ভোলার চরফ্যাশনের যৌতুক লোভী স্বামী আলমগীরের নির্যাতনের শিকার স্তী রেশমা

- আপডেট টাইম : ০৪:৫৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
- / ৭ ১৫০.০০০ বার পাঠক
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের। ২ নং ওয়ার্ডের জলিল ফরাজির মেয়ে মোসঃরেশমা কে যৌতুকের জন্য ঢাকা মিরপুর ৭ এর ভাড়াটিয়া বাসায় মারধর করে গুরুতর আহত করেন।আহত স্বজনরা জানান একই উপজেলার জিন্নাগর ইউনিয়নের মৃত আবু কালামের ছেলে মোঃআলমগীর(৩০)। জানাযায় বিয়ের পর থেকে সংসার টি ভালোই কাটছিল কিন্তু শশুর আবুকালাম মারা যাওয়ার পরে তার ননদ জেসমিন (২৫) ও শাশুরী তার সাথে ভালো আছরন করে নি তার সাশুরী ও তাকে ভিবিন্ন সময় গালিগালাজ করতেন। রেসমা বলেন আমি আমার বাবার বারীর আত্মীয় স্বজনকে জানাই লে তারা আমাকে ধর্য ধারণ করার জন্য বলে।এরপর আমার স্বামী অসুস্থ হওয়ায় কিছু দেনা করে তার চিকিৎসা চালিয়েছি, পাওনার টাকার জন্য আমি ও আমার স্বামী ঢাকা চলে আসি এরপর ঢাকা এসে চাকরি আমি নেই প্রতি মাসে ১৮০০০/ হাজার টাকা পাইলেও সেই টাকার ১৫০০০/ হাজার টাকা ভাগ দিতে হয় স্বামী আলমগীর কে। যদি আমি রেশমা চাকরি না করার প্রস্তাব দেই তাহলে আমাকে ও আমার সন্তানদের কে মেরে ফেলবে এবং লাস গুম করে দিবে বলে আমাকে হুমকি দেয় তারকারনেই আমি জিবন বাজী রেখে চাকরি করে আসছি।পাশের ভাড়াটিয়া বলেন কিছু দিন পর পর রেসমা কে মারধর করে। আমরা বাধা দিলে তার স্বামী বলে আমার ব্যাপার তারপর আমরা আর কিছুই বলিনি। কিন্তু তার জিবন আর জিবন নেই গত ২৩ ই মে ২০২৫ ইং রাত ১১ টার সময় অফিস থেকে টাকা পেয়ে স্বামী ও বাচ্চার জন্য মার্কেট করে বাসায় আসলে। তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন, আহত অবস্থায় তার রেসমার চাচী ও বোন রিক্তা সহকারে ঐ বাসায় গেলে। তারা রেসমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে দ্রুত মিরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়, এখন রেশমা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। রেসমা বলেন আমার ননদ জেসমিন ও সাশুরী আমাকে বিভিন্ন সময় মারধর করতো।রেসমা বলেন আমার স্বামী আলমগীর কে প্রতি মাসে বেতন পেয়ে ১৫০০০/ হাজার টাকা দেই বাকি ৩০০০/ হাজার টাকা হাত খরচ হিসেবে রাখি তারপরও সান্তি নেই আমার।রেসমার কাকি জানান আমরা রাতে খাবারের পর ঘুমাতে গেলে হঠাৎ করে একটি ফোন আসলে দেখি রেসমার ফোন তখন কথা বলতে না পাড়ায় আমি ও রেসমার বোন ঐ বাসায় যাই তারপর দেখি মাথায় রক্ত তখন আলমগীর কে জিঙ্গেস করলে আলমগীর বলে তারকাঁটার সাথে এরকম হয়েছে আলমগীর আমাকে মিথ্যা বলে এরিয়ে যায়।রেসমার চাচা আবু কালাম বলেন আমার স্ত্রী রেসমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।ভাই বলেন বিয়ের পর থেকে আলমগীর আমার বোনকে মারধর করে আসছে এর আগেও দুই বার পিটিয়ে আহত করেন তারপর আমরা মিমাংসা করে দেই এর কঠিন বিচার চাই। চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃমিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন এবিষয়ে আমি কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।