ঢাকা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ময়মনসিংহ জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর পিডি কামাল খান এখনো বহাল★ ভূয়া বিল ভাউচারে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ। ★ কানাডাতে সেকেন্ড হোম হিসেবে দশ কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট ক্রয় করে ছেলের মাধ্যমে ব্যবসা করছেন ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসপি বলেন , লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি তদন্ত প্রতিবেদনে হাসিনার বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যুদ্ধবিরতির পর ভারত-পাকিস্তান যা দাবি করছে হাসিনা কামাল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা নাসিরনগরে বজ্রপাতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু শহীদ নিজামীর খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ -মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের অবহেলায় মহাসড়ক অনিরাপদ, জনদুর্ভোগ চরমে

মোঃ ফরিদ আহমেদ নিজস্ব প্রতিনিধি (গাজীপুর)
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / ৫ ১৫০০০.০ বার পাঠক

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর অংশটি হাইওয়ে পুলিশের নজরদারির অভাবে ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে খাড়া জোড়া উড়ালসেতুর নিচে বেপরোয়া যানবাহন পার্কিং, অবৈধ দোকান বসানো এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার ঝুঁকি যেমন বাড়ছে, তেমনি চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই মহাসড়কের ফুটপাত, ওভারব্রিজ এমনকি উড়ালসেতুর নিচ পর্যন্ত বিভিন্ন অবৈধ দখলদারের কবলে পড়েছে। এ বিষয়ে একাধিকবার নাওজোর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রইছ উদ্দিনকে জানানো হলেও তিনি কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেননি।

খাড়া জোড়া উড়ালসেতুর নিচে ‘আজমেরী গ্লোরি’ ও ‘তাকওয়া’ নামে দুটি বেসরকারি যাত্রীবাহী বাস সার্ভিসের গাড়ি বেপরোয়াভাবে পার্কিং করে রাখা হয়, যা ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী দূরপাল্লার বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনের চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

যানবাহনের চালক ও পথচারীদের অভিযোগ, এলোমেলো পার্ক করা এসব গাড়ি সরাতে অনুরোধ জানালে সংশ্লিষ্ট চালক বা দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা দুর্ব্যবহার করেন। শুধু তাই নয়, উড়ালসেতুর নিচে বসানো ভাতের হোটেল, চা-স্টল ও অন্যান্য দোকান থেকে প্রতিনিয়ত বর্জ্য ও ময়লা সড়কে ফেলে রাখায় রাস্তাটি প্রায়ই পিচ্ছিল ও দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে পড়ে।

দোকানিরা জানান, হাইওয়ে পুলিশ প্রতিদিন তাদের দোকান দেখে গেলেও কিছু বলে না। তারা প্রতিমাসে নির্ধারিত ভাড়া দেন বলেও দাবি করেন। দোকান বসানো ও গাড়ি পার্কিংয়ের বিনিময়ে স্থানীয়ভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও উঠেছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ রইছ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে দেখতেছি দেখতেছি,বলে এড়িয়ে যান। দুপুর দুইটার দিকে একাধিক সাংবাদিক নাওজোর হাইওয়ে থানার (ওসি) রইছ উদ্দিনকে বিষয়টি জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক পর্যন্ত সড়কপথে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। অথচ উড়ালসেতুর নিচে নিয়মবহির্ভূত গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায়ই বিঘ্নিত হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও কঠোর তদারকি না থাকলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের অবহেলায় মহাসড়ক অনিরাপদ, জনদুর্ভোগ চরমে

আপডেট টাইম : ১১:৪৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর অংশটি হাইওয়ে পুলিশের নজরদারির অভাবে ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে খাড়া জোড়া উড়ালসেতুর নিচে বেপরোয়া যানবাহন পার্কিং, অবৈধ দোকান বসানো এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার ঝুঁকি যেমন বাড়ছে, তেমনি চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই মহাসড়কের ফুটপাত, ওভারব্রিজ এমনকি উড়ালসেতুর নিচ পর্যন্ত বিভিন্ন অবৈধ দখলদারের কবলে পড়েছে। এ বিষয়ে একাধিকবার নাওজোর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রইছ উদ্দিনকে জানানো হলেও তিনি কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেননি।

খাড়া জোড়া উড়ালসেতুর নিচে ‘আজমেরী গ্লোরি’ ও ‘তাকওয়া’ নামে দুটি বেসরকারি যাত্রীবাহী বাস সার্ভিসের গাড়ি বেপরোয়াভাবে পার্কিং করে রাখা হয়, যা ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী দূরপাল্লার বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনের চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

যানবাহনের চালক ও পথচারীদের অভিযোগ, এলোমেলো পার্ক করা এসব গাড়ি সরাতে অনুরোধ জানালে সংশ্লিষ্ট চালক বা দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা দুর্ব্যবহার করেন। শুধু তাই নয়, উড়ালসেতুর নিচে বসানো ভাতের হোটেল, চা-স্টল ও অন্যান্য দোকান থেকে প্রতিনিয়ত বর্জ্য ও ময়লা সড়কে ফেলে রাখায় রাস্তাটি প্রায়ই পিচ্ছিল ও দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে পড়ে।

দোকানিরা জানান, হাইওয়ে পুলিশ প্রতিদিন তাদের দোকান দেখে গেলেও কিছু বলে না। তারা প্রতিমাসে নির্ধারিত ভাড়া দেন বলেও দাবি করেন। দোকান বসানো ও গাড়ি পার্কিংয়ের বিনিময়ে স্থানীয়ভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও উঠেছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ রইছ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে দেখতেছি দেখতেছি,বলে এড়িয়ে যান। দুপুর দুইটার দিকে একাধিক সাংবাদিক নাওজোর হাইওয়ে থানার (ওসি) রইছ উদ্দিনকে বিষয়টি জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক পর্যন্ত সড়কপথে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। অথচ উড়ালসেতুর নিচে নিয়মবহির্ভূত গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায়ই বিঘ্নিত হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও কঠোর তদারকি না থাকলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।