মির্জা ফখরুলের সঙ্গে জাতিসংঘের গোয়েন লুইসের বৈঠক
- আপডেট টাইম : ১০:০৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৯ আগস্ট ২০২৪
- / ৩২ ৫০০০.০ বার পাঠক
বৈঠকে দেশের নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার,সার্বিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অবস্থাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।
আজ শুক্রবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঘন্টাব্যাপী এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে দেশের নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সার্বিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অবস্থাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এই বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং ঢাকাস্থ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হুমা খান।
বৈঠকের পর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে যে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে…আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা পেয়েছি। এর সাথে বাংলাদেশের গণসমর্থন যেভাবে ছিল তেমনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও ভালো সমর্থন ছিল বিশেষ করে জাতিসংঘের একটা বড় ধরনের সমর্থন ছিল বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার ফিরিয়ে আনতে।’
‘বাংলাদেশের উন্নয়ন পার্টনার যারা আছে তারা বাংলাদেশের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ কী হবে সেটা নিয়ে সকলের মধ্যে একটা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল… আজকে সকলের মধ্যে সেই শঙ্কা কেটে গেছে। সেই শঙ্কা কেটে আগামীদিনের আমরা কীভাবে বাংলাদেশ গড়বো… জাতিসংঘের সমর্থন প্রয়োজন, তারা সেই সমর্থন দিতে রাজি আছে এবং সবাইকে নিয়ে কাজ করছে… সবাই মিলে একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ব এটাই আলোচনা হয়েছে।”
গোয়েন লুইস বলেন, ‘আমরা গতরাতে যে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জাতিসংঘ সমর্থন জানিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আমরা সকল স্টেকহোল্ডারস রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, সংগঠনের সাথে আলাপ করছি। আজকে আমরা বিএনপির সাথে আলোচনা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বাংলাদেশ গড়ার জন্য কীভাবে জাতিসংঘ সহযোগিতা করতে পারে, আন্দোলনকে ঘিরে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার অনুসন্ধানে জাতিসংঘ কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকারে সহযোগিতা করা যায়। আমরা এই নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশে উন্নয়নে জাতিসংঘ সহযোগিতা দিয়ে যাবে.. এই সব বিষয়ে আমরা এই আলোচনা করেছি। রাস্তায় সহিংসতা বন্ধ এবং সর্বত্র শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আসুক এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এগিয়ে যাক এই প্রত্যাশা আমরা করছি।’