ঢাকা ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আওয়ামীলীগ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে গেছে/ দেশে নতুন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের সৃষ্টি হয়েছে,মির্জা ফখরুল ইসলাম অভিযোগের স্তুপ বেরিয়ে এলেও আখলাক উল জামিল এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী রসুলাবাদ ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ ভৈরবে মেঘনায় নদীর পারে ভারতীয় কাপড় জব্দ, আটক ৪ পীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত আহত চার রাজধানী বনশ্রীর সি ব্লক দিয়ে রামপুরার দিকে হেঁটে বৃষ্টি ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে নতুন বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস ব্ল্যাকমেইল হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা, ধরাছোঁয়ার বাইরে চক্র আওয়ামী লীগ দেশে নেই, এখন দখল করে কারা। এবি পার্টি লক্ষ্মীপুর জেলার গণসমাবেশে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ একথা বলেন চান্দিনায় উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ ভেকু জব্দ, ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা

দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা: সেদিন আসলে কী ঘটেছিল?

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪০:৫১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১২ ৫০০০.০ বার পাঠক

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭৯ জন নিহত হয়েছে
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানবন্দরে ১৮১ জন যাত্রীসহ একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১৭৯ জন নিহত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ নিশ্চিত করেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের দেওয়ালের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিমানটির। এসময় বিমানটিতে মোট ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয় জন ক্রু ছিলো। যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর দুজন থাই নাগরিক ছিলেন।

কী করে এই দুর্ঘটনা হলো?

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাখির আঘাতে অথবা খারাপ আবহাওয়ার জন্য এই দুর্ঘটনা হয়েছে। বিষয়টি এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জেজু এয়ারের উড়োজাহাজটি বোয়িংয়ের ৭৩৭-৮০০ মডেলের। রোববার সকাল নয়টার একটু পরে বিমানটি নামার চেষ্টা করে। তখন নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার পাইলটকে পাখির আঘাতের বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিল। একটু পরেই পাইলট সতর্কতা সংকেত ব্যবহার করেন। বিমানটি এরপর শেষের দিকের অংশ দিয়ে নামার বা বেলি ল্যান্ডিং-এর চেষ্টা করে।

রানওয়ে দিয়ে ছুটে বিমানটি সোজা দেওয়ালে গিয়ে ধাক্কা মারে। তারপরই বিস্ফোরণ হয় এবং বিমানে আগুন ধরে যায়। বিমানচলাচল সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক আন্দ্রে স্পিটথ ডিডাব্লিউকে বলেছেন, মনে হচ্ছিল বিমানটিতে পাখি ধাক্কা মেরেছিল।

তিনি জানিয়েছেন, কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে ল্যান্ডিংয়ের আগে বিমানটিতে পাখি ধাক্কা মারছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও পাখি নিয়ে পাইলটকে সতর্ক করেছিল।

তিনি বলেন, ফ্লাইট ডেটা থেকে দেখা যাচ্ছে, পাইলট মরিয়া হয়ে পিছনের অংশ দিয়ে নামার চেষ্টা করেন। কারণ, তখন ইঞ্জিনের শক্তি সম্ভবত শেষ হয়ে গেছিল বা খুবই কম ছিল। প্রথমবার নামার চেষ্টার সময় ল্যান্ডিং গিয়ার দেওয়া হয়েছিল। পরেরবার আর হয়নি। রানওয়ের পর জায়গাটা খুব ছোট ছিল।

তিনি জানান, নিরাপদ বিমানবন্দরগুলিতে রানওয়ের পরেও অনেকখানি জায়গা থাকে, যেখানে গিয়ে বিমান থামতে পারে।

প্রশ্ন থাকছে

কর্তৃপক্ষ বিমান দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে পাখির আঘাত ও খারাপ আবহাওয়ার কথা বললেও অনেক প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাচ্ছে না। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, নামার সময় ল্যান্ডিং গিয়ার দেওয়া হয়নি বা দেয়া যায়নি।

লুফৎহানসার পাইলট ও বিমান নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিয়ান বেকের্ট জানিয়েছেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে, ব্রের্কিং ব্যবস্থা চালু করা যায়নি। ফলে পাইলট বিশাল বিপদে পড়েন।

তিনি বলেছেন, প্রধান সিস্টেম ব্যর্থ হলে পাইলট বিকল্প ব্যবস্থায় গিয়ার নামাতে পারেন। সেটাও এখানে হয়নি।

অস্ট্রেলিয়ার বিমান সংক্রান্ত পরামর্শদাতা ট্রেভর জেনসেন বলেছেন, বিমান নামার সময় জরুরি সার্ভিসগুলি চালু হয়ে যায়। কিন্তু এখানে বিমানের নামা দেখে মনে হয়েছে, পরিকল্পনাহীনভাবে তা নেমেছে।

সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে বিমান দুর্ঘটনা হলে তার তদন্ত করে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড(এনটিএসবি)। তারা দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারের এই বিমান দুর্ঘটনার তদন্তেও সাহায্য করবে।

সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এনটিএসবি-র টিম তদন্তের কাজে সহায়তা করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছে। তারা সেখানকার বিমান ও রেল দুর্ঘটনার তদন্তকারী বোর্ডকে তদন্তের কাজে সাহায্য করবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা: সেদিন আসলে কী ঘটেছিল?

আপডেট টাইম : ০৭:৪০:৫১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭৯ জন নিহত হয়েছে
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানবন্দরে ১৮১ জন যাত্রীসহ একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১৭৯ জন নিহত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ নিশ্চিত করেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের দেওয়ালের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিমানটির। এসময় বিমানটিতে মোট ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয় জন ক্রু ছিলো। যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর দুজন থাই নাগরিক ছিলেন।

কী করে এই দুর্ঘটনা হলো?

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাখির আঘাতে অথবা খারাপ আবহাওয়ার জন্য এই দুর্ঘটনা হয়েছে। বিষয়টি এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জেজু এয়ারের উড়োজাহাজটি বোয়িংয়ের ৭৩৭-৮০০ মডেলের। রোববার সকাল নয়টার একটু পরে বিমানটি নামার চেষ্টা করে। তখন নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার পাইলটকে পাখির আঘাতের বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিল। একটু পরেই পাইলট সতর্কতা সংকেত ব্যবহার করেন। বিমানটি এরপর শেষের দিকের অংশ দিয়ে নামার বা বেলি ল্যান্ডিং-এর চেষ্টা করে।

রানওয়ে দিয়ে ছুটে বিমানটি সোজা দেওয়ালে গিয়ে ধাক্কা মারে। তারপরই বিস্ফোরণ হয় এবং বিমানে আগুন ধরে যায়। বিমানচলাচল সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক আন্দ্রে স্পিটথ ডিডাব্লিউকে বলেছেন, মনে হচ্ছিল বিমানটিতে পাখি ধাক্কা মেরেছিল।

তিনি জানিয়েছেন, কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে ল্যান্ডিংয়ের আগে বিমানটিতে পাখি ধাক্কা মারছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও পাখি নিয়ে পাইলটকে সতর্ক করেছিল।

তিনি বলেন, ফ্লাইট ডেটা থেকে দেখা যাচ্ছে, পাইলট মরিয়া হয়ে পিছনের অংশ দিয়ে নামার চেষ্টা করেন। কারণ, তখন ইঞ্জিনের শক্তি সম্ভবত শেষ হয়ে গেছিল বা খুবই কম ছিল। প্রথমবার নামার চেষ্টার সময় ল্যান্ডিং গিয়ার দেওয়া হয়েছিল। পরেরবার আর হয়নি। রানওয়ের পর জায়গাটা খুব ছোট ছিল।

তিনি জানান, নিরাপদ বিমানবন্দরগুলিতে রানওয়ের পরেও অনেকখানি জায়গা থাকে, যেখানে গিয়ে বিমান থামতে পারে।

প্রশ্ন থাকছে

কর্তৃপক্ষ বিমান দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে পাখির আঘাত ও খারাপ আবহাওয়ার কথা বললেও অনেক প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাচ্ছে না। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, নামার সময় ল্যান্ডিং গিয়ার দেওয়া হয়নি বা দেয়া যায়নি।

লুফৎহানসার পাইলট ও বিমান নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিয়ান বেকের্ট জানিয়েছেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে, ব্রের্কিং ব্যবস্থা চালু করা যায়নি। ফলে পাইলট বিশাল বিপদে পড়েন।

তিনি বলেছেন, প্রধান সিস্টেম ব্যর্থ হলে পাইলট বিকল্প ব্যবস্থায় গিয়ার নামাতে পারেন। সেটাও এখানে হয়নি।

অস্ট্রেলিয়ার বিমান সংক্রান্ত পরামর্শদাতা ট্রেভর জেনসেন বলেছেন, বিমান নামার সময় জরুরি সার্ভিসগুলি চালু হয়ে যায়। কিন্তু এখানে বিমানের নামা দেখে মনে হয়েছে, পরিকল্পনাহীনভাবে তা নেমেছে।

সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে বিমান দুর্ঘটনা হলে তার তদন্ত করে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড(এনটিএসবি)। তারা দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারের এই বিমান দুর্ঘটনার তদন্তেও সাহায্য করবে।

সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এনটিএসবি-র টিম তদন্তের কাজে সহায়তা করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছে। তারা সেখানকার বিমান ও রেল দুর্ঘটনার তদন্তকারী বোর্ডকে তদন্তের কাজে সাহায্য করবে।