ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

মহাদেবপুরে বাগানের কলাগাছ কেটে বিনষ্টের অভিযোগ

নওগাঁর মহাদেবপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে একটি বাগানের ৭০টি ফলন্ত কলাগাছ কেটে বিনষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রতিপক্ষরা বলছেন যে, তারা গাছগুলো কাটেননি।
উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর উত্তরগাড়া গ্রামের মৃত অহির উদ্দিনের ছেলে খলিলুর রহমান অভিযোগ করেন যে, তিনি দীর্ঘ ২৩ বছর আগে ওই মৌজায় ৯০৪ দাগে এবং মৃত রোস্তম আলী প্রামাণিক ৯০৫ দাগে জমি কেনেন। এরপর তারা মৌখিকভাবে বদল করে খলিলুর রহমান ৯০৫ দাগ ও রোস্তম আলী ৯০৪ দাগ ভোগ দখল করেন। ৯০৫ দাগে খলিলের ৩শ’ ফলন্ত কলাগাছ রয়েছে। তার প্রতিপক্ষ মৃত মহসীন আলী প্রামাণিকের ওয়ারিশরা মহাদেবপুর থানায় অভিযোগ দেন যে, ওই জমি তারা পাবেন। গত রোববার (২৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় এব্যাপারে থানায় এসআই শাহ আলমের নেতৃত্বে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উভয়পক্ষের জমির কাগজ দেখে ৯০৫ দাগে কোন জমি খলিলুর রহমানের কেনা না থাকায় সে জমির দখল তাকে ছেড়ে দেয়ার এবং ওই জমির উপর থাকা কলাগাছের অর্ধেক প্রতিপক্ষদের দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এসময় খলিলুর রহমান দাবি করেন যে, মহসীন আলী তার জীবদ্দশায় তার প্রাপ্ত জমি অন্যত্র বিক্রি করেছেন। কিন্তু সে দলিল দেখাতে না পারায় তার কথায় কেউ কর্ণপাত করেননি। তিনি দলিল সংগ্রহের জন্য সময় চাইলেও তা অগ্রাহ্য করা হয়। এই ঘটনার পর পরই খলিলুর রহমান রোস্তম আলীর জমি বিক্রির দলিল সংগ্রহ করে গ্রামে এসে জানতে পারেন দুপুরে ওইগ্রামের খয়বর আলীর নেতৃত্বে প্রতিপক্ষ মহসীন আলীর ছেলে ময়নুল ইসলাম, এমান, শহীদুল ইসলাম, আজাদুল ওরফে গামা, এবং তাদের ১৪/১৫ জন ওই কলাবাগান থেকে ৭০টি কলাগাছ কেটে বিনষ্ট করে ও সেগুলোর ফলন্ত কলা চুরি করে নিয়ে যায়। এতে তার এক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জানতে চাইলে খয়বর আলী জানান যে, তারা কলাগাছগুলো কাটেননি। বরং থানায় বসে আপসে খলিলুর রহমানই কলাগছগুলোর অর্ধেক প্রতিপক্ষদের দিয়েছেন। তিনি নিজেই কলাগাছগুলো কেটে কলা বিক্রি করে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন।
বিষয়টি জানতে এসআই শাহ আলমের মোবাইলফোনে বার বার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। মহামান্য হাইকোর্টের রুলিং থাকা সত্ত্বেও সিভিল বিষয়ে কিভাবে থানায় বৈঠক হচ্ছে তা নিয়ে জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন জানান, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুরে বাগানের কলাগাছ কেটে বিনষ্টের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৬:২৩:৩০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

নওগাঁর মহাদেবপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে একটি বাগানের ৭০টি ফলন্ত কলাগাছ কেটে বিনষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রতিপক্ষরা বলছেন যে, তারা গাছগুলো কাটেননি।
উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর উত্তরগাড়া গ্রামের মৃত অহির উদ্দিনের ছেলে খলিলুর রহমান অভিযোগ করেন যে, তিনি দীর্ঘ ২৩ বছর আগে ওই মৌজায় ৯০৪ দাগে এবং মৃত রোস্তম আলী প্রামাণিক ৯০৫ দাগে জমি কেনেন। এরপর তারা মৌখিকভাবে বদল করে খলিলুর রহমান ৯০৫ দাগ ও রোস্তম আলী ৯০৪ দাগ ভোগ দখল করেন। ৯০৫ দাগে খলিলের ৩শ’ ফলন্ত কলাগাছ রয়েছে। তার প্রতিপক্ষ মৃত মহসীন আলী প্রামাণিকের ওয়ারিশরা মহাদেবপুর থানায় অভিযোগ দেন যে, ওই জমি তারা পাবেন। গত রোববার (২৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় এব্যাপারে থানায় এসআই শাহ আলমের নেতৃত্বে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উভয়পক্ষের জমির কাগজ দেখে ৯০৫ দাগে কোন জমি খলিলুর রহমানের কেনা না থাকায় সে জমির দখল তাকে ছেড়ে দেয়ার এবং ওই জমির উপর থাকা কলাগাছের অর্ধেক প্রতিপক্ষদের দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এসময় খলিলুর রহমান দাবি করেন যে, মহসীন আলী তার জীবদ্দশায় তার প্রাপ্ত জমি অন্যত্র বিক্রি করেছেন। কিন্তু সে দলিল দেখাতে না পারায় তার কথায় কেউ কর্ণপাত করেননি। তিনি দলিল সংগ্রহের জন্য সময় চাইলেও তা অগ্রাহ্য করা হয়। এই ঘটনার পর পরই খলিলুর রহমান রোস্তম আলীর জমি বিক্রির দলিল সংগ্রহ করে গ্রামে এসে জানতে পারেন দুপুরে ওইগ্রামের খয়বর আলীর নেতৃত্বে প্রতিপক্ষ মহসীন আলীর ছেলে ময়নুল ইসলাম, এমান, শহীদুল ইসলাম, আজাদুল ওরফে গামা, এবং তাদের ১৪/১৫ জন ওই কলাবাগান থেকে ৭০টি কলাগাছ কেটে বিনষ্ট করে ও সেগুলোর ফলন্ত কলা চুরি করে নিয়ে যায়। এতে তার এক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জানতে চাইলে খয়বর আলী জানান যে, তারা কলাগাছগুলো কাটেননি। বরং থানায় বসে আপসে খলিলুর রহমানই কলাগছগুলোর অর্ধেক প্রতিপক্ষদের দিয়েছেন। তিনি নিজেই কলাগাছগুলো কেটে কলা বিক্রি করে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন।
বিষয়টি জানতে এসআই শাহ আলমের মোবাইলফোনে বার বার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। মহামান্য হাইকোর্টের রুলিং থাকা সত্ত্বেও সিভিল বিষয়ে কিভাবে থানায় বৈঠক হচ্ছে তা নিয়ে জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন জানান, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন।