ঢাকা ০২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অস্বীকৃতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা আজ কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন ইরান-ইসরায়েল কী যুদ্ধ বাধছে? ভুটানে সাবিনা-সুমাইয়ার হ্যাটট্রিক বিধ্বস্ত প্রতিপক্ষ শান্তিতে আছেন সব সম্প্রদায়ের মানুষ – মোংলায় কৃষিবিদ শামীম মারধরের পর স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করে নির্যাতন, স্বামী গ্রেপ্তার সরকারের সঙ্গে দূরত্ব ঘুচবে কী বিএনপির? প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান আবারও করোনা পরীক্ষা শুরু হচ্ছে হাসপাতালগুলোতে

অন্তর্বর্তী সরকারের আড়াই মাসেও গতি নেই প্রশাসনে

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৪:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৫৫ ১৫০.০০০ বার পাঠক

সচিবালয়। ফাইল ছবি

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ প্রায় আড়াই মাস হতে চলেছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেও প্রশাসনে গতি ফেরেনি। শৃঙ্খলা ফেরাতে নানা পদে ব্যাপক রদবদল হলেও, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে সচিব নেই। পাঁচটি বিভাগ চলছে সচিব ছাড়াই। এ ছাড়া ঢাকা, রংপুর বিভাগে কমিশনার এবং আটটি জেলায় ডিসি নেই। স্থবিরতা কাটাতে শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণ এবং কর্মকর্তাদের কাজের লক্ষ্য ও সময় বেঁধে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

সচিবালয়ে প্রতিদিনই নিয়মমাফিক ঢুকছেন কর্মকর্তারা। রুটিনমাফিক কর্মঘণ্টা পূর্ণ করে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। অনেক মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের নেই কাজ।

নৌ পরিবহন, তথ্য, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে বর্তমানে কোনো সচিব নেই। পরিকল্পনা বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইন বিভাগ, সংস্কৃতি, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিভাগ চলছে সচিব ছাড়াই।

একই অবস্থা মাঠ প্রশাসনেও। জেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি। নজরদারির অভাবে লাগামহীন বাজার ব্যবস্থাপনা। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করলে প্রশাসনে নতুন নিয়োগের হুঁশিয়ারি দেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

উপদেষ্টা আসিফ সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রশাসনে অসহযোগিতার কারণে সরকার কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। প্রয়োজন হলে সিস্টেম ভেঙে দিয়ে নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়ে সরকার কোনো ছাড় দেবে না।

মাঠ প্রশাসনে ঢাকা ও রংপুর বিভাগে কমিশনার এবং আটটি জেলায় ডিসি নেই। এ অবস্থায় প্রশাসনে স্থবিরতা কাটাতে, দায়িত্বশীলদের কাজের সময়সীমা ও লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেও পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকার ও আমলাদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস তৈরিতে জোর দিচ্ছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ। সেই সঙ্গে দল নিরপেক্ষ থেকে সেবার মানসিকতা গড়ারও তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।

নতুন করে প্রশাসন সাজাতে এবং কাজে গতি আনতে, সচিব, কমিশনার ও ডিসির শূন্য পদগুলো পূরণ করতে হবে। সে জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকারের আড়াই মাসেও গতি নেই প্রশাসনে

আপডেট টাইম : ০৫:১৪:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

সচিবালয়। ফাইল ছবি

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ প্রায় আড়াই মাস হতে চলেছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেও প্রশাসনে গতি ফেরেনি। শৃঙ্খলা ফেরাতে নানা পদে ব্যাপক রদবদল হলেও, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে সচিব নেই। পাঁচটি বিভাগ চলছে সচিব ছাড়াই। এ ছাড়া ঢাকা, রংপুর বিভাগে কমিশনার এবং আটটি জেলায় ডিসি নেই। স্থবিরতা কাটাতে শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণ এবং কর্মকর্তাদের কাজের লক্ষ্য ও সময় বেঁধে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

সচিবালয়ে প্রতিদিনই নিয়মমাফিক ঢুকছেন কর্মকর্তারা। রুটিনমাফিক কর্মঘণ্টা পূর্ণ করে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। অনেক মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের নেই কাজ।

নৌ পরিবহন, তথ্য, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে বর্তমানে কোনো সচিব নেই। পরিকল্পনা বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইন বিভাগ, সংস্কৃতি, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিভাগ চলছে সচিব ছাড়াই।

একই অবস্থা মাঠ প্রশাসনেও। জেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি। নজরদারির অভাবে লাগামহীন বাজার ব্যবস্থাপনা। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করলে প্রশাসনে নতুন নিয়োগের হুঁশিয়ারি দেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

উপদেষ্টা আসিফ সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রশাসনে অসহযোগিতার কারণে সরকার কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। প্রয়োজন হলে সিস্টেম ভেঙে দিয়ে নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়ে সরকার কোনো ছাড় দেবে না।

মাঠ প্রশাসনে ঢাকা ও রংপুর বিভাগে কমিশনার এবং আটটি জেলায় ডিসি নেই। এ অবস্থায় প্রশাসনে স্থবিরতা কাটাতে, দায়িত্বশীলদের কাজের সময়সীমা ও লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেও পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকার ও আমলাদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস তৈরিতে জোর দিচ্ছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ। সেই সঙ্গে দল নিরপেক্ষ থেকে সেবার মানসিকতা গড়ারও তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।

নতুন করে প্রশাসন সাজাতে এবং কাজে গতি আনতে, সচিব, কমিশনার ও ডিসির শূন্য পদগুলো পূরণ করতে হবে। সে জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।