ঢাকা ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

পাগলা নদীর সেতু নির্মাণে ব্যাপক দূর্নীতি-অনিয়ম

মোহাঃ মাইনুল ইসলাম লাল্টুঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতাঃ
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৪:১৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
  • / ৮৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বহুল কাঙ্খিত পাগলা নদীর উপর বেইলী ব্রীজের পাশে নতুন ব্রীজ নির্মাণ কাজের শুরুতেই ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে জনসাধারণ প্রতিবাদ করলে ব্রীজ নির্মাণে সংশ্লিষ্টদের সাথে বাগবিতন্ডা ঘটে। তবে এলজিইডির দাবি- ব্রীজ নির্মাণে কোন অনিয়ম হয়নি বরং স্থানীয় কয়েকজনের নিজস্ব স্বার্থের তাগিদে ব্রীজ নির্মাণে বাধা প্রদান করেছে। জানা যায় যে ২৭ কোটি ৪৫ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪৮ টাকা ব্যয়ে গত ১৫ নভেম্বর ব্রীজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল। এ ব্রীজটি নির্মাণ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএমবিইএল এন্ড এমএমএম জেভি। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল লতিফ, শাহিন শওকত ও বকুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন জানান, ব্রীজ নির্মাণে পিলারের গভীরতা দেয়ার কথা রয়েছে ৮০ ফুটের স্থানে ৪০ ফুট গভীরতা করে ঢালাই করছে। এছাড়া খাঁচা তৈরির ক্ষেত্রে ২৫ মিলি রডের স্থলে ২০ মিলি রড ব্যবহার করেছে। প্রতিটি খাচায় ২০টি করে রডের ব্যারেল দেয়ার স্থলে ১৫-১৭টি করে দিচ্ছে। তারা আরও বলেন, নির্ধারিত নিয়মে ব্রীজের নির্মাণ কাজের অনুরোধ করলে ঠিকাদারের লোকজন বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। যা উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি। ঢালাইয়ের ক্ষেত্রে নিম্মমানের সিমেন্ট, রড ও বালি ব্যবহার করছে। তাছাড়া পরিমাণে কম দিচ্ছে। এসব অনিয়ম দেখতে পেয়ে আমরা কাজে বাধা দিয়েছি। সরকারিভাবে যে কাজ করার নিময় রয়েছে, আমরা ঠিক সেইভাবে কাজ করা চাই। বৃহস্পতিবার সকালে কাজে বাধা দেওয়ায় তোলপাড় শুরু হলে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে কাজ বন্ধ করেন। এদিকে ব্রীজ নির্মাণ কাজ দেখাশোনায় নিয়োজিত রবিউল ইসলাম ও ম্যানেজার শামীম রেজা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সাবের আলী দূর্নীতি-অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নির্মাণ কাজ হচ্ছে। নির্মাণাধীন ব্রীজ এলাকায় উন্মুক্তকরণে স্থানীয় ১২ জনকে বাড়িঘর দ্রুত সরিয়ে নিতে নোটিশ প্রদান করা হলে তারা নিজেদের স্বার্থে ব্রীজ নির্মাণে বাঁধা প্রদান করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন জানান, স্থানীয়দের সঙ্গে ব্রীজ নির্মাণে সংশ্লিষ্টদের কিছুটা ঝামেলা হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাগলা নদীর সেতু নির্মাণে ব্যাপক দূর্নীতি-অনিয়ম

আপডেট টাইম : ০৬:৫৪:১৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বহুল কাঙ্খিত পাগলা নদীর উপর বেইলী ব্রীজের পাশে নতুন ব্রীজ নির্মাণ কাজের শুরুতেই ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে জনসাধারণ প্রতিবাদ করলে ব্রীজ নির্মাণে সংশ্লিষ্টদের সাথে বাগবিতন্ডা ঘটে। তবে এলজিইডির দাবি- ব্রীজ নির্মাণে কোন অনিয়ম হয়নি বরং স্থানীয় কয়েকজনের নিজস্ব স্বার্থের তাগিদে ব্রীজ নির্মাণে বাধা প্রদান করেছে। জানা যায় যে ২৭ কোটি ৪৫ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪৮ টাকা ব্যয়ে গত ১৫ নভেম্বর ব্রীজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল। এ ব্রীজটি নির্মাণ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএমবিইএল এন্ড এমএমএম জেভি। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল লতিফ, শাহিন শওকত ও বকুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন জানান, ব্রীজ নির্মাণে পিলারের গভীরতা দেয়ার কথা রয়েছে ৮০ ফুটের স্থানে ৪০ ফুট গভীরতা করে ঢালাই করছে। এছাড়া খাঁচা তৈরির ক্ষেত্রে ২৫ মিলি রডের স্থলে ২০ মিলি রড ব্যবহার করেছে। প্রতিটি খাচায় ২০টি করে রডের ব্যারেল দেয়ার স্থলে ১৫-১৭টি করে দিচ্ছে। তারা আরও বলেন, নির্ধারিত নিয়মে ব্রীজের নির্মাণ কাজের অনুরোধ করলে ঠিকাদারের লোকজন বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। যা উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি। ঢালাইয়ের ক্ষেত্রে নিম্মমানের সিমেন্ট, রড ও বালি ব্যবহার করছে। তাছাড়া পরিমাণে কম দিচ্ছে। এসব অনিয়ম দেখতে পেয়ে আমরা কাজে বাধা দিয়েছি। সরকারিভাবে যে কাজ করার নিময় রয়েছে, আমরা ঠিক সেইভাবে কাজ করা চাই। বৃহস্পতিবার সকালে কাজে বাধা দেওয়ায় তোলপাড় শুরু হলে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে কাজ বন্ধ করেন। এদিকে ব্রীজ নির্মাণ কাজ দেখাশোনায় নিয়োজিত রবিউল ইসলাম ও ম্যানেজার শামীম রেজা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সাবের আলী দূর্নীতি-অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নির্মাণ কাজ হচ্ছে। নির্মাণাধীন ব্রীজ এলাকায় উন্মুক্তকরণে স্থানীয় ১২ জনকে বাড়িঘর দ্রুত সরিয়ে নিতে নোটিশ প্রদান করা হলে তারা নিজেদের স্বার্থে ব্রীজ নির্মাণে বাঁধা প্রদান করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন জানান, স্থানীয়দের সঙ্গে ব্রীজ নির্মাণে সংশ্লিষ্টদের কিছুটা ঝামেলা হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।