ঢাকা ০৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাবার থ্রি হুইলারে চড়ে স্কুলে যাওয়া হলোনা রুবাইয়ার// ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ে নিহত ঘিওর, মানিকগঞ্জের এই জুলুমের বিচারের জন্য আওয়াজ তুলুন, স্থানীয়রা এগিয়ে আসুন! জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার মালয়েশিয়ায় ১৭০০ রিঙ্গিতের নিচে বেতনপ্রাপ্ত শ্রমিকদের অভিযোগ করার আহ্বান গণঅভ্যুত্থানে মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় ১৬ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে ট্রাইব্যুনাল ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা: কখন কীভাবে কার্যকর হবে কাঠালিয়া গার্ডার ব্রিজ রাতে ঢালাই রাতে ডেবে যায় নাসিরনগরে তিন সংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত সাবেক সিইসির সঙ্গে মব জাস্টিসের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলেকে আটক করেছে থানা পুলিশ

ঘুস ছাড়া’ কোনো কাজই করেন না, এলজিইডির জিয়াউর রহমান উপ সহকারী প্রকৌশলী- নিরাব ভূমিকায় উপজেলা প্রকৌশলী

অনুসন্ধানী রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০১:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • / ৪ ১৫০.০০০ বার পাঠক

কাঠালিয়া উপজেলা এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ঘুস ছাড়া কোনো কাজ অনুমোদন করছেন না। টেন্ডার অনুমোদন করা – সহ নানা দুনীতি অভিযোগ উঠেছে,এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী নীরব ভূমিকা পালন করছে,
কাঠালিয়া সোনারবাংলা বাজার সংলগ্ন গাডার ব্রিজ স্লাব ঢালাই হয়,সেখানে নির্মাণসামগ্রী দিয়ে ঢালাই করার জন্য রাতেই ব্রিজটি ডেবে যায়, উক্ত কাজের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন কাঠালিয়া উপসহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান। সংবাদকর্মীরা তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,সাংবাদিকদের এই সব বিষয়ে জেনে কাজ নেই” বলে ফোন কেটে দেন।
এভাবেই দিনের পর দিন জিয়াউর রহমান সরকারি টাকার নয়ছয় করে যাচ্ছে, দেখার কেউ নেয়।
বিল প্রদান প্রক্রিয়ায় ইচ্ছাকৃত বিলম্ব, অজুহাতে কাজ আটকে রাখা এবং আর্থিক সুবিধা ছাড়া কার্যক্রম শুরু করতে না দেওয়া এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তিনি এ পদে আসতে মোটা অংকের টাকা খরচ করেছেন। তা পুনরুদ্ধার করতেই ঘুস বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।
সাধারণ জনগণের দাবি, একজন অসৎ ও বিতর্কিত কর্মকর্তার নেতৃত্বে কাঠালিয়া উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তারা অবিলম্বে জিয়াউর রহমান অপসারণ এবং একজন সৎ, নীতিবান প্রকৌশলীর নিয়োগ দাবি করেন। অভিযোগ অনুসারে, তিনি নানা কৌশলে রাজাপুর থেকে কাঠালিয়া অবস্থান করে আসছেন এবং তার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।এলজিইডির বিভিন্ন ভুয়া বিল ও ভাউচার তৈরি করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি নিজ নামে এবং বেনামে সম্পদ অর্জন করেছেন, যার মধ্যে ব্যাংক ব্যালান্সের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং অন্যান্য মূল্যবান সম্পত্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারী জানান, জিয়াউর রহমান প্রায় বছর ধরে কাঠালিয়া কর্মরত রয়েছেন। রাজাপুর থেকে দুনীতির কারনে বদলি হলেও, অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কাঠালিয়া দুনীতি টিকে থাকার রহস্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সহায়তায় নানা কৌশল অবলম্বন করে টিকে থাকেন ও আওয়ামী লীগের দোসর পর্স্রাই দিয়ে। একবার সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে, তিনি বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতা এবং বড় সাংবাদিকদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তাদের ভয় দেখান এবং বতমানে বিএনপির ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের নীরব রাখার চেষ্টা করেন।দুর্নীতিতে বেপরোয়া এই কর্মকর্তা – আওয়ামী লীগের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে কাজ করেন।কাঠালিয়াবাসী তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাবে তিনি এভাবে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করতে সক্ষম হয়েছেন। জনগণ বলছেন, যতক্ষণ না তিনি তার অপকর্মের জন্য শাস্তি পাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা নিশ্চিন্ত হবেন না। এলজিইডি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাঠালিয়াবাসীর এই আন্দোলন জাতীয় পর্যায়ে আলোচিত হতে পারে, এবং তা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঘুস ছাড়া’ কোনো কাজই করেন না, এলজিইডির জিয়াউর রহমান উপ সহকারী প্রকৌশলী- নিরাব ভূমিকায় উপজেলা প্রকৌশলী

আপডেট টাইম : ০১:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

কাঠালিয়া উপজেলা এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ঘুস ছাড়া কোনো কাজ অনুমোদন করছেন না। টেন্ডার অনুমোদন করা – সহ নানা দুনীতি অভিযোগ উঠেছে,এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী নীরব ভূমিকা পালন করছে,
কাঠালিয়া সোনারবাংলা বাজার সংলগ্ন গাডার ব্রিজ স্লাব ঢালাই হয়,সেখানে নির্মাণসামগ্রী দিয়ে ঢালাই করার জন্য রাতেই ব্রিজটি ডেবে যায়, উক্ত কাজের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন কাঠালিয়া উপসহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান। সংবাদকর্মীরা তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,সাংবাদিকদের এই সব বিষয়ে জেনে কাজ নেই” বলে ফোন কেটে দেন।
এভাবেই দিনের পর দিন জিয়াউর রহমান সরকারি টাকার নয়ছয় করে যাচ্ছে, দেখার কেউ নেয়।
বিল প্রদান প্রক্রিয়ায় ইচ্ছাকৃত বিলম্ব, অজুহাতে কাজ আটকে রাখা এবং আর্থিক সুবিধা ছাড়া কার্যক্রম শুরু করতে না দেওয়া এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তিনি এ পদে আসতে মোটা অংকের টাকা খরচ করেছেন। তা পুনরুদ্ধার করতেই ঘুস বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।
সাধারণ জনগণের দাবি, একজন অসৎ ও বিতর্কিত কর্মকর্তার নেতৃত্বে কাঠালিয়া উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তারা অবিলম্বে জিয়াউর রহমান অপসারণ এবং একজন সৎ, নীতিবান প্রকৌশলীর নিয়োগ দাবি করেন। অভিযোগ অনুসারে, তিনি নানা কৌশলে রাজাপুর থেকে কাঠালিয়া অবস্থান করে আসছেন এবং তার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।এলজিইডির বিভিন্ন ভুয়া বিল ও ভাউচার তৈরি করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি নিজ নামে এবং বেনামে সম্পদ অর্জন করেছেন, যার মধ্যে ব্যাংক ব্যালান্সের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং অন্যান্য মূল্যবান সম্পত্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারী জানান, জিয়াউর রহমান প্রায় বছর ধরে কাঠালিয়া কর্মরত রয়েছেন। রাজাপুর থেকে দুনীতির কারনে বদলি হলেও, অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কাঠালিয়া দুনীতি টিকে থাকার রহস্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সহায়তায় নানা কৌশল অবলম্বন করে টিকে থাকেন ও আওয়ামী লীগের দোসর পর্স্রাই দিয়ে। একবার সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে, তিনি বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতা এবং বড় সাংবাদিকদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তাদের ভয় দেখান এবং বতমানে বিএনপির ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের নীরব রাখার চেষ্টা করেন।দুর্নীতিতে বেপরোয়া এই কর্মকর্তা – আওয়ামী লীগের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে কাজ করেন।কাঠালিয়াবাসী তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাবে তিনি এভাবে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করতে সক্ষম হয়েছেন। জনগণ বলছেন, যতক্ষণ না তিনি তার অপকর্মের জন্য শাস্তি পাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা নিশ্চিন্ত হবেন না। এলজিইডি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাঠালিয়াবাসীর এই আন্দোলন জাতীয় পর্যায়ে আলোচিত হতে পারে, এবং তা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।