় পেয়ে জামিলাকে বলেন তুমি তোমার রাস্তা দেখে নেও আমি আর তোমার নিকট আসবোনা। নিরুপাই জামিলা খাতুন পুর্বের আদিবাসী স্বামীর তিন সন্তানকে নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করা শুরু করেন। তবু মাঝেমধ্যে স্বামী সিরাজুল ইসলাম কে ফোন দেন তার নিকট হতে ভাতকাপড় পাবার আশায়। কিন্তু প্রতারক সিরাজুল কোনপ্রকার ভ্রুক্ষেপ করেননা।

এর মধ্যে সিরাজুল ইসলাম গত ০৯/০৪/২০২১ইং তাং রোজ শুক্রবার বৈকাল আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় সঙ্গে  দুই জন অজ্ঞাতনামা লোকনিয়ে জামিলা খাতুনের ইসলামপাড়ার ভাড়া বাসায় আসেন, তারা উভয়ে জামিলা খাতুনকে বলেন আমরা আপনার সঙ্গে আপোশ মিমাংসা করিতে এসেছি মর্মে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে থাকা ৩ শত টাকার ফাঁপা ননজুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্প ও সবুজ রেজিস্ট্রার বহির একটি অলিখিত কাগজের পাতায় স্বাক্ষর করিতে বলেন। কিন্তু ফাঁকা ষ্ট্যাম্প ও ফাঁকা রেজিস্ট্রার বহির পাতায় জামিলা খাতুন স্বাক্ষর করিতে অস্বীকার করিলে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে থাকা এনামুল হক ও হারুন সিরাজুলের নির্দেশে  জামিলার বুকে চাকু ধরিয়া প্রাননাশের হুমকি দেন। জামিলা খাতুন নিরুপায় হয়ে প্রানের ভয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের ৩০০ টাকার অলিখিত ফাঁকা ননজুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে ও ফাঁকা রেজিস্ট্রার বহির পাতায় স্বাক্ষর করতে বাধ্যহন।

প্রতারক সিরাজুল ইসলামের প্রতারনার স্বীকার হয়ে জামিলা খাতুন দিনাজপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১৮৭সি/২১।

অসহায় জামিলা খাতুন এখন অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন, তিন সন্তান ও তার নিজের ভরনপোষণ বর্তমানে তার কাছে পাহাড় সমতুল্য। তাই মাঝে মাঝে পেটের ক্ষুধায় তিনি বিরামপুর  উপজেলা শহরের খাবার হোটেলে রান্নার কাজ করে সংসারের খাবার জোগান।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার

নওমুসলিম জামিলা খাতুন প্রতারনার স্বীকার। 

আপডেট টাইম : ১২:২১:১৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর। দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় বেলডাঙ্গা গ্রামের  আদিবাসী খোকন মুর্মুর স্ত্রী জামিলা মুর্মু।  সেই সুবাদে তার আদিবাসী স্বামীর পক্ষের ৩টি সন্তান থাকাবস্তায় গত ২০১৮ সালে ফুলবাড়ি উপজেলার বারোকোনা গ্রামের সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের প্ররচনায় পড়ে পুর্বের আদিবাসী স্বামীকে তালাক প্রদান করায়ে স্ব-ধর্ম ত্যাগ করে দিনাজপুর নোটারী পাবলিক আদালতে মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করান। যার এপিডএপিড নং ২১০৭, তাং ২২/১০/২০১৮ ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পর তার নাম রাখেন মোছাঃ জামিলা খাতুন। এবং সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম জামিলা খাতুন কে উক্ত তারিখেই বিবাহের এপিডএপিড করান যার নং ২১০৬। উক্ত বিবাহের দেনমোহর ৫ লক্ষ ধায্য করিয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।  উল্লেখ যে সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম এফ,ডি,ও এনজিওর মালিক।

বিবাহের পর সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম নওমুসলিম জামিলা খাতুন কে নিয়ে বিরামপুর উপজেলা শহরের ইসলামপাড়ার ভাড়া বাসায় রেখে স্বামী স্ত্রী হিসেবে ঘর সংসার করিতে থাকেন। এর কিছু দিন পর সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম ইসলামপাড়ার ভাড়া বাসায় জামিলা খাতুনকে একা রেখে সরে পড়েন। একদিন দুদিন অপেক্ষা করার পর জামিলা খাতুন স্বামী সিরাজুল ইসলাম কে মোবাইল ফোন কল দিলে স্বামী সিরাজুল ফোনকল কেটে দেয়া শুরু করেন। অসহায় জামিলা খাতুন নিরুপায় হয়ে অন্য নাম্বার থেকে ফোনদিলে সিরাজুল ফোন ধরেন এবং পরিচয় পেয়ে জামিলাকে বলেন তুমি তোমার রাস্তা দেখে নেও আমি আর তোমার নিকট আসবোনা। নিরুপাই জামিলা খাতুন পুর্বের আদিবাসী স্বামীর তিন সন্তানকে নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করা শুরু করেন। তবু মাঝেমধ্যে স্বামী সিরাজুল ইসলাম কে ফোন দেন তার নিকট হতে ভাতকাপড় পাবার আশায়। কিন্তু প্রতারক সিরাজুল কোনপ্রকার ভ্রুক্ষেপ করেননা।

এর মধ্যে সিরাজুল ইসলাম গত ০৯/০৪/২০২১ইং তাং রোজ শুক্রবার বৈকাল আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় সঙ্গে  দুই জন অজ্ঞাতনামা লোকনিয়ে জামিলা খাতুনের ইসলামপাড়ার ভাড়া বাসায় আসেন, তারা উভয়ে জামিলা খাতুনকে বলেন আমরা আপনার সঙ্গে আপোশ মিমাংসা করিতে এসেছি মর্মে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে থাকা ৩ শত টাকার ফাঁপা ননজুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্প ও সবুজ রেজিস্ট্রার বহির একটি অলিখিত কাগজের পাতায় স্বাক্ষর করিতে বলেন। কিন্তু ফাঁকা ষ্ট্যাম্প ও ফাঁকা রেজিস্ট্রার বহির পাতায় জামিলা খাতুন স্বাক্ষর করিতে অস্বীকার করিলে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে থাকা এনামুল হক ও হারুন সিরাজুলের নির্দেশে  জামিলার বুকে চাকু ধরিয়া প্রাননাশের হুমকি দেন। জামিলা খাতুন নিরুপায় হয়ে প্রানের ভয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের ৩০০ টাকার অলিখিত ফাঁকা ননজুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে ও ফাঁকা রেজিস্ট্রার বহির পাতায় স্বাক্ষর করতে বাধ্যহন।

প্রতারক সিরাজুল ইসলামের প্রতারনার স্বীকার হয়ে জামিলা খাতুন দিনাজপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১৮৭সি/২১।

অসহায় জামিলা খাতুন এখন অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন, তিন সন্তান ও তার নিজের ভরনপোষণ বর্তমানে তার কাছে পাহাড় সমতুল্য। তাই মাঝে মাঝে পেটের ক্ষুধায় তিনি বিরামপুর  উপজেলা শহরের খাবার হোটেলে রান্নার কাজ করে সংসারের খাবার জোগান।