ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক খামার তৈরি করায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

- আপডেট টাইম : ০৭:৪১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
- / ২ ৫০০০.০ বার পাঠক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের পাঘাচং গ্রামের শ্যামল মিয়া তার গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তুলেছে পোল্ট্রি মুরগির খামার। খামারের দুর্গন্ধে এলাকায় বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসী অতিষ্ঠ। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার শতাধিক মানুষ বলেন, শ্যামল মিয়া এলাকাতে টাকা পয়সা ও ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে, সে এলাকায় গড়ে তুলেছে বাণিজ্যিক পোল্টি মুরগীর খামার। তার বাড়ীর দ্বিতীয় তলায় সে পোল্ট্রি মুরগির খামার গড়ে তুলেছে। আমরা ভয়ে তাকে কিছু বলতে পারিনা। কিছু বলতে গেলে সে বিভিন্নভাবে গ্রামের মানুষকে হুমকি ধমকী দেয়। গ্রামবাসী আরো জানায়, মুরগির এই মলের দুর্গন্ধে, আমরা গ্রামে বসবাস করতে পারছি না। জানা যায় শ্যামল মিয়া এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায়, তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনা। ক্ষমতা দেখিয়ে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক মুরগির খামার গড়ে তুলেছে শ্যামল মিয়া। সাংবাদিকদের কাছে বলেন, দুর্গন্ধে এলাকায় বসবাস করা যাচ্ছে না। আপনাদের মাধ্যমে একটা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, এটা আমরা চাই। সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শ্যামল মিয়া বলেন, আপনারা কি পরিবেশ অধিদপ্তরে চাকরি করেন? আপনারা কি পরিবেশ অধিদপ্তরের লোক যে আমাকে প্রশ্ন করছেন? শ্যামল মিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবৈধ ডেজার ও বালু ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল বলেও সূত্রে জানা যায়। সে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আওয়ামীলিগের ক্ষমতাধর নেতা পরিচয় দিয়ে অবৈধ ড্রেজার ও বালুর ব্যবসা করতো। এই ক্ষমতাধর শ্যামল মিয়ার খুঁটির জোর কোথায় জানতে চায় নিরীহ গ্রামবাসী? শ্যামল মিয়ার আবাসিক এলাকায়, এই খামার গড়ে তোলার ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রাখিবুল হাসান জানায়, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে কোনো মুরগির খামার করতে পারবে না, যা দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা এ ব্যাপারে জানতে পেরেছি, ব্যবস্থা নিবো।