আতঙ্ক-ভয়ে লুকিয়ে আ. লীগের নেতা-কর্মীরা যে চারজনের কারণে শেখ হাসিনার পতন
- আপডেট টাইম : ০৪:৫৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট ২০২৪
- / ৭১ ৫০০০.০ বার পাঠক
ছবি সংগৃহীত
ছাত্র-জনতার তুমুল বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর সামরিক বিমানে করে ভারতে পালাতে বাধ্য হন। শেখ হাসিনার আকস্মিক পদত্যাগ ও দেশত্যাগে বিস্মিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন অনেক মন্ত্রী ও নেতা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এমনটিই জানিয়েছেন তারা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তৎকালীন মন্ত্রী থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য ও শীর্ষ নেতারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, আতঙ্ক-ভয়ে আত্মগোপনে আছেন। আবার বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আত্মগোপনে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। তাদেরই একজন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, আপা (শেখ হাসিনা) আমাদের ছেড়ে গেছেন।
আওয়ামী লীগের সূত্র থেকে জানা যায়, তিনি যখন চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তখন তার মন্ত্রিসভা এমনকি তার ঘনিষ্ঠ মিত্ররা পুরোপুরি বিস্মিত হয়ে যায়। একজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেছেন, আমরা এটি টিভি থেকে জানতে পারি।
আওয়ামী লীগের আরেক নেতা বলেন, বিকাল ৩টার দিকে যখন সেনাপ্রধান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন ঠিক তখনই আমরা আমাদের বাড়ি থেকে বের হতে পেরেছি। হাসিনা সরকারের তৎকালীন একজন মন্ত্রী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ধরা পড়লে আমাকে এবং আমার পরিবারকে জ্যান্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হতো।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে যে গুলি ছোড়া হয়েছে- এনিয়ে কয়েকজন নেতা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শেখ হাসিনা আমাদের কথা শুনতো না বলে দাবি করেন এক নেতা। তিনি এজন্য আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ চক্রকে দায়ী করেছেন।
‘চারজনের এই গ্যাং’- শেখ হাসিনাকে জনবিচ্ছিন্ন করেছেন বলে দাবি আওয়ামী লীগ নেতার। এই চারজনের মধ্যে রয়েছেন হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, সালমান এফ রহমান, ওয়ায়দুল কাদের এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
আওয়ামী লীগের এই নেতা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, এই গ্যাং শেখ হাসিনাকে পতনের দিকে নিয়ে গেছে। তিনি এই চারজনকে অন্ধবিশ্বাস করতেন এবং অতীতে শেখ হাসিনার যে রাজনৈতিক সত্ত্বা ছিল তা তিনি হারিয়ে ফেলেন।
আমরা জনগণের ক্ষোভ বুঝতে পারতাম কিন্তু তিনি আমাদের কথা শুনেননি- এমনটাই বলেছেন আরেক নেতা। সুত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস