ঢাকা ০১:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫

আজমিরীগঞ্জে চেয়ারম্যান  মেম্বারের পূর্ব বিরোধের জেরে  দুর্বৃত্তরা বিষ দিয়ে পুড়িয়ে দিল বর্গাচাষী কৃষকের সোনালী  স্বপ্ন

মোঃ আংগুর মিয়া আজমিরীগঞ্জ  হবিগঞ্জ
  • আপডেট টাইম : ১০:২৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
  • / ১২ ৫০০০.০ বার পাঠক

আজমিরীগঞ্জ  উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নে লাম্বাদোড়াল  হাওয়রে দুই বর্গাচাষি কৃষকের প্রায় ৯৮০ শতাংশ (৩৫খের) জমির ধান  দুর্বৃত্তরা বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করে পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে বর্গাচাষী গরিব কৃষক মোঃ রুবেল  মিয়া ও আমজদ আলী  সোনালী স্বপ্ন ম্লান হয়ে গেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়  চলতি মৌসুমে  উপজেলার জলসুখা  গ্রামের বর্গাচাষী কৃষক  রুবেল ও আলী  আমজদ  জলসুখা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলু মিয়ার কাছ থেকে   লাম্বাদোড়াল  হাওয়রে  প্রায় ৯৮০  শতাংশ (৩৫খের)  জমিতে বোরো ধান  বর্গা এনে চাষ করেন।  গত বছর চেয়ারম্যান নিজে ধান চাষ  করেছিলেন এই জমি পূর্ব শত্রুতার জেরে বিষ মেরে ধান নষ্ট করেছিল। এবছর  কিন্তুু এই বর্গা চাষীর তো কোন শত্রু নেই, তবে কেন এই অমানুষের কাজ করা হয়েছে,  এলাকার লোকজনের প্রশ্ন। জমিতে  বর্তমানে   ধানে শীষ বের হয়েছে। ২৫ মার্চ রাতে  অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তার জমিতে  বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করে। পরের দিন সকালে রুবেল ও আমজাদ আলী ধান খেতে গিয়ে দেখতে পান খেতের সমস্ত ধান পুড়ে লালচে হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি তিনি   কৃষি অফিসকে জানালে কৃষি মাঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বুঝতে পারেন জমিতে বিষাক্ত ঘাস মারা স্প্রে করা হয়েছে।

এই বিষয় নিয়ে কৃষক রুবেল ও আমজদ  আলীর সঙ্গে আলোচনা করলে তাহারা জানান   এই জমি বর্গা এনে চাষ করেছি খরচ হয়েছে প্রায় পাঁচ  লক্ষ টাকা , আামাদের ক্ষতি হয় প্রায় নয় লক্ষ টাকা। গরু বিক্রি  ও  ঋন করে ধান রোপন করেছিলাম।  মহাজনের  ঋন দেব কিভাবে এবং খাব কি ভাবে। কে বা কারা এই কাজ করেছে জিজ্ঞেস করলে তাহারা বলে আলাউদ্দিন  মেম্বারের লোকজন করেছে। 
কৃষক রুবেল এর ভাই  জুয়েল মিয়া বলেন, খেতের ধান হারিয়ে তার ভাইয়ের সোনালী স্বপ্ন ম্লান হয়ে গেছে। ৯৮০শতাংশ  জমিতে প্রায় ৮ থেকে ৯ শত মন বোরো ধান উৎপাদিত হতো। ঘাস মারা ওষুধ স্প্রে করায় প্রায় নয়  লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা খবর পেয়েই কৃষকের ধানের জমি  পরিদর্শন করেন। ঘাস মারা ওষুধ স্প্রে করার কারণে জমির  ধান আর রক্ষা করা সম্ভব নয়।এই বিষয় নিয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ লুৎফে আল মুঈজ এর সঙ্গে মুঠোফোন আলাপ করলে তিনি জানান বিষয় টি শুনেছি মাঠকর্মকর্তা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বুঝে এবং গরিব বর্গাচাষি সহযোগিতার জন্য যথাযত কর্তৃপক্ষের কাছে  আবেদন করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আজমিরীগঞ্জে চেয়ারম্যান  মেম্বারের পূর্ব বিরোধের জেরে  দুর্বৃত্তরা বিষ দিয়ে পুড়িয়ে দিল বর্গাচাষী কৃষকের সোনালী  স্বপ্ন

আপডেট টাইম : ১০:২৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

আজমিরীগঞ্জ  উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নে লাম্বাদোড়াল  হাওয়রে দুই বর্গাচাষি কৃষকের প্রায় ৯৮০ শতাংশ (৩৫খের) জমির ধান  দুর্বৃত্তরা বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করে পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে বর্গাচাষী গরিব কৃষক মোঃ রুবেল  মিয়া ও আমজদ আলী  সোনালী স্বপ্ন ম্লান হয়ে গেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়  চলতি মৌসুমে  উপজেলার জলসুখা  গ্রামের বর্গাচাষী কৃষক  রুবেল ও আলী  আমজদ  জলসুখা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলু মিয়ার কাছ থেকে   লাম্বাদোড়াল  হাওয়রে  প্রায় ৯৮০  শতাংশ (৩৫খের)  জমিতে বোরো ধান  বর্গা এনে চাষ করেন।  গত বছর চেয়ারম্যান নিজে ধান চাষ  করেছিলেন এই জমি পূর্ব শত্রুতার জেরে বিষ মেরে ধান নষ্ট করেছিল। এবছর  কিন্তুু এই বর্গা চাষীর তো কোন শত্রু নেই, তবে কেন এই অমানুষের কাজ করা হয়েছে,  এলাকার লোকজনের প্রশ্ন। জমিতে  বর্তমানে   ধানে শীষ বের হয়েছে। ২৫ মার্চ রাতে  অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তার জমিতে  বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করে। পরের দিন সকালে রুবেল ও আমজাদ আলী ধান খেতে গিয়ে দেখতে পান খেতের সমস্ত ধান পুড়ে লালচে হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি তিনি   কৃষি অফিসকে জানালে কৃষি মাঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বুঝতে পারেন জমিতে বিষাক্ত ঘাস মারা স্প্রে করা হয়েছে।

এই বিষয় নিয়ে কৃষক রুবেল ও আমজদ  আলীর সঙ্গে আলোচনা করলে তাহারা জানান   এই জমি বর্গা এনে চাষ করেছি খরচ হয়েছে প্রায় পাঁচ  লক্ষ টাকা , আামাদের ক্ষতি হয় প্রায় নয় লক্ষ টাকা। গরু বিক্রি  ও  ঋন করে ধান রোপন করেছিলাম।  মহাজনের  ঋন দেব কিভাবে এবং খাব কি ভাবে। কে বা কারা এই কাজ করেছে জিজ্ঞেস করলে তাহারা বলে আলাউদ্দিন  মেম্বারের লোকজন করেছে। 
কৃষক রুবেল এর ভাই  জুয়েল মিয়া বলেন, খেতের ধান হারিয়ে তার ভাইয়ের সোনালী স্বপ্ন ম্লান হয়ে গেছে। ৯৮০শতাংশ  জমিতে প্রায় ৮ থেকে ৯ শত মন বোরো ধান উৎপাদিত হতো। ঘাস মারা ওষুধ স্প্রে করায় প্রায় নয়  লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা খবর পেয়েই কৃষকের ধানের জমি  পরিদর্শন করেন। ঘাস মারা ওষুধ স্প্রে করার কারণে জমির  ধান আর রক্ষা করা সম্ভব নয়।এই বিষয় নিয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ লুৎফে আল মুঈজ এর সঙ্গে মুঠোফোন আলাপ করলে তিনি জানান বিষয় টি শুনেছি মাঠকর্মকর্তা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বুঝে এবং গরিব বর্গাচাষি সহযোগিতার জন্য যথাযত কর্তৃপক্ষের কাছে  আবেদন করা হবে।