ঢাকা ০৭:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
কুকুরের মরদেহই প্রমাণ করে সচিবালয়ের আগুন একটি ষড়যন্ত্র/ খুনি হাসিনার পোষ্য আমলারা আজো সচিবালয়ে বসে কাজ করছে।।ঠাকুরগাঁওয়ে সারজিস আলম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় সতর্ক আছে সেনাবাহিনী আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে: উপদেষ্টা আসিফ বাংলাদেশের চেহারা বদলাতে হলে শ্রমিকদের অধিকার নিচ্ছিত করতে হবে।: লক্ষ্মীপুরে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের নথি চাওয়ার পর সচিবালয়ে আগুন ৬ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে খুলে দেওয়া হয়েছে সচিবালয়ের একটি গেট সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানী খিলগাঁও দক্ষিণ থানার ২ উত্তর ওয়ার্ডের কর্মী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না! বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, মতিঝিল থানার কর্মী সম্মেলনে একথা বলেন-মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। দ্রুত নির্বাচনের জন্য এত মানুষ শহিদ হয়নি/ দেশের সংস্কার শেষে নির্বাচন। ।ঠাকুরগাঁওয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

চাঁদপুরে জাহাজে হত্যাকাণ্ড ১ খুন লুকাতে আরও ৬ খুন করেন লস্কর ইরফান

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৭:৪১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

আকাশ মণ্ডল ইরফান। ছবি: সংগৃহীত

তদন্তের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সারবহনকারী এমভি আল বাখেরা জাহাজে ৭ জন খুনের ঘটনার রহস্যের জট খুললো। অবশেষে জানা গেলো ডাকাত নয়, জাহাজে থাকা আকাশ মণ্ডল ইরফান এই ঘটনার মূলহোতা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।

কর্নেল মুনীম ফেরদৌসের ভাষ্যমতে, দীর্ঘদিন ধরে বেতন ভাতা না পাওয়া ও দুর্ব্যবহারের ক্ষোভ থেকে আকাশ মণ্ডল ইরফান জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়াসহ সবাইকে হত্যা করে।

খুন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার সজিবুল ইসলাম, লস্কর মাজেদুল ইসলাম, শেখ সবুজ, আমিনুর মুন্সী, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন ও বাবুর্চি রানা কাজী। এ ছাড়া আহত ব্যক্তি হলেন- সুকানি জুয়েল।

এমভি আল বাখেরার নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
এমভি আল বাখেরার নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাব জানায়, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘ ৮ মাস ধরে কোনো প্রকার বেতন ভাতা দিতেন না এমনকি তিনি দুর্ব্যবহারও করতেন। এসবের ক্ষোভ থেকে এমন কাজ করেন ইরফান।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইরফানের দেওয়া তথ্য মতে র‍্যাব আরও দাবি করে, জাহাজের বাজার করার জন্য ইরফান পাবনার একটি বাজারে নেমেছিল। সেখান থেকে ১৮ ডিসেম্বর তিনি ৩ পাতা ঘুমের ওষুধ কেনেন। আর যে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সেটি আগেই জাহাজেই ছিল। কুড়ালটি জাহাজের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিল।

এমভি আল বাখেরার নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
এমভি আল বাখেরার নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাব আরও জানায়, মাস্টার গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার সময় অন্যরা দেখে ফেলতে পারে এতে পালাতেও সমস্যা হবে এমন ভয় থেকে ইরফান তাদেরকেও হত্যা করেন।

এর আগে জাহাজে খুন হওয়া সাত জনের লাশ মঙ্গলবার বিকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন জেলা প্রশাসক মহসীন উদ্দিন ও নৌপুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান। ওই সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারের স্বজনদের ২০ হাজার টাকার চেক ও নৌপুলিশের পক্ষ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চাঁদপুরে জাহাজে হত্যাকাণ্ড ১ খুন লুকাতে আরও ৬ খুন করেন লস্কর ইরফান

আপডেট টাইম : ০৯:১৭:৪১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আকাশ মণ্ডল ইরফান। ছবি: সংগৃহীত

তদন্তের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সারবহনকারী এমভি আল বাখেরা জাহাজে ৭ জন খুনের ঘটনার রহস্যের জট খুললো। অবশেষে জানা গেলো ডাকাত নয়, জাহাজে থাকা আকাশ মণ্ডল ইরফান এই ঘটনার মূলহোতা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।

কর্নেল মুনীম ফেরদৌসের ভাষ্যমতে, দীর্ঘদিন ধরে বেতন ভাতা না পাওয়া ও দুর্ব্যবহারের ক্ষোভ থেকে আকাশ মণ্ডল ইরফান জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়াসহ সবাইকে হত্যা করে।

খুন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার সজিবুল ইসলাম, লস্কর মাজেদুল ইসলাম, শেখ সবুজ, আমিনুর মুন্সী, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন ও বাবুর্চি রানা কাজী। এ ছাড়া আহত ব্যক্তি হলেন- সুকানি জুয়েল।

এমভি আল বাখেরার নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
এমভি আল বাখেরার নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাব জানায়, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘ ৮ মাস ধরে কোনো প্রকার বেতন ভাতা দিতেন না এমনকি তিনি দুর্ব্যবহারও করতেন। এসবের ক্ষোভ থেকে এমন কাজ করেন ইরফান।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইরফানের দেওয়া তথ্য মতে র‍্যাব আরও দাবি করে, জাহাজের বাজার করার জন্য ইরফান পাবনার একটি বাজারে নেমেছিল। সেখান থেকে ১৮ ডিসেম্বর তিনি ৩ পাতা ঘুমের ওষুধ কেনেন। আর যে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সেটি আগেই জাহাজেই ছিল। কুড়ালটি জাহাজের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিল।

এমভি আল বাখেরার নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
এমভি আল বাখেরার নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাব আরও জানায়, মাস্টার গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার সময় অন্যরা দেখে ফেলতে পারে এতে পালাতেও সমস্যা হবে এমন ভয় থেকে ইরফান তাদেরকেও হত্যা করেন।

এর আগে জাহাজে খুন হওয়া সাত জনের লাশ মঙ্গলবার বিকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন জেলা প্রশাসক মহসীন উদ্দিন ও নৌপুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান। ওই সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারের স্বজনদের ২০ হাজার টাকার চেক ও নৌপুলিশের পক্ষ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।