ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড ধারী দালাল এখন বিগত রাতে কমপক্ষে ১০০জামাত বিএনপি ধরে হাজত দেওয়ার পরও এখনো কর্মগত অবস্থায় কিভাবে আকবেন নির্বাচনের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বোয়ালমারীত আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের এসআই নিহত আবারও ইরানে ইসরাইলের হামলা শুরু আজমিরীগঞ্জে ব্রজপাতে নিহত ১ আহত ১ ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ২৩ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ চাঁদা না দেওয়ায় বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাট: নারীসহ আহত ৬, মামলা নিতে গড়িমসি থানার ওসি কোরবানির গরু কাটা কে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা,পারিশ্রমিক পেয়েও কসাই সাইফুলের ২০ কেজি মাংসের দাবি। এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি বরিশালে মেলা ও যাত্রার প্যান্ডেল ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ পুলিশের কাছে ভারি ‘মারণাস্ত্র’ থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নজরুল হিন্দু-মুসলিমকে এক সুতোয় সম্প্রীতির বাহুডোরে বাঁধতে চেয়েছিলেন

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১
  • / ২৮১ ১৫০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, নজরুলের অবিনশ্বর উপস্থিতি বাঙালী জাতির প্রাণশক্তিকে চিরকাল জাগরিত রাখবে। তিনি হিন্দু-মুসলিমকে এক সুতোয় সম্প্রীতির বাহুডোরে বাঁধতে চেয়েছিলেন।

আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় কবির ১২২তম জন্মবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

তিনি বলেন, বাংলা সাহিত্য-সঙ্গীতে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান অনস্বীকার্য। তার লেখায় অন্যায়, অসত্য, নির্যাতন, পরাধীনতার গ্লানি ও শৃঙ্খল মোচনের দীপ্ত উচ্চারণ যুগ যুগ ধরে মানুষকে সাহসী হওয়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। নজরুলের বলিষ্ঠ লেখনীতে প্রকাশ পেয়েছে পরাধীনতা, সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে তার দৃঢ় অবস্থান। ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি গেয়েছেন মানবতার জয়গান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, পাশাপাশি তার রচিত গজল, রাগ-রাগিণী আজও মানব হৃদয়কে দোলা দেয়। নজরুল কেবল সংগ্রাম ও সাম্যের কবি নন, তারুণ্য ও যৌবনের কবি, জাতীয় জাগরণের কবি। তিনি হিন্দু-মুসলিমকে এক সুতোয় সম্প্রীতির বাহুডোরে বাঁধতে চেয়েছিলেন। তাইতো কবির কণ্ঠে সচকিত উচ্চারণ, ‘মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান, মুসলিম তার নয়ন-মণি হিন্দু তাহার প্রাণ’।

তিনি বলেন, কবি নজরুল ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। যেখানেই অন্যায়-অবিচার, সেখানেই কবির কলম হয়ে উঠেছে খাপছাড়া তলোয়ার। বিশ শতকের প্রথম দুই দশকে যখন নজরুলের শৈশব, কৈশোর অতিক্রান্ত হচ্ছিল উপমহাদেশে তখন স্বাধীনতা আন্দোলন ও ব্রিটিশ শাসনবিরোধী সংগ্রাম চলছিল। ১৯২২ সালে ‘ধূমকেতু’ পত্রিকাতেই নজরুল প্রথম ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি উত্থাপন করেন। নজরুলের লেখনী থেকেই আমরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং বাঙালীর মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা পেয়েছি। ১৯৭১ এর রণাঙ্গনে নজরুলের গান, কবিতা ও নাটক মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নজরুলের প্রতি প্রগাঢ় অনুরাগ ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তাকে সপরিবারে বাংলাদেশে এনে বসবাসের ব্যবস্থা করেন। নজরুল যে অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন, তা বাস্তবায়নে আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কর্ম, চিন্তা ও মননে নজরুলের অবিনশ্বর উপস্থিতি বাঙালী জাতির প্রাণশক্তিকে চিরকাল জাগরিত রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নজরুল হিন্দু-মুসলিমকে এক সুতোয় সম্প্রীতির বাহুডোরে বাঁধতে চেয়েছিলেন

আপডেট টাইম : ০৭:৪৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, নজরুলের অবিনশ্বর উপস্থিতি বাঙালী জাতির প্রাণশক্তিকে চিরকাল জাগরিত রাখবে। তিনি হিন্দু-মুসলিমকে এক সুতোয় সম্প্রীতির বাহুডোরে বাঁধতে চেয়েছিলেন।

আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় কবির ১২২তম জন্মবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

তিনি বলেন, বাংলা সাহিত্য-সঙ্গীতে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান অনস্বীকার্য। তার লেখায় অন্যায়, অসত্য, নির্যাতন, পরাধীনতার গ্লানি ও শৃঙ্খল মোচনের দীপ্ত উচ্চারণ যুগ যুগ ধরে মানুষকে সাহসী হওয়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। নজরুলের বলিষ্ঠ লেখনীতে প্রকাশ পেয়েছে পরাধীনতা, সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে তার দৃঢ় অবস্থান। ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি গেয়েছেন মানবতার জয়গান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, পাশাপাশি তার রচিত গজল, রাগ-রাগিণী আজও মানব হৃদয়কে দোলা দেয়। নজরুল কেবল সংগ্রাম ও সাম্যের কবি নন, তারুণ্য ও যৌবনের কবি, জাতীয় জাগরণের কবি। তিনি হিন্দু-মুসলিমকে এক সুতোয় সম্প্রীতির বাহুডোরে বাঁধতে চেয়েছিলেন। তাইতো কবির কণ্ঠে সচকিত উচ্চারণ, ‘মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান, মুসলিম তার নয়ন-মণি হিন্দু তাহার প্রাণ’।

তিনি বলেন, কবি নজরুল ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। যেখানেই অন্যায়-অবিচার, সেখানেই কবির কলম হয়ে উঠেছে খাপছাড়া তলোয়ার। বিশ শতকের প্রথম দুই দশকে যখন নজরুলের শৈশব, কৈশোর অতিক্রান্ত হচ্ছিল উপমহাদেশে তখন স্বাধীনতা আন্দোলন ও ব্রিটিশ শাসনবিরোধী সংগ্রাম চলছিল। ১৯২২ সালে ‘ধূমকেতু’ পত্রিকাতেই নজরুল প্রথম ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি উত্থাপন করেন। নজরুলের লেখনী থেকেই আমরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং বাঙালীর মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা পেয়েছি। ১৯৭১ এর রণাঙ্গনে নজরুলের গান, কবিতা ও নাটক মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নজরুলের প্রতি প্রগাঢ় অনুরাগ ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তাকে সপরিবারে বাংলাদেশে এনে বসবাসের ব্যবস্থা করেন। নজরুল যে অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন, তা বাস্তবায়নে আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কর্ম, চিন্তা ও মননে নজরুলের অবিনশ্বর উপস্থিতি বাঙালী জাতির প্রাণশক্তিকে চিরকাল জাগরিত রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’