সিএমপি চাঁদগাও থানার আয়োজনে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ, অপরাধ দমন সংক্রান্তে কিশোর ও অভিভাবকদের মত বিনিময় সভা সম্পন্ন
- আপডেট টাইম : ০৭:০৭:১৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
- / ১১৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
সিএমপি চট্টগ্রাম চান্দগাঁও থানা কমিউনিটি ও বিট পুলিশিং বিষয়ক কিশোর অপরাধ দমন এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কিশোর ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে ২০ এপ্রিল ২৪ ইং তারিখ বিকাল ৫”টায় কাপ্তাই রাস্তার মাথায় এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরিফ হোসেন, সহকারি পুলিশ কমিশনার (পাঁচলাইশ জোন), সভাপতিত্ব করেন, চান্দগাঁও থানার (ওসি) জাহিদুল কবির, পিপিএম। এতে উপস্থিত ছিলেন মোহরা ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী নুরুল আমিন মামুন, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, সহ-সভাপতি, থানা কমিউনিটি পুলিশিং, এস এম আনোয়ার মীর্জা, সহ-সভাপতি, মোহরা ওয়ার্ড,আলমগীর, সভাপতি, কমিউনিটি পুলিশিং বীট নং-৪০,জনাব রফিক কোম্পানী, উপদেষ্টা, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি প্রমুখ।
বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাং সমাজের জন্য মারাত্মক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের কারণে সমাজের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। যতই দিন যাচ্ছে, এই গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। উঠতি বয়সের ১৫ থেকে ১৭ বছর এবং আরো বেশি বয়সের কিশোররাই কিশোর গ্যাংয়ে পরিণত হচ্ছে।তাদের কাজ হচ্ছে মানুষকে উত্ত্যক্ত করা,ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করা, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদেরকে ইভটিজিং করা, মারামারি, দাঙ্গা হাঙ্গামা ইত্যাদি কর্মকাণ্ড করা। এ”বয়সে তারা উক্ত অপরাধের পাশাপাশি মাদকের ভয়াল নেশায় আসক্ত হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে এই ধরণের কিশোরদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়।
কিশোরদের অপরাধ দমনে তাদের করনীয় বিষয় সমূহ-
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা.
পারিবারিকভাবে ভাল-মন্দ বিষয়ক শিক্ষা দেওয়া।
কিশোরদের নৈতিক শিক্ষা প্রদান করা।
পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধূলার ব্যাবস্থা করা।
কিশোরদের তার মা-বাবার উচিৎ পর্যাপ্ত সময় দেওয়া।
তাদের সহিত পারিবারিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করা।
তারা কার সাথে মেলামেশা করে তার খোঁজ খবর নেওয়া।
তারা কখন বাসায় ফিরছে এবং কোথায় কার সাথে ঘোরাফেরা করছে তার খোঁজ খবর নেওয়া।
তাদের বিখ্যাত লেখকদের গল্পের বই পড়ায় আগ্রহী করা, ইত্যাদি।
কিশোররা যেন তাদের পরিবারের ব্যাধি না হয়ে ঘরের আলো হয়ে ওঠতে পারে তার ব্যাবস্থা করা। কিশোররা যেন সমাজের বিস্ফোরণ না হয়ে আগামীর ভবিষ্যৎ সুন্দর হয়ে উঠতে পারে তার ব্যাবস্থা করা। তাদের প্রতি স্নেহ, ভালোবাসা, যত্ন বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়াও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের অংশ হিসাবে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পুলিশের কাজে সহযোগিতা, অপরাধবিরোধী সচেতনতা তৈরি, বাল্যবিবাহ রোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, মাদক নির্মুল, জঙ্গিবাদ দমন, সন্ত্রাস দমন, মাদকের ছোবলে আসক্তি , নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌতুকনিরোধ,, চাঁদাবাজী, ছিনতাই, মোবাইল ফোনের অপব্যবহার, সামাজিক মূল্যবোধ বাড়ানো ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।