ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ -বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষে ৫জন নিহত পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত।
- আপডেট টাইম : ০৩:৪৪:০৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১
- / ৩০৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
সাইফুল ইসলাম বিপ্লবী স্টাফ রিপোর্টার ।।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে অন্তত ৫ জন। পুলিশসহ আহত হয়েছে অর্ধশত। শনিবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নন্দনপুরে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী মহাসড়কে অবস্থান করে। এসময় পুলিশ-বিজিবি সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। তখন ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রানা নুরুস শামস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এখন পর্যন্ত আমরা ৫জনকে মৃত ঘোষণা করেছি। তবে এক জনের নাম এখনো জানা যায়নি। নিহতরা হলেন নন্দনপুর হারিয়অ গ্রাম।
আরো পূরানো খবর
একদল মাদ্রাসাছাত্রের ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে সব আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন মাস্টার মো. শোয়েব আহমেদ জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে এই নির্দেশনা এসেছে। প্রতিদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-নোয়াখারী রেলপথে চলাচলকারী ১৪টি আন্তঃনগর ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। অনির্দিষ্টকালের জন্য সেই যাত্রাবিরতি স্থগিত করা হয়েছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসার বিরোধিতায় নেমে শুক্রবার চট্টগ্রামে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর করে হেফাজতকর্মীরা। সেখানে পুলিশেস সঙ্গে সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাণ্ডব চলায় একদল মাদ্রাসাছাত্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের একটি টিকিট কাউন্টার, কন্ট্রোল প্যানেল ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে রেললাইনের ওপর নিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সাত ঘণ্টা পর আবার চলাচল স্বাভাবিক হয়।
স্টেশন মাস্টার বলেন, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সব আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি স্থগিত রাখা হবে। তবে মেইল ট্রেনের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। যারা আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কেটেছেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।