ঢাকা ১১:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন, ইলেভেন ষ্টার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘের ২০২৫ সালের নতুন কমিটি গঠন যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের

বরিশালের গৃহহীনদের জন্য নির্মিত হয়েছে ঘর

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১
  • / ২৮৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উপহার হিসেবে আড়াইশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ৪২টি উপজেলায় ১৩ হাজার ৭১৫ টি গৃহহীন ও অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ঘর ও জমি বিতরন কার্যক্রম শেষপর্যায়ে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘জমি নেই-ঘর নেই’ প্রকল্পের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ে চলতি মাসের মধ্যে ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো সাত হাজার ৬২৭টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মানের কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে রয়েছে। এরআগে একই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় হাজার ৮৮টি পরিবারের মাঝে গত ২০ জানুয়ারি দুই শতক জমিসহ ঘর বিতরণ করা হয়েছে।

পুরো কাজের সার্বিক দিক নির্দেশনা প্রদানসহ তদারকি করা বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাইফুল আহসান বাদল জানান, দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য আবাসন সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উপহার হিসেবে সারাদেশের ন্যায় বিভাগের ছয় জেলার গৃহহীন ও অস্বচ্ছল মানুষের মাঝে ঘর বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে ছয় জেলায় ছয় হাজার ৮৮টি পরিবারের প্রত্যেককে দুই শতক জমিসহ ঘর বিতরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে চলতি মাসের মধ্যে আরো সাত হাজার ৬২৭টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে রয়েছে।

তিনি আরও জানান, এসব আবাসন প্রকল্পগুলো পরিপূর্ণভাবেই বিদ্যুত ও পানি সুবিধা সম্বলিত। এমনকি এসব আবাসনের নিবাসীদের সন্তানরা যাতে পড়াশুনা করতে পারে, সেজন্য প্রকল্পের নিকটবর্তী এলাকায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। পাশাপাশি আবাসন এলাকার কাছে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার জন্য গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথমপর্যায়ে হস্তান্তর হওয়া প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ছিলো এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। আশ্রয়হীনদের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মানাধীন প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় দাঁড়াচ্ছে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা। ছয় জেলার স্ব-স্ব উপজেলার নির্বাহী অফিসারগণ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এসব ঘর নির্মাণের কাজ সরাসরী দেখভাল করছেন। পাশাপাশি সরকারী আবাসন প্রকল্পের এসব ঘর যেন আরো টেকসই ও অধিকতর সুবিধা সম্বলিত হয় সেজন্য পুরো কার্যক্রমটি নিবিড় পর্যবেক্ষনসহ সার্বিক দিক নির্দেশনা প্রদান করছেন বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল আহসান বাদল।

প্রকল্পের কাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুবিধাজনক সময়ে সারাদেশের সাথে বরিশালের ছয় জেলায় নির্মিত দ্বিতীয় পর্যায়ের সাত হাজার ৬২৭টি ঘর গৃহহীন ও অসহায় মানুষের মাঝে আনুষ্ঠনিকভাবে বিতরণের উদ্বোধণ করবেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বরিশালের গৃহহীনদের জন্য নির্মিত হয়েছে ঘর

আপডেট টাইম : ০৮:৩১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উপহার হিসেবে আড়াইশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ৪২টি উপজেলায় ১৩ হাজার ৭১৫ টি গৃহহীন ও অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ঘর ও জমি বিতরন কার্যক্রম শেষপর্যায়ে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘জমি নেই-ঘর নেই’ প্রকল্পের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ে চলতি মাসের মধ্যে ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো সাত হাজার ৬২৭টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মানের কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে রয়েছে। এরআগে একই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় হাজার ৮৮টি পরিবারের মাঝে গত ২০ জানুয়ারি দুই শতক জমিসহ ঘর বিতরণ করা হয়েছে।

পুরো কাজের সার্বিক দিক নির্দেশনা প্রদানসহ তদারকি করা বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাইফুল আহসান বাদল জানান, দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য আবাসন সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উপহার হিসেবে সারাদেশের ন্যায় বিভাগের ছয় জেলার গৃহহীন ও অস্বচ্ছল মানুষের মাঝে ঘর বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে ছয় জেলায় ছয় হাজার ৮৮টি পরিবারের প্রত্যেককে দুই শতক জমিসহ ঘর বিতরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে চলতি মাসের মধ্যে আরো সাত হাজার ৬২৭টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে রয়েছে।

তিনি আরও জানান, এসব আবাসন প্রকল্পগুলো পরিপূর্ণভাবেই বিদ্যুত ও পানি সুবিধা সম্বলিত। এমনকি এসব আবাসনের নিবাসীদের সন্তানরা যাতে পড়াশুনা করতে পারে, সেজন্য প্রকল্পের নিকটবর্তী এলাকায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। পাশাপাশি আবাসন এলাকার কাছে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার জন্য গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রথমপর্যায়ে হস্তান্তর হওয়া প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ছিলো এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। আশ্রয়হীনদের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মানাধীন প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় দাঁড়াচ্ছে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা। ছয় জেলার স্ব-স্ব উপজেলার নির্বাহী অফিসারগণ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এসব ঘর নির্মাণের কাজ সরাসরী দেখভাল করছেন। পাশাপাশি সরকারী আবাসন প্রকল্পের এসব ঘর যেন আরো টেকসই ও অধিকতর সুবিধা সম্বলিত হয় সেজন্য পুরো কার্যক্রমটি নিবিড় পর্যবেক্ষনসহ সার্বিক দিক নির্দেশনা প্রদান করছেন বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল আহসান বাদল।

প্রকল্পের কাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুবিধাজনক সময়ে সারাদেশের সাথে বরিশালের ছয় জেলায় নির্মিত দ্বিতীয় পর্যায়ের সাত হাজার ৬২৭টি ঘর গৃহহীন ও অসহায় মানুষের মাঝে আনুষ্ঠনিকভাবে বিতরণের উদ্বোধণ করবেন।