ঢাকা ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড

৩দিন থেকে ওয়াসার পানিসরবরাহ না থাকায় ঈদপণ্ড!

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:৩৯:৫৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৪ মে ২০২১
  • / ২৮৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

মোহাম্মদপুর এলাকার ৪/১০ নং হুমায়ুনরোডের সরকারি দ্বিতল বিল্ডিংয়ে গত
শেষতিনদিন (২৮ রোজা) থেকে দিন-রাত ওয়াসার কোনো পানিসরবরাহ নেই। ফলে আমরা
২৮ রমজান থেকে পানিবিহীন দিন কাটাচ্ছি এবং ইফতার ও সাহরির খাবার রান্না
করেছি কেনা পানি দিয়ে। এমনকি পানিবিহীন ইফতারির পর গতরাতে (১৩ মে) কোনো
রান্নাবান্না করাও সম্ভব হয়নি বলে পরিবারের ৫জন সদস্য না খেয়েই ছিলাম।

২০বছর যাবত এই বাসায় বসবাসরত থাকাবস্থায় এ ধরনের সংকটে কখনো পড়িনি
বলে পানিসংরক্ষণ ব্যবস্থাও আমরা দুইজন এলোটি গড়ে তুলিনি। আগেও মাঝে মাঝে
পানির অভাব ঘটলেও একসময় পানিসরবরাহ স্বাভাবিক হলে পানিসংকট ঘটতো না। তবে
রোজার মাসে এতদিন দিনে কোনো পানিসরবরাহ না থাকলেও রাতে পাওয়া যেতো।
কিন্তু গত তিনদিনসহ আজ পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনও ওয়াসার লাইনে কোনো
পানিসরবরাহ নেই। ফলে নামাজ-রোজা, গোসল, রান্নাবান্নার কী অবস্থা, তা সহজে
অনুমেয়। এই তিনচারদিন আমরা পানির মেশিন চালু করে সারা রাত-দিন পানির
আশায় বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছে।

তবে তিনদিনের চরম কষ্টের মাঝে গত দিবারাত (১৪ মে) ৩টার দিকে সামান্য কিছু
পানি পাওয়া গেছে ওয়াসার লাইনে। তা দিয়েই চলছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের
আয়োজন। এই পানিটুকু শেষ হলে সারাদিন আবার নিদারুণ কষ্ট করতে হবে। রোজার
শেষের দিকে কোনো ঘোষণাছাড়াই ওয়াসা কেন পানিসরবরাহ বন্ধ করে কারবালার
কষ্ট দিচ্ছে, তা বোধগম্য নয়।  এটি সরকারি বাসা হওয়ায় গণপূর্ত
মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের সংশ্লিষ্ট নতুন উপবিভাগীয়
প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদসহ (ফোন-01710554554) সংশ্লিষ্ট পানির মিস্ত্রি
শফিকেও (ফোন-01677464691) এই সমস্যা জানিয়ে কোনো সাড়া ও সমাধান পাওয়া
যায়নি। তবে এর আগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জনাব তানভীর এক্ষেত্রে খুবই
মানবিক গুণসম্পন্ন ও তড়িৎকর্মা ছিলেন।

শুধু তাই নয়, আমরা পরিবারের ৫জন সদস্য ২০ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত
করোনাক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দী থাকাবস্থায় ৩টি রুমের মধ্যে দুই রুমেরই এলইডি
লাইট নষ্ট হয়ে যায়। লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ থাকায় সমস্যা সমাধানে
ব্যর্থ হয়ে রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের SAE মহিউদ্দিনসহ (01724870999)
বিদ্যুতের দায়িত্বরত SAE নুরুদ্দিনকে (01911263527) বারবার ডাকলেও, তারা
কথা দিয়েও লাইটসমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেননি। সর্বশেষে একান্ত বাধ্য
হয়ে আমি এসডিই জনাব তোফায়েলের (ফোন-01710554554) হস্তক্ষেপ কামনা করি।
গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আশায় থাকলেও তিনিও কোনো রকম সমস্যাসমাধান না করে
সরকারি দায়িত্ব অবহেলাসহ চরম অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তারা সমাধান
করতে পারবেন না, তা সাফ জানিয়ে দিলে আমরা আশায় আশায় থেকে একমাস
পর্যন্ত অন্ধকারে থেকে কষ্ট ভোগ করতাম না। ফলে অসুস্থ শরীর নিয়ে ঈদের
আগের দিন আমি বাধ্য হয়ে অনেক জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করে লাইটসমস্যার
সমাধান করতে বাধ্য হয়েছি। এ ব্যাপারে ফোনে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীর
না পাওয়ায় তাকে অভিযোগ করা যায়নি। তাই  রক্ষণাবেক্ষণ উপ-বিভাগীয়
প্রকৌশলীর এমন অনীহা, অমানবিকতা ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগটি
তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

৩দিন থেকে ওয়াসার পানিসরবরাহ না থাকায় ঈদপণ্ড!

আপডেট টাইম : ০২:৩৯:৫৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৪ মে ২০২১
সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

মোহাম্মদপুর এলাকার ৪/১০ নং হুমায়ুনরোডের সরকারি দ্বিতল বিল্ডিংয়ে গত
শেষতিনদিন (২৮ রোজা) থেকে দিন-রাত ওয়াসার কোনো পানিসরবরাহ নেই। ফলে আমরা
২৮ রমজান থেকে পানিবিহীন দিন কাটাচ্ছি এবং ইফতার ও সাহরির খাবার রান্না
করেছি কেনা পানি দিয়ে। এমনকি পানিবিহীন ইফতারির পর গতরাতে (১৩ মে) কোনো
রান্নাবান্না করাও সম্ভব হয়নি বলে পরিবারের ৫জন সদস্য না খেয়েই ছিলাম।

২০বছর যাবত এই বাসায় বসবাসরত থাকাবস্থায় এ ধরনের সংকটে কখনো পড়িনি
বলে পানিসংরক্ষণ ব্যবস্থাও আমরা দুইজন এলোটি গড়ে তুলিনি। আগেও মাঝে মাঝে
পানির অভাব ঘটলেও একসময় পানিসরবরাহ স্বাভাবিক হলে পানিসংকট ঘটতো না। তবে
রোজার মাসে এতদিন দিনে কোনো পানিসরবরাহ না থাকলেও রাতে পাওয়া যেতো।
কিন্তু গত তিনদিনসহ আজ পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনও ওয়াসার লাইনে কোনো
পানিসরবরাহ নেই। ফলে নামাজ-রোজা, গোসল, রান্নাবান্নার কী অবস্থা, তা সহজে
অনুমেয়। এই তিনচারদিন আমরা পানির মেশিন চালু করে সারা রাত-দিন পানির
আশায় বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছে।

তবে তিনদিনের চরম কষ্টের মাঝে গত দিবারাত (১৪ মে) ৩টার দিকে সামান্য কিছু
পানি পাওয়া গেছে ওয়াসার লাইনে। তা দিয়েই চলছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের
আয়োজন। এই পানিটুকু শেষ হলে সারাদিন আবার নিদারুণ কষ্ট করতে হবে। রোজার
শেষের দিকে কোনো ঘোষণাছাড়াই ওয়াসা কেন পানিসরবরাহ বন্ধ করে কারবালার
কষ্ট দিচ্ছে, তা বোধগম্য নয়।  এটি সরকারি বাসা হওয়ায় গণপূর্ত
মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের সংশ্লিষ্ট নতুন উপবিভাগীয়
প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদসহ (ফোন-01710554554) সংশ্লিষ্ট পানির মিস্ত্রি
শফিকেও (ফোন-01677464691) এই সমস্যা জানিয়ে কোনো সাড়া ও সমাধান পাওয়া
যায়নি। তবে এর আগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জনাব তানভীর এক্ষেত্রে খুবই
মানবিক গুণসম্পন্ন ও তড়িৎকর্মা ছিলেন।

শুধু তাই নয়, আমরা পরিবারের ৫জন সদস্য ২০ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত
করোনাক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দী থাকাবস্থায় ৩টি রুমের মধ্যে দুই রুমেরই এলইডি
লাইট নষ্ট হয়ে যায়। লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ থাকায় সমস্যা সমাধানে
ব্যর্থ হয়ে রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের SAE মহিউদ্দিনসহ (01724870999)
বিদ্যুতের দায়িত্বরত SAE নুরুদ্দিনকে (01911263527) বারবার ডাকলেও, তারা
কথা দিয়েও লাইটসমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেননি। সর্বশেষে একান্ত বাধ্য
হয়ে আমি এসডিই জনাব তোফায়েলের (ফোন-01710554554) হস্তক্ষেপ কামনা করি।
গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আশায় থাকলেও তিনিও কোনো রকম সমস্যাসমাধান না করে
সরকারি দায়িত্ব অবহেলাসহ চরম অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তারা সমাধান
করতে পারবেন না, তা সাফ জানিয়ে দিলে আমরা আশায় আশায় থেকে একমাস
পর্যন্ত অন্ধকারে থেকে কষ্ট ভোগ করতাম না। ফলে অসুস্থ শরীর নিয়ে ঈদের
আগের দিন আমি বাধ্য হয়ে অনেক জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করে লাইটসমস্যার
সমাধান করতে বাধ্য হয়েছি। এ ব্যাপারে ফোনে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীর
না পাওয়ায় তাকে অভিযোগ করা যায়নি। তাই  রক্ষণাবেক্ষণ উপ-বিভাগীয়
প্রকৌশলীর এমন অনীহা, অমানবিকতা ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগটি
তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া দরকার।