ঢাকা ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জানাযায় প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কতটুকু নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রী সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঠাকুরগাঁওয়ে কবরের ওপর থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক খামার তৈরি করায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা

পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১
  • / ২৫২ ৫০০০.০ বার পাঠক

উখিয়া রিপোর্টার।।

ভারী বর্ষণে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রিত ১২লক্ষাধিক রোহিঙ্গার মধ্যে এক লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পাহাড় ধসের আশঙ্কায় রয়েছে। নতুন পুরনো মিলে উখিয়া টেকনাফে আশ্রিত ১২লক্ষাধিক রোহিঙ্গা ছয় হাজার একরের বেশী বনভূমি দখল করে ঝুপড়ি বানিয়েছে। এই বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল বানাতে গিয়ে উঁচু-নিচু পাহাড়-টিলা কেটে সমতল করা হয়েছে। কিছু রোহিঙ্গা রয়েছে পাহাড়ের চূড়ায়। এসব পাহাড় ও বৃক্ষরাজি কেটে সাবাড় করার কারণে ক্যাম্প অভ্যন্তরে কিছু সংখ্যক স্থানে ভারি বর্ষণে আশঙ্কা রয়েছে পাহাড় ধসের। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্ষায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

কুতুপালং ক্যাম্পের একাধিক রোহিঙ্গা জানায়, অল্প বৃষ্টিতেই আমাদের অবস্থা কাহিল হয়ে উঠেছে। উচু পাহাড়ে যারা আছে- তাদের আর আমরা যারা নিচে আছি সাবাই পাহাড় ধসের আতঙ্কে রয়েছি। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিজাম উদ্দিন বলেন, উচ্চ পাহাড়ে নিচু ডালুতে ঝুকি পূর্ণ বসবাস কারীদের সরে যাবার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। কক্সবাজার শরনার্থী ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজুওয়ান হায়াত বলেন, রোহিঙ্গাদের খালি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু আগে ভাগে যারা পাহাড়ের উচু জায়গায় বসবাস করছে, তাদের সচেতন থাকার জন্য বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক ঘর সংস্কার করে যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ক্যাম্পের অভ্যন্তরে থাকা মসজিদ, সাইক্লোন শেল্টার, আশপাশের স্কুলের ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে বা চূড়ায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে যারা বাস করছে- তাদের সরিয়ে নিতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো তালিকা তৈরির কাজ করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প বালুখালী, হাকিমপাড়া, থাইংখালী, ময়নারঘোনা, চাকমারখোল, জামতলী, উনছিপ্রাং, মুছনী, শালবাগানে অতি ঝুকিপূর্ণ জায়গা রয়েছে। পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, উখিয়া টেকনাফের ক্যাম্পগুলোর মধ্যে ২৬টি ক্যাম্প অতি ঝুকিপূর্ণ। যে কোন মহূর্তে পাহাড় ধসে রোহিঙ্গার প্রাণ হানি ঘটতে পারে। তিনি জানান শনিবার বালুখালী ক্যাম্পের রহিম উল্লাহ (৪০) ও শাপলাপুর ক্যাম্পের নুর ফাতেমা (৩২) নামে দুই রোহিঙ্গা নারী পুরুষ পাহাড় ধ্বসে মারা গেছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা

আপডেট টাইম : ১২:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১

উখিয়া রিপোর্টার।।

ভারী বর্ষণে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রিত ১২লক্ষাধিক রোহিঙ্গার মধ্যে এক লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পাহাড় ধসের আশঙ্কায় রয়েছে। নতুন পুরনো মিলে উখিয়া টেকনাফে আশ্রিত ১২লক্ষাধিক রোহিঙ্গা ছয় হাজার একরের বেশী বনভূমি দখল করে ঝুপড়ি বানিয়েছে। এই বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল বানাতে গিয়ে উঁচু-নিচু পাহাড়-টিলা কেটে সমতল করা হয়েছে। কিছু রোহিঙ্গা রয়েছে পাহাড়ের চূড়ায়। এসব পাহাড় ও বৃক্ষরাজি কেটে সাবাড় করার কারণে ক্যাম্প অভ্যন্তরে কিছু সংখ্যক স্থানে ভারি বর্ষণে আশঙ্কা রয়েছে পাহাড় ধসের। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্ষায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

কুতুপালং ক্যাম্পের একাধিক রোহিঙ্গা জানায়, অল্প বৃষ্টিতেই আমাদের অবস্থা কাহিল হয়ে উঠেছে। উচু পাহাড়ে যারা আছে- তাদের আর আমরা যারা নিচে আছি সাবাই পাহাড় ধসের আতঙ্কে রয়েছি। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিজাম উদ্দিন বলেন, উচ্চ পাহাড়ে নিচু ডালুতে ঝুকি পূর্ণ বসবাস কারীদের সরে যাবার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। কক্সবাজার শরনার্থী ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজুওয়ান হায়াত বলেন, রোহিঙ্গাদের খালি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু আগে ভাগে যারা পাহাড়ের উচু জায়গায় বসবাস করছে, তাদের সচেতন থাকার জন্য বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক ঘর সংস্কার করে যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ক্যাম্পের অভ্যন্তরে থাকা মসজিদ, সাইক্লোন শেল্টার, আশপাশের স্কুলের ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে বা চূড়ায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে যারা বাস করছে- তাদের সরিয়ে নিতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো তালিকা তৈরির কাজ করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প বালুখালী, হাকিমপাড়া, থাইংখালী, ময়নারঘোনা, চাকমারখোল, জামতলী, উনছিপ্রাং, মুছনী, শালবাগানে অতি ঝুকিপূর্ণ জায়গা রয়েছে। পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, উখিয়া টেকনাফের ক্যাম্পগুলোর মধ্যে ২৬টি ক্যাম্প অতি ঝুকিপূর্ণ। যে কোন মহূর্তে পাহাড় ধসে রোহিঙ্গার প্রাণ হানি ঘটতে পারে। তিনি জানান শনিবার বালুখালী ক্যাম্পের রহিম উল্লাহ (৪০) ও শাপলাপুর ক্যাম্পের নুর ফাতেমা (৩২) নামে দুই রোহিঙ্গা নারী পুরুষ পাহাড় ধ্বসে মারা গেছে।