ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপনের দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে মতবিনিময় শনিবার সাতক্ষীরা আলিপুরে মাহফিলে বাধা অকথ্য ভাষায় গালি বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ নির্বাচনের মাধ্যমে ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশের মাটিতে আর ফ্যাসিবাদ আসতে পারবে না ২৪ এপ্রিল কে জাতীয় শ্রমিক দিবস ঘোষণা জাতীয় নাগরিক পার্টি দফের আবিষ্কার ও প্রচলন ইতিহাস ডিউটি সিডিউল ভুল করার কারণে প্রত্যাহার হলেন কেন্দ্রসচিব হল সুপার ও কক্ষ পর্যবেক্ষক ফুলবাড়ীতে কানাহার দিঘি নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা জেলায় শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার নির্বাচিত হলেন সুব্রত দাস বাংলাদেশকে ৮৫ কোটি ডলার দিবে বিশ্বব্যাংক টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ দিতে পারেনি দুদক: আইনজীবী

অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি গরু’র রচনা।

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
  • / ৮৬৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

একদিন আই এস সি পড়ার ক্লাসে এলেন বাঙ্লার অধ্যাপক চারুচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। অফ পিরীয়ড। এসেই বললেন রচনা লেখো। যদিও সেই ক্লাসের সবার পাঠ্য বিষয় ছিল অঙ্ক, রসায়ন ও উদ্ভিদবিদ্যা।

ছাত্রদের প্রশ্ন – “কি লিখব স্যার” ?

স্যার বললেন”গরুর রচনা লেখো” । শুনেই সবার মাথায় হাত। স্যার বলছেন কী ? এই উচু ক্লাসে, বুড়ো বয়সে গরু রচনা! কেউ কেউ মুখ টিপে হাসতেও লাগলো।

হাসলো না শুধু একটি ছাত্র । সে বললো – “স্যার, রচনা মানে গদ্য হতে হবে এমন মানে আছে কি ?”

স্যার বললেন -” সেরকম তো কথা নেই”।

খানিক বাদে ছাত্রটি হাজির করল তার লেখা । ক্লাসে বসে বাকিরা তখনও ভাবছে স্যার বুঝি তাদের সাথে ঠাট্টা তামাশা করছেন। হঠাৎ স্যার বললেন – “শোনো শোনো, কী লিখেছে তোমাদের বন্ধু…..

মানুষ তোমায় বেজায় খাটায়

টানায় তোমায় লাঙ্গল গাড়ি,

একটু যদি দোষ করেছ

অমনি পড়ে লাঠির বাড়ি।

আপন জিনিস বলতে তোমার

নেই কিছু এই বিশ্বেতে,

তোমার বাঁটের দুধটুকু তা-ও

বাছুর তোমার পায়না খেতে।

মানুষ তোমার মাংস খাবে,

অস্থি দেবে জমির সারে,

চামড়া দিয়ে পরবে জুতো বারণ কে তায় করতে পারে?

তোমার পরেই এই অত্যাচার হে মর্তের কল্পতরু।

কারণ ? নহ সিংহ কি বাঘ,

কারন তুমি নেহাৎ গরু।”

 

স্যার মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিলেন – “অনেক বড় হও বাবা”।

 

বড় হয়েও ছিল সেই ছেলেটা। ডাক্তার হয়েছিল। বড়ো সাহিত্যিকও…… বাংলা ছোট গল্পের মাঁপাসা ডা: বলাই চাঁদ মুখোপাধ্যায় ওরফে বনফুল ।

 

বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ “গরু” রচনাগুলোর মধ্যে আজো অবস্থান করছে এই রচনাটি।

============================

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি গরু’র রচনা।

আপডেট টাইম : ১১:৫৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

একদিন আই এস সি পড়ার ক্লাসে এলেন বাঙ্লার অধ্যাপক চারুচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। অফ পিরীয়ড। এসেই বললেন রচনা লেখো। যদিও সেই ক্লাসের সবার পাঠ্য বিষয় ছিল অঙ্ক, রসায়ন ও উদ্ভিদবিদ্যা।

ছাত্রদের প্রশ্ন – “কি লিখব স্যার” ?

স্যার বললেন”গরুর রচনা লেখো” । শুনেই সবার মাথায় হাত। স্যার বলছেন কী ? এই উচু ক্লাসে, বুড়ো বয়সে গরু রচনা! কেউ কেউ মুখ টিপে হাসতেও লাগলো।

হাসলো না শুধু একটি ছাত্র । সে বললো – “স্যার, রচনা মানে গদ্য হতে হবে এমন মানে আছে কি ?”

স্যার বললেন -” সেরকম তো কথা নেই”।

খানিক বাদে ছাত্রটি হাজির করল তার লেখা । ক্লাসে বসে বাকিরা তখনও ভাবছে স্যার বুঝি তাদের সাথে ঠাট্টা তামাশা করছেন। হঠাৎ স্যার বললেন – “শোনো শোনো, কী লিখেছে তোমাদের বন্ধু…..

মানুষ তোমায় বেজায় খাটায়

টানায় তোমায় লাঙ্গল গাড়ি,

একটু যদি দোষ করেছ

অমনি পড়ে লাঠির বাড়ি।

আপন জিনিস বলতে তোমার

নেই কিছু এই বিশ্বেতে,

তোমার বাঁটের দুধটুকু তা-ও

বাছুর তোমার পায়না খেতে।

মানুষ তোমার মাংস খাবে,

অস্থি দেবে জমির সারে,

চামড়া দিয়ে পরবে জুতো বারণ কে তায় করতে পারে?

তোমার পরেই এই অত্যাচার হে মর্তের কল্পতরু।

কারণ ? নহ সিংহ কি বাঘ,

কারন তুমি নেহাৎ গরু।”

 

স্যার মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিলেন – “অনেক বড় হও বাবা”।

 

বড় হয়েও ছিল সেই ছেলেটা। ডাক্তার হয়েছিল। বড়ো সাহিত্যিকও…… বাংলা ছোট গল্পের মাঁপাসা ডা: বলাই চাঁদ মুখোপাধ্যায় ওরফে বনফুল ।

 

বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ “গরু” রচনাগুলোর মধ্যে আজো অবস্থান করছে এই রচনাটি।

============================