লক্ষ্মীপুরে ভুয়া আসামি হাজির করে জামিনের অভিযোগ
- আপডেট টাইম : ০২:৪৭:৫৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫
- / ৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
লক্ষ্মীপুরে হত্যাচেষ্টা মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত দুই আসামি বিদেশে থাকায় ভিন্ন দুই ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করে জামিন করানোর ঘটনা ঘটেছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী লুৎফুর রহমান গাজীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আইনজীবীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত।
লক্ষ্মীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলী আদালত-১ এর সহকারী পাবলিক প্রসিউকিউটর আবদুল আহাদ শাকিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মারামারি ও হত্যাচেষ্টা মামলার দুই আসামি সজীব ও সাইফুল ইসলাম শুভ বিদেশে রয়েছেন। কিন্তু প্রতারণা করে তাদের নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ভিন্ন দুই ব্যাক্তিকে আদালতে হাজির করে জামিন নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। উক্ত আইনজীবীকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আজ ৮ জানুয়ারি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইছমাইল হোসেনের আদালতে বিষয়টি নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুনানি না হওয়ায় ১৩ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।’
এ বিষয়ে আইনজীবী লুৎফুর রহমান গাজী জানান, তাঁর সহকারী আবুল কাশেমের পরামর্শে মামলার ২ ও ৪ নম্বর আসামি প্রবাসে থাকার বিষয়টি গোপন রেখেছেন। ওই বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না এবং তাঁর সংশ্লিষ্টতা ছিল না। বিষয়টি নিয়ে তিনি আদালত, আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
এদিকে মামলার বাদী সামছুর নেছার ছেলে জহির উদ্দিনের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, ‘আমার শাশুড়ি অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। মারামারি ও হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি সজীব ও সাইফুল ইসলাম বিদেশে। তাদের নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ভিন্ন দুই ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করে জামিন নিয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চাই।’
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের সোন্দড়া এলাকার আবদুল খালেকদের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে তাজুল ইসলাম খোকাদের জমিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে ২০২৩ সালে আদালতে মামলা হয়। ২০২৪ সালের ১৯ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুজ্জামান আদালতে চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তারা হলেন– তাজুল ইসলাম খোকা, সজীব, আনোয়ার হোসেন ও সাইফুল ইসলাম শুভ। ঘটনার পর আসামি সজীব সৌদি আরব ও সাইফুল কাতার চলে যান।