দৈনিক ও মাসিক সুদ কারবারির ফাঁদে মানুষ সর্বস্বান্ত
- আপডেট টাইম : ০৬:০২:২৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
- / ৮৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
ঠাকুরগাঁওয়ের রানিশংকৈল উপজেলা যেন হয়ে উঠেছে সুদ কারবারিদের ঊর্বর ভূমি, সুদ কারবারিদের তালিকায় আছে, স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষক, ব্যাংক কর্মচারী, আবসর আর্মি, বড় ব্যবসায়ী,পান দোকানী, গৃহীনি,কৃষক, রাজনীতিবিদ,মুক্তিযোদ্ধা, অটো চালক, চা দোকানী, কেউ আবার ব্যাংক ও এনজিও থেকে লোন নিয়ে করছে রমরমা সুদের ব্যবসা, এসব সুদ কারবারিদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে অনেকেই সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। সুদে-আসলে জমা টাকা পরিশোধ করতে না পেরে অনেকেই হয়েছে এলাকাছাড়া।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানাগেছে, ছোট ব্যবসায়ী, দোকানদার, কৃষক, দিনমজুরসহ অনান্য পেশার মানুষ দ্রব্য মূল্যস্ফীতির প্রভাব,চিকিৎসার টাকা যোগাতে ও আর্থিক টানাপোড়ার কারণে নিরুপায় হয়ে ৫ হাজার টাকা সুদে নিলে ৫ শত টাকা থেকে ৬ টাকা প্রতি মাসে সুদ দিতে হয়, যত দিন আসল টাকা ফেরৎ না দেয়া হবে তত এ সুদ গুনতে হবে প্রতি মাসে মাসে।
এ পরে রয়েছে দৈনিক সুদ কারবারি তারা ২৪ ঘন্টায় সুদ নেয় ১ হাজারে ১০ টা যা মাসে ৩ শত টাকা, আরও রয়েছে মূল্যবান সম্পদ (বন্দক) বা জামানত রেখে সময় নির্ধারণ করে সুদ নেয়ার কারবারি নির্ধারিত সময় অতিক্রম হলে প্রতিদিন গুনতে হবে মোটা অংকের সুদ , নিরুপায় মানুষ কোথাও টাকার ব্যবস্থা করতে না পারলে এ সকল সুদ কারবারিদের খপ্পরে পড়ে যায়, এসময় সুযোগ বুঝে হাতিয়ে নেয় ব্যাংক কেচ ও স্বাক্ষর করে নেয় বিভিন্ন সত্ত্বে লেখা ষ্টেম্পে, সত্ত্ব মেনে প্রতি মাসে সুদের টাকা না দিতে পরলে সে টাকা যোগ করা হয় মূল টাকার সাথে এভাবেই চক্র হরে টাকার আংক বেড়ে কয়েক মাসে তা ১০ গুন অর্থাৎ ১০ হাজার টাকা পরিনত হয়ে যায় ১ লক্ষ্য টাকায় তবু্ও পরিশোধ হয়না মূল টাকা।
এভাবেই সুদের টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় রানিশংকৈল শিবদিঘী বাজারের পান ব্যবসায়ী মকশেদ আলী প্রায় ১৬ লাক্ষ্য টাকার ঋণে পতিত হয়ে এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হন, পড়ে আত্মসম্মান রক্ষার্থে ভিটা বাড়ি বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করেছেন তিনি।
একই বাজেরর ফ্লেক্সিলোড ও মোবাইল ব্যাংকিং এর দোকানী মো.সাদিকুল ইসলাম(বাদশা) তিনি পড়েছিলেন বেস কয়েক জন দৈনিক সুদ কারবারিদের খপ্পরে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা সুদ দিতে হতো তাকে, এ ছাড়াও তার রয়েছে ৮ থেকে ১০ টি এনজিওতে লক্ষ্য,লক্ষ্য টাকা লোন রাত পেরিয়ে সকাল হলেই দিতে হয় কিস্তি এ ভাবেই পড়ে যায় অনেক বড় অর্থ সংকটে, প্রায় ২১ লক্ষ্য টাকার ঋণের চাপ সামলাতে না পেরে আত্নগোপণ করে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি, বিপাকে পারেছে সুদ কারবারিরা।
এছাড়াও এ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের গ্রাম-গঞ্জে পড়েছে সুদে কালো ছায়া, ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে নামে বেনামে শতাধিক দৈনিক সাপ্তাহিক সমিতি , চেক বই বন্ধক রেখে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষক, দিনমজুরসহ অন্য পেশার মানুষকে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ সুদে টাকা দেওয়া তারা।
সুদ-আসলের টাকা আদায় করতে আত্ন সন্মান হনন ও মারপিটের ঘটনাও ঘটছে।
রানিশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা এ প্রতিবেদককে বলেন, কোন ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।