ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নামাজ পরতে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতাকে কুপিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা ঠাকুরগাঁওয়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপন অভিযান পরিচালনা আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না প্রধান উপদেষ্টার কাছে দুই সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা আইএলওর মানদণ্ডে উন্নীত করতে শ্রম আইনের সংস্কার হচ্ছে: ড. ইউনূস পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেয়া সেই আ.লীগ নেতা গ্রেফতার যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন ঠাকুরগাঁওয়ে ‘পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপন অভিযান’ বিষয়ক আলোচনা সভা ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাসপোর্টে থাকছে না পুলিশ ভেরিফিকেশন

যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪৪:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার মালিকানা যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে নেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসন করার পর উপত্যকাটির অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বেঠক শেষে মঙ্গলবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ পরিকল্পনার কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা এটির (গাজার) মালিক হবো এবং সেখানকার সমস্ত বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র নির্মূল করবো, ভূখণ্ডটি সমতল করবো এবং ধ্বংস হওয়া বিল্ডিংগুলো থেকেও আমরা মুক্তি পাবো, এগুলোকে সমতল করবো (এবং) সেখানে এমন অর্থনৈতিক উন্নয়ন করবো, যা ওই এলাকার মানুষের জন্য প্রচুর চাকরি এবং আবাসন সৃষ্টি করবে।

যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকায় সেনা পাঠাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জবাব দেন, যদি প্রয়োজন হয়, আমরা তা করবো।

যুক্তরাষ্ট্রকে গাজা স্ট্রিপের ‘দীর্ঘমেয়াদী মালিক’ হিসেবে দেখেন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আমরা সেই অংশটি দখল করতে যাচ্ছি। আমরা এটির উন্নয়ন করতে যাচ্ছি, হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করতে যাচ্ছি, এবং এটি এমন কিছু হবে যা সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য খুব গর্বিত হতে পারে।

মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্টের ভাষায়, আমি অনেক মাস ধরে এটি খুব ঘনিষ্ঠভাবে অধ্যয়ন করেছি, এবং আমি একে প্রতিটি ভিন্ন কোণ থেকে ভেবে দেখেছি, এবং এটি খুব, খুব বিপজ্জনক জায়গা, এবং এটি কেবল আরও খারাপ হতে চলেছে। আমি মনে করি, এই ধারণাটি অসাধারণ হয়েছে এবং আমি নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তর থেকেই এই কথা বলছি এবং যদি যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ও শান্তি আনতে সাহায্য করতে পারে, আমরা তা করবো।

এর অর্থ তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে সমর্থন করেন না কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন: এর অর্থ দুই-রাষ্ট্র বা এক-রাষ্ট্র বা অন্য কোনো রাষ্ট্র সম্পর্কে কিছু নয়। এর মানে হল আমরা চাই। মানুষকে জীবনে সুযোগ দিন। তারা জীবনে কখনো সুযোগ পায়নি কারণ গাজা স্ট্রিপ সেখানে বসবাসকারী মানুষের জন্য একটি নরকের গর্তে পরিণত হয়েছে।

ফিলিস্তিনিরা চলে গেলে গাজায় কারা বাস করবে এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জবাব দেন, বিশ্বের মানুষ। আমি মনে করি আপনি এটিকে একটি আন্তর্জাতিক, অবিশ্বাস্য জায়গায় পরিণত করবেন। আমি মনে করি গাজা স্ট্রিপের সম্ভাবনা অবিশ্বাস্য। আমি মনে করি সমগ্র বিশ্ব, সারা বিশ্বের প্রতিনিধিরা সেখানে থাকবেন, এবং তারা সেখানে বাস করবেন….ফিলিস্তিনিরা সেখানে বাস করবে। অনেক মানুষ সেখানে বাস করবে। গাজা উপত্যকা ‘রিভেরা অব দ্য মিডল ইস্ট’ হয়ে উঠবে বলে জানান ট্রাম্প।

অন্যদিকে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা যেমনটা আলোচনা করেছি, মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আমাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এবং আমাদের অঞ্চলে শান্তি আনতে, আমাদের কাজ শেষ করতে হবে। ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে যে- গাজা আর কখনও ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে না।

সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন

আপডেট টাইম : ০৫:৪৪:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার মালিকানা যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে নেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসন করার পর উপত্যকাটির অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বেঠক শেষে মঙ্গলবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ পরিকল্পনার কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা এটির (গাজার) মালিক হবো এবং সেখানকার সমস্ত বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র নির্মূল করবো, ভূখণ্ডটি সমতল করবো এবং ধ্বংস হওয়া বিল্ডিংগুলো থেকেও আমরা মুক্তি পাবো, এগুলোকে সমতল করবো (এবং) সেখানে এমন অর্থনৈতিক উন্নয়ন করবো, যা ওই এলাকার মানুষের জন্য প্রচুর চাকরি এবং আবাসন সৃষ্টি করবে।

যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকায় সেনা পাঠাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জবাব দেন, যদি প্রয়োজন হয়, আমরা তা করবো।

যুক্তরাষ্ট্রকে গাজা স্ট্রিপের ‘দীর্ঘমেয়াদী মালিক’ হিসেবে দেখেন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আমরা সেই অংশটি দখল করতে যাচ্ছি। আমরা এটির উন্নয়ন করতে যাচ্ছি, হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করতে যাচ্ছি, এবং এটি এমন কিছু হবে যা সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য খুব গর্বিত হতে পারে।

মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্টের ভাষায়, আমি অনেক মাস ধরে এটি খুব ঘনিষ্ঠভাবে অধ্যয়ন করেছি, এবং আমি একে প্রতিটি ভিন্ন কোণ থেকে ভেবে দেখেছি, এবং এটি খুব, খুব বিপজ্জনক জায়গা, এবং এটি কেবল আরও খারাপ হতে চলেছে। আমি মনে করি, এই ধারণাটি অসাধারণ হয়েছে এবং আমি নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তর থেকেই এই কথা বলছি এবং যদি যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ও শান্তি আনতে সাহায্য করতে পারে, আমরা তা করবো।

এর অর্থ তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে সমর্থন করেন না কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন: এর অর্থ দুই-রাষ্ট্র বা এক-রাষ্ট্র বা অন্য কোনো রাষ্ট্র সম্পর্কে কিছু নয়। এর মানে হল আমরা চাই। মানুষকে জীবনে সুযোগ দিন। তারা জীবনে কখনো সুযোগ পায়নি কারণ গাজা স্ট্রিপ সেখানে বসবাসকারী মানুষের জন্য একটি নরকের গর্তে পরিণত হয়েছে।

ফিলিস্তিনিরা চলে গেলে গাজায় কারা বাস করবে এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জবাব দেন, বিশ্বের মানুষ। আমি মনে করি আপনি এটিকে একটি আন্তর্জাতিক, অবিশ্বাস্য জায়গায় পরিণত করবেন। আমি মনে করি গাজা স্ট্রিপের সম্ভাবনা অবিশ্বাস্য। আমি মনে করি সমগ্র বিশ্ব, সারা বিশ্বের প্রতিনিধিরা সেখানে থাকবেন, এবং তারা সেখানে বাস করবেন….ফিলিস্তিনিরা সেখানে বাস করবে। অনেক মানুষ সেখানে বাস করবে। গাজা উপত্যকা ‘রিভেরা অব দ্য মিডল ইস্ট’ হয়ে উঠবে বলে জানান ট্রাম্প।

অন্যদিকে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা যেমনটা আলোচনা করেছি, মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আমাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এবং আমাদের অঞ্চলে শান্তি আনতে, আমাদের কাজ শেষ করতে হবে। ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে যে- গাজা আর কখনও ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে না।

সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি