ঢাকা ০১:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরিগঞ্জে ৮ লিটার চোলাই মদসহ এক যুবক গ্রেপ্তার। মোঃ আংগুর মিয়া নাসিরনগরে তরুণের পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ময়মনসিংহ জেলায় ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসপি বলেন , লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি তদন্ত প্রতিবেদনে হাসিনার বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যুদ্ধবিরতির পর ভারত-পাকিস্তান যা দাবি করছে হাসিনা কামাল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা নাসিরনগরে বজ্রপাতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু

নওমুসলিম জামিলা খাতুন প্রতারনার স্বীকার। 

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ১২:২১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১
  • / ২৯৮ ১৫০০০.০ বার পাঠক

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর। দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় বেলডাঙ্গা গ্রামের  আদিবাসী খোকন মুর্মুর স্ত্রী জামিলা মুর্মু।  সেই সুবাদে তার আদিবাসী স্বামীর পক্ষের ৩টি সন্তান থাকাবস্তায় গত ২০১৮ সালে ফুলবাড়ি উপজেলার বারোকোনা গ্রামের সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের প্ররচনায় পড়ে পুর্বের আদিবাসী স্বামীকে তালাক প্রদান করায়ে স্ব-ধর্ম ত্যাগ করে দিনাজপুর নোটারী পাবলিক আদালতে মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করান। যার এপিডএপিড নং ২১০৭, তাং ২২/১০/২০১৮ ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পর তার নাম রাখেন মোছাঃ জামিলা খাতুন। এবং সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম জামিলা খাতুন কে উক্ত তারিখেই বিবাহের এপিডএপিড করান যার নং ২১০৬। উক্ত বিবাহের দেনমোহর ৫ লক্ষ ধায্য করিয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।  উল্লেখ যে সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম এফ,ডি,ও এনজিওর মালিক।

বিবাহের পর সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম নওমুসলিম জামিলা খাতুন কে নিয়ে বিরামপুর উপজেলা শহরের ইসলামপাড়ার ভাড়া বাসায় রেখে স্বামী স্ত্রী হিসেবে ঘর সংসার করিতে থাকেন। এর কিছু দিন পর সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম ইসলামপাড়ার ভাড়া বাসায় জামিলা খাতুনকে একা রেখে সরে পড়েন। একদিন দুদিন অপেক্ষা করার পর জামিলা খাতুন স্বামী সিরাজুল ইসলাম কে মোবাইল ফোন কল দিলে স্বামী সিরাজুল ফোনকল কেটে দেয়া শুরু করেন। অসহায় জামিলা খাতুন নিরুপায় হয়ে অন্য নাম্বার থেকে ফোনদিলে সিরাজুল ফোন ধরেন এবং পরিচয় পেয়ে জামিলাকে বলেন তুমি তোমার রাস্তা দেখে নেও আমি আর তোমার নিকট আসবোনা। নিরুপাই জামিলা খাতুন পুর্বের আদিবাসী স্বামীর তিন সন্তানকে নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করা শুরু করেন। তবু মাঝেমধ্যে স্বামী সিরাজুল ইসলাম কে ফোন দেন তার নিকট হতে ভাতকাপড় পাবার আশায়। কিন্তু প্রতারক সিরাজুল কোনপ্রকার ভ্রুক্ষেপ করেননা।

এর মধ্যে সিরাজুল ইসলাম গত ০৯/০৪/২০২১ইং তাং রোজ শুক্রবার বৈকাল আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় সঙ্গে  দুই জন অজ্ঞাতনামা লোকনিয়ে জামিলা খাতুনের ইসলামপাড়ার ভাড়া বাসায় আসেন, তারা উভয়ে জামিলা খাতুনকে বলেন আমরা আপনার সঙ্গে আপোশ মিমাংসা করিতে এসেছি মর্মে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে থাকা ৩ শত টাকার ফাঁপা ননজুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্প ও সবুজ রেজিস্ট্রার বহির একটি অলিখিত কাগজের পাতায় স্বাক্ষর করিতে বলেন। কিন্তু ফাঁকা ষ্ট্যাম্প ও ফাঁকা রেজিস্ট্রার বহির পাতায় জামিলা খাতুন স্বাক্ষর করিতে অস্বীকার করিলে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে থাকা এনামুল হক ও হারুন সিরাজুলের নির্দেশে  জামিলার বুকে চাকু ধরিয়া প্রাননাশের হুমকি দেন। জামিলা খাতুন নিরুপায় হয়ে প্রানের ভয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের ৩০০ টাকার অলিখিত ফাঁকা ননজুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে ও ফাঁকা রেজিস্ট্রার বহির পাতায় স্বাক্ষর করতে বাধ্যহন।

প্রতারক সিরাজুল ইসলামের প্রতারনার স্বীকার হয়ে জামিলা খাতুন দিনাজপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১৮৭সি/২১।

অসহায় জামিলা খাতুন এখন অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন, তিন সন্তান ও তার নিজের ভরনপোষণ বর্তমানে তার কাছে পাহাড় সমতুল্য। তাই মাঝে মাঝে পেটের ক্ষুধায় তিনি বিরামপুর  উপজেলা শহরের খাবার হোটেলে রান্নার কাজ করে সংসারের খাবার জোগান।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নওমুসলিম জামিলা খাতুন প্রতারনার স্বীকার। 

আপডেট টাইম : ১২:২১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর। দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় বেলডাঙ্গা গ্রামের  আদিবাসী খোকন মুর্মুর স্ত্রী জামিলা মুর্মু।  সেই সুবাদে তার আদিবাসী স্বামীর পক্ষের ৩টি সন্তান থাকাবস্তায় গত ২০১৮ সালে ফুলবাড়ি উপজেলার বারোকোনা গ্রামের সৈয়দ সিরাজুল ইসলামের প্ররচনায় পড়ে পুর্বের আদিবাসী স্বামীকে তালাক প্রদান করায়ে স্ব-ধর্ম ত্যাগ করে দিনাজপুর নোটারী পাবলিক আদালতে মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করান। যার এপিডএপিড নং ২১০৭, তাং ২২/১০/২০১৮ ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পর তার নাম রাখেন মোছাঃ জামিলা খাতুন। এবং সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম জামিলা খাতুন কে উক্ত তারিখেই বিবাহের এপিডএপিড করান যার নং ২১০৬। উক্ত বিবাহের দেনমোহর ৫ লক্ষ ধায্য করিয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।  উল্লেখ যে সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম এফ,ডি,ও এনজিওর মালিক।

বিবাহের পর সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম নওমুসলিম জামিলা খাতুন কে নিয়ে বিরামপুর উপজেলা শহরের ইসলামপাড়ার ভাড়া বাসায় রেখে স্বামী স্ত্রী হিসেবে ঘর সংসার করিতে থাকেন। এর কিছু দিন পর সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম ইসলামপাড়ার ভাড়া বাসায় জামিলা খাতুনকে একা রেখে সরে পড়েন। একদিন দুদিন অপেক্ষা করার পর জামিলা খাতুন স্বামী সিরাজুল ইসলাম কে মোবাইল ফোন কল দিলে স্বামী সিরাজুল ফোনকল কেটে দেয়া শুরু করেন। অসহায় জামিলা খাতুন নিরুপায় হয়ে অন্য নাম্বার থেকে ফোনদিলে সিরাজুল ফোন ধরেন এবং পরিচয় পেয়ে জামিলাকে বলেন তুমি তোমার রাস্তা দেখে নেও আমি আর তোমার নিকট আসবোনা। নিরুপাই জামিলা খাতুন পুর্বের আদিবাসী স্বামীর তিন সন্তানকে নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করা শুরু করেন। তবু মাঝেমধ্যে স্বামী সিরাজুল ইসলাম কে ফোন দেন তার নিকট হতে ভাতকাপড় পাবার আশায়। কিন্তু প্রতারক সিরাজুল কোনপ্রকার ভ্রুক্ষেপ করেননা।

এর মধ্যে সিরাজুল ইসলাম গত ০৯/০৪/২০২১ইং তাং রোজ শুক্রবার বৈকাল আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় সঙ্গে  দুই জন অজ্ঞাতনামা লোকনিয়ে জামিলা খাতুনের ইসলামপাড়ার ভাড়া বাসায় আসেন, তারা উভয়ে জামিলা খাতুনকে বলেন আমরা আপনার সঙ্গে আপোশ মিমাংসা করিতে এসেছি মর্মে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে থাকা ৩ শত টাকার ফাঁপা ননজুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্প ও সবুজ রেজিস্ট্রার বহির একটি অলিখিত কাগজের পাতায় স্বাক্ষর করিতে বলেন। কিন্তু ফাঁকা ষ্ট্যাম্প ও ফাঁকা রেজিস্ট্রার বহির পাতায় জামিলা খাতুন স্বাক্ষর করিতে অস্বীকার করিলে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে থাকা এনামুল হক ও হারুন সিরাজুলের নির্দেশে  জামিলার বুকে চাকু ধরিয়া প্রাননাশের হুমকি দেন। জামিলা খাতুন নিরুপায় হয়ে প্রানের ভয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের ৩০০ টাকার অলিখিত ফাঁকা ননজুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে ও ফাঁকা রেজিস্ট্রার বহির পাতায় স্বাক্ষর করতে বাধ্যহন।

প্রতারক সিরাজুল ইসলামের প্রতারনার স্বীকার হয়ে জামিলা খাতুন দিনাজপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১৮৭সি/২১।

অসহায় জামিলা খাতুন এখন অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন, তিন সন্তান ও তার নিজের ভরনপোষণ বর্তমানে তার কাছে পাহাড় সমতুল্য। তাই মাঝে মাঝে পেটের ক্ষুধায় তিনি বিরামপুর  উপজেলা শহরের খাবার হোটেলে রান্নার কাজ করে সংসারের খাবার জোগান।