ঢাকা ০৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে নান্দাইলে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে সাঈদী-মুজাহিদের কবর জিয়ারতের পথে নেতাকর্মীদের বহনকারী বাস দুর্ঘটনার কবলে, নিহত ৩ বাগেরহাটে বাণিজ্যিক ভবনে ভয়াবহ আগুন, এক নারীর মৃত্যু ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ ড. ইউনূসের বলিষ্ঠ পররাষ্ট্রনীতি : এব্যাপারে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে হরিরামপুরে তারুণ্যের উৎসব -২০২৫ বিজয়ীদের পুরস্কার বিতারন করা হয় ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ে,এস এস সি-২০২৫ এর বিদায় সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন টঙ্গীতে মারধর ও মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি কথিত যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ শহিদ মিনারে ২ দফা দাবি নিয়ে ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদের’ অবস্থান একযুগ পর বাংলাদেশ-পাকিস্তান রাজনৈতিক সংলাপ হতে যাচ্ছে

পঞ্চগড়ের সুগারমিল চালু হলে কর্মসংস্থান ফিরে পাবে শ্রমিকরা, সচল হবে জেলার অর্থনীতি

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ১০:০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • / ১৩৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

পঞ্চগড়ের বন্ধ হওয়া সুগারমিল চালু হলে শ্রমিকরা তাদের কর্মসংস্থান ফিরে পাবে এবং সচল হবে জেলার অর্থনীতি। পঞ্চগড়ের একমাত্র সরকারি ভারিশিল্প পঞ্চগড় সুগার মিলস্ লিমিটেড। ২০২০ সালের দিকে মিলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মিল সংশ্লিষ্ট হাজারও শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ে। যার শক্ত প্রভাব পড়েছে জেলার অর্থনিতিতে। তবে পঞ্চগড় জেলার আখ চাষিরা অন্যজেলার মিলে আখ সরবরাহের কারণে পড়েছেন ভোগান্তিতে। ফলে আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তারা। তবে তিন বছর পর পূনরায় সুগার মিলটি চালুর সম্ভবনার খবরে স্বস্তি ফিরেছে চাষী ও শ্রমিকদের মাঝে।

পঞ্চগড় জেলায় স্বাধীনতার পূর্বে ও পরের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের প্রতিক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে পঞ্চগড়ের সুগার মিলটি। এ জেলায় একমাত্র সরকারি ভারী শিল্প এই সুগার মিলটি। ১৯৬৬ সালে মিলটি প্রতিষ্ঠিতহওয়ার পর ২০২০ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে এই মিলে আখ মারাই বন্ধ হয়ে যায়। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে জেলায় আখ চাষ হয়েছিলো প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আর ২৩-২৪ আর্থ বছরে আখ চাষ হয়েছে প্রায় ৭০০ হেক্টর জমিতে। তবে মিল চালুর জন্য আখ চাষের প্রয়োজন কমপক্ষে ৩ হাজার হেক্টরের বেশি জমি। তবে এই কয়েক বছরে মিলের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও আখ সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত আখ চলে যাচ্ছে পার্শবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁও সুগার মিলে। একসময় এ জেলায় আখ চাষে চাষীদের ব্যাপক আগ্রহ-উৎসাহ থাকলেও সাম্প্রতিক কালে আখের দাম ভালো পেলেও ভোগান্তির কারণে আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছন চাষীরা।। এদিকে বন্ধ হওয়া সুগার মিলটি পুনরায় চালু হওয়ার খবরে কৃষক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়দের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মিলটি চালু হলে কৃষকরা আগ্রহী হবে আখ চাষে, সেই সাথে শ্রমিকরাও ফিরে পাবে তাদের কর্মস্থল। আশার প্রতিফলন ঘটবে জেলাবাসীর- এমন প্রত্যাশা জনপ্রতিনিধিসহ জেলাবাসীর। সুগারমিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণন সম্পাদক শ্রমিক নেতা- মাহবুব আলম বুলেট জানান, পঞ্চগড় জেলার একমাত্র সরকারি ভারী শিল্প সুগার মিলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শ্রমিক ও চাষীরা। তবে মিলটি পুনরায় চালু হলে কৃষক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীসহ জেলাবাস উপকৃত হবেন।

এদিকে স্থানীয় সাংসদ জানান, মিল চালুর ব্যাপারে সকল কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন; আইনী কোন বাধা নেই। তবে মিলের শর্ত অনুযায়ী কমপক্ষে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা পৌঁছালে ২৬ সালের মধ্যে আবারও মিলটি চালু হবে বলে তিনি আশা করছেন। তাই আখ চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষককে আখ চাষে আগ্রহী করে তুলতে হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পঞ্চগড়ের সুগারমিল চালু হলে কর্মসংস্থান ফিরে পাবে শ্রমিকরা, সচল হবে জেলার অর্থনীতি

আপডেট টাইম : ১০:০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

পঞ্চগড়ের বন্ধ হওয়া সুগারমিল চালু হলে শ্রমিকরা তাদের কর্মসংস্থান ফিরে পাবে এবং সচল হবে জেলার অর্থনীতি। পঞ্চগড়ের একমাত্র সরকারি ভারিশিল্প পঞ্চগড় সুগার মিলস্ লিমিটেড। ২০২০ সালের দিকে মিলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মিল সংশ্লিষ্ট হাজারও শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ে। যার শক্ত প্রভাব পড়েছে জেলার অর্থনিতিতে। তবে পঞ্চগড় জেলার আখ চাষিরা অন্যজেলার মিলে আখ সরবরাহের কারণে পড়েছেন ভোগান্তিতে। ফলে আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তারা। তবে তিন বছর পর পূনরায় সুগার মিলটি চালুর সম্ভবনার খবরে স্বস্তি ফিরেছে চাষী ও শ্রমিকদের মাঝে।

পঞ্চগড় জেলায় স্বাধীনতার পূর্বে ও পরের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের প্রতিক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে পঞ্চগড়ের সুগার মিলটি। এ জেলায় একমাত্র সরকারি ভারী শিল্প এই সুগার মিলটি। ১৯৬৬ সালে মিলটি প্রতিষ্ঠিতহওয়ার পর ২০২০ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে এই মিলে আখ মারাই বন্ধ হয়ে যায়। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে জেলায় আখ চাষ হয়েছিলো প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আর ২৩-২৪ আর্থ বছরে আখ চাষ হয়েছে প্রায় ৭০০ হেক্টর জমিতে। তবে মিল চালুর জন্য আখ চাষের প্রয়োজন কমপক্ষে ৩ হাজার হেক্টরের বেশি জমি। তবে এই কয়েক বছরে মিলের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও আখ সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত আখ চলে যাচ্ছে পার্শবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁও সুগার মিলে। একসময় এ জেলায় আখ চাষে চাষীদের ব্যাপক আগ্রহ-উৎসাহ থাকলেও সাম্প্রতিক কালে আখের দাম ভালো পেলেও ভোগান্তির কারণে আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছন চাষীরা।। এদিকে বন্ধ হওয়া সুগার মিলটি পুনরায় চালু হওয়ার খবরে কৃষক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়দের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মিলটি চালু হলে কৃষকরা আগ্রহী হবে আখ চাষে, সেই সাথে শ্রমিকরাও ফিরে পাবে তাদের কর্মস্থল। আশার প্রতিফলন ঘটবে জেলাবাসীর- এমন প্রত্যাশা জনপ্রতিনিধিসহ জেলাবাসীর। সুগারমিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণন সম্পাদক শ্রমিক নেতা- মাহবুব আলম বুলেট জানান, পঞ্চগড় জেলার একমাত্র সরকারি ভারী শিল্প সুগার মিলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শ্রমিক ও চাষীরা। তবে মিলটি পুনরায় চালু হলে কৃষক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীসহ জেলাবাস উপকৃত হবেন।

এদিকে স্থানীয় সাংসদ জানান, মিল চালুর ব্যাপারে সকল কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন; আইনী কোন বাধা নেই। তবে মিলের শর্ত অনুযায়ী কমপক্ষে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা পৌঁছালে ২৬ সালের মধ্যে আবারও মিলটি চালু হবে বলে তিনি আশা করছেন। তাই আখ চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষককে আখ চাষে আগ্রহী করে তুলতে হবে।