সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের অভিযানঃ নিষিদ্ধ ঘোষিত “আনসার আল ইসলাম” এর আইটি বিশেষজ্ঞ গ্রেফতার
- আপডেট টাইম : ০৩:০৫:১৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১২ জুন ২০২১
- / ২৫২ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ গত ১১/০৬/২০২১খ্রিঃ তারিখ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিএমপির খুলশী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত “আনসার আল ইসলাম” এর আইটি বিশেষজ্ঞ মো: শাখাওয়াত আলী, লালু(৪০) কে গ্রেফতার করে। সে দেশে থাকাকালীন উল্লেখিত জঙ্গি সংগঠনের পক্ষে বাংলাদেশের অখন্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বিঘ্ন, বাংলাদেশেকে অস্থিতিশীল, অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার উদ্দেশ্যে ধর্মীয় উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচারের মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাক্তক অবনতি ও সন্ত্রাসী কার্য ঘটানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা, প্রশিক্ষন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক বিন্যাসে প্রচারের কাজে নিয়োজিত ছিল।
গত ২২/০৩/২০২১ ইং তারিখে সে বাংলাদেশে আসে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করার তথ্য জানার পর তার গতিবিধির উপর নজরদারি শুরু করা হয়। গত ১১/০৬/২০২১খ্রিঃ তারিখ জিহাদি কার্যক্রম প্রচারের জন্য খুলশী থানাধীন দক্ষিণ খুলশী আবাসিক এলাকাস্থ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় আহলে হাদীস জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানকালীন সময়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হাতে থাকা ব্যাগ সহ মো: শাখাওয়াত আলী লালু(৪০) কে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
মো: শাখাওয়াত আলী @ লালু(৪০) ২০১২ সাল হতে তার ভায়রা ভাই আরিফ এবং মামুনদের অনুপ্রেরণায় জঙ্গি কার্যক্রমের সহিত সম্পৃক্ত হয়। তাহাদের সংগঠনের নেতা মোয়াজ(চাকুরীচ্যুত মেজর জিয়া) সহ মনসুরাবাদ এলাকার হুজুর শফিক, চট্টগ্রাম লালখান বাজার এলাকার এসির দোকানে কর্মচারী ওমর ফারুকদের সহায়তায় দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর সদস্যদের সংগঠিত করার লক্ষ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। ধৃত অভিযুক্ত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক বিন্যাসে বিভিন্ন প্রকার জিহাদি কার্যক্রম প্রচারের কাজে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসাবে নিয়োজিত ছিল। পরবর্তীতে সে জিহাদে অংশগ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ হতে ২০১৭ সালে তুরস্ক যায়। তুরস্ক হতে অবৈধ পথে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়াতে প্রবেশ করে দীর্ঘ ০৬ মাস “হায়াত তাহরীর আরশাম” এর নিকট হতে ভারী অস্ত্রশস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিয়ে সিরিয়ার “ইদলিব” এলাকায় যুদ্ধে অংশগ্রহন করে। পরবর্তীতে সে সিরিয়া হতে অবৈধ পথে সীমান্ত অতিক্রম করে তুরস্কে হয়ে ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করে। এর পর ইন্দোনেশিয়া হতে শ্রীলংকা হয়ে পুনঃরায় ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে বসবাস করে। ইন্দোনেশিয়ায় বসবাসকালীন সময়ে সে জিহাদী কার্যক্রম পরিচালনা করে।
সর্বশেষ বিগত ২২/০৩/২০২১খ্রিঃ তারিখে বাংলাদেশে এসে পুনঃরায় জিহাদী কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে।
গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে সিএমপির খুলশী থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।