ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

গফরগাঁওয়ে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে জটিলতা

সময়ের কন্ঠ  রিপোর্ট।।

ময়মনসিংহে গফরগাঁওয়ে এরই মধ্যে ফুরিয়ে গেছে অক্সফোর্ড-অ্যাষ্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন-কোভিশিল্ডের মজুদ।

গত ২০ মে বৃহস্পতিবার থেকে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনটি বুথসহ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৬টি কোভিড ভ্যাকসিন টিকাদান বুথে টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে হয়ে গেছে। এর ফলে ভ্যাকসিনটির প্রথম ডোজ পেয়েছেন এমন প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশের ন্যায় উপজেলায় ৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল থেকে করোনা ভাইরাসের টিকা ব্যবহার শুরু হয়। প্রথম ধাপে উপজেলায় ১৫ দিনে ১২ হাজার মানুষকে এই টিকা দেওয়ার টার্গেট নিয়ে প্রথম ধাপের জন্য ২৪ হাজার ১’শ ৫ ডোজ টিকা বরাদ্ধ দেওয়া হয় এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয় । স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ি গত ২৭ এপ্রিল এ উপজেলায় প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত গফরগাঁও উপজেলায় ৮০ দিনে মাত্র ৭০৯০ জন মানুষ প্রথম ডোজের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করে। গত ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান কার্যক্রম। গত ৪৪ দিনে উপজেলার ৩৬১০ জন মানুষের দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহন করার সোভাগ্য হয়। বাকী টিকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জেলায় ফেরত পাঠায় ।

শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার জন্য মানুষের ভিড়। সকলেই স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্ধারিত সময় অনুযায়ি প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন। এখন দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রাপ্তি নিয়ে তাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাইন উদ্দিন খান মানিক জানান, গফরগাঁও উপজেলায় জন্য কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের স্টক শেষ। প্রায় ৩ হাজার ৪’শ ২০ জনের দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সরকার এই টিকা আমদানী করলে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে তারা দ্বিতীয় ডোজের টিকা দিতে পারবেন।

অক্সফোর্ড-অ্যাষ্ট্রাজেনেকার র্নিমিত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন এই সময়ের মধ্যে না পাওয়া গেলে যারা প্রথম ডোজ নিয়ে তারা কি করবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এই বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃংপক্ষ বলতে পারবেন।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রচন্ড খড়া রোদে ডিএমপি কমিশনারের স্বস্থির উদ্যোগ

গফরগাঁওয়ে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে জটিলতা

আপডেট টাইম : ০৮:০৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৩ মে ২০২১

সময়ের কন্ঠ  রিপোর্ট।।

ময়মনসিংহে গফরগাঁওয়ে এরই মধ্যে ফুরিয়ে গেছে অক্সফোর্ড-অ্যাষ্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন-কোভিশিল্ডের মজুদ।

গত ২০ মে বৃহস্পতিবার থেকে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনটি বুথসহ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৬টি কোভিড ভ্যাকসিন টিকাদান বুথে টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে হয়ে গেছে। এর ফলে ভ্যাকসিনটির প্রথম ডোজ পেয়েছেন এমন প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশের ন্যায় উপজেলায় ৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল থেকে করোনা ভাইরাসের টিকা ব্যবহার শুরু হয়। প্রথম ধাপে উপজেলায় ১৫ দিনে ১২ হাজার মানুষকে এই টিকা দেওয়ার টার্গেট নিয়ে প্রথম ধাপের জন্য ২৪ হাজার ১’শ ৫ ডোজ টিকা বরাদ্ধ দেওয়া হয় এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয় । স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ি গত ২৭ এপ্রিল এ উপজেলায় প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত গফরগাঁও উপজেলায় ৮০ দিনে মাত্র ৭০৯০ জন মানুষ প্রথম ডোজের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করে। গত ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান কার্যক্রম। গত ৪৪ দিনে উপজেলার ৩৬১০ জন মানুষের দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহন করার সোভাগ্য হয়। বাকী টিকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জেলায় ফেরত পাঠায় ।

শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার জন্য মানুষের ভিড়। সকলেই স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্ধারিত সময় অনুযায়ি প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন। এখন দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রাপ্তি নিয়ে তাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাইন উদ্দিন খান মানিক জানান, গফরগাঁও উপজেলায় জন্য কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের স্টক শেষ। প্রায় ৩ হাজার ৪’শ ২০ জনের দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সরকার এই টিকা আমদানী করলে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে তারা দ্বিতীয় ডোজের টিকা দিতে পারবেন।

অক্সফোর্ড-অ্যাষ্ট্রাজেনেকার র্নিমিত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন এই সময়ের মধ্যে না পাওয়া গেলে যারা প্রথম ডোজ নিয়ে তারা কি করবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এই বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃংপক্ষ বলতে পারবেন।