ঢাকা ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মির্জাপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ সহকারী জব্বারের বিরুদ্ধে চা-বিক্রেতাকে মেরে রক্তাক্ত জখম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে যাদবপুর কেন্দ্রের তৃনমূল দলের প্রার্থী শাওনি ঘোষের হরে প্রচারে স্পিকার বিমান ব্যানার্জী ইবিতে কোটি টাকা ব্যয়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিবহন সেবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- মঠবাড়িয়া দুই চেয়াররম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-৫ : গ্রেপ্তার-৫ টাঙ্গাইল জেলা গোপালপুর উপজেলা গোপালপুর পৌর এলাকা হাটবৈরান গ্রামে বেলা তিনটার দিকে স্বামীর হাতে বউ খুন ফুলবাড়ীতে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্ভোদন পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ১০জন প্রার্থী ব্যপক প্রচার-প্রচারণায় মুখর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২১ মে জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পির মোটরসাইকেলের গনসংযোগ জনগণের ব্যাপক সাড়া জামালপুরে ধান কাটার মৌসুম শুরু

বছর তিনেক হলেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ, উধাও ঠিকাদার

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে একপাশে অসমাপ্ত ব্রিজ আর অন্য পাশে বিকল্প কাঁচা রাস্তা ৩ বছর ধরে অবহেলায় পড়ে আছে উপজেলার দেওপাড়া ইউপির খাকুরিয়ার ৫২ মিটার ব্রিজের নির্মাণকাজ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলা এবং কাজের এমন ধীর গতিতে ব্রিজটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ৪১ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ব্রিজটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে একাংশ ভেঙে যায়। ব্রিজটি পুননির্মানের জন্য ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মাস থেকে ৪ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার ৫৪৪ টাকা ব্যায়ে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে ঢাকা এসই সাদিয়া অ্যান্ড সামিয়া জয়েণ্টভেঞ্চার নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান স্থানীয় জনৈক সাইফুল ইসলামকে কাজটি করার জন্য সাব-ঠিকাদার নিয়োগ করে দেয়। সাব-ঠিকাদার বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করেই মেয়াদোত্তীর্ণ ব্রিজটি ভাঙা শুরু করে। পরে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে কাঁদা মাটি দিয়ে পায়ে হাটা রাস্তা তৈরি করেন। যথা সময়ে ব্রিজের কাজ শুরু করলেও ২০২২ সালে এসে শেষ করার কথা ছিল কিন্তু এখনো কাজটি শেষ করতে পারেনি। ১/২ মাস কাজ চলমান ছিল। হঠাৎ অজ্ঞাত কারণে ব্রিজের কাজ ফেলে রেখে উধাও হয়ে যায় ঠিকাদার। স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি দাবী দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন ব্রিজের কাজ শেষ করা হয়।
স্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমাদের কাঙ্খিত খাকুরিয়ার সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়াতে বেশ খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ ৩ বছরেও শেষ করতে পারেনি। অনেকদিন ধরে নির্মাণ কাজ একদম বন্ধ তাতে ৫ বছরে কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।

দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হেপলু বলেন, প্রায় ৩ বছর যাবৎ ব্রিজটি এভাবে স্থগিত রয়েছে। দেওপাড়া ইউনিয়নসহ আশেপাশের ৪১টি গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। আমি সবসময় দেখেছি মানুষ খুব ভোগান্তির মধ্যে আছে। ঠিকাদারকে বার বার চাপ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে সংশ্লিষ্ট সাব-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে না পেয়ে তার মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে শিগ্রই কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী একে এম হেদায়েত উল্ল্যাহ জানান, ধলাপাড়া,দেওপাড়া ও শিমলা রোডে আমাদের ৫২ মিটার ব্রিজের কাজ চলমান আছে। আমাদের প্রায় ৬০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। আমাদের যে মূল ঠিকাদার জেলে থাকার কারণে মূলত অসুবিধাটি হয়েছে। খুব দ্রুতই নতুন করে নির্মান কাজ শুরু হবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সেঁতুর নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু হবে বলে আশা করছি।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ সহকারী জব্বারের বিরুদ্ধে চা-বিক্রেতাকে মেরে রক্তাক্ত জখম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে

বছর তিনেক হলেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ, উধাও ঠিকাদার

আপডেট টাইম : ০৭:১১:২২ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে একপাশে অসমাপ্ত ব্রিজ আর অন্য পাশে বিকল্প কাঁচা রাস্তা ৩ বছর ধরে অবহেলায় পড়ে আছে উপজেলার দেওপাড়া ইউপির খাকুরিয়ার ৫২ মিটার ব্রিজের নির্মাণকাজ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলা এবং কাজের এমন ধীর গতিতে ব্রিজটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ৪১ গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ব্রিজটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে একাংশ ভেঙে যায়। ব্রিজটি পুননির্মানের জন্য ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মাস থেকে ৪ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার ৫৪৪ টাকা ব্যায়ে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে ঢাকা এসই সাদিয়া অ্যান্ড সামিয়া জয়েণ্টভেঞ্চার নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান স্থানীয় জনৈক সাইফুল ইসলামকে কাজটি করার জন্য সাব-ঠিকাদার নিয়োগ করে দেয়। সাব-ঠিকাদার বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করেই মেয়াদোত্তীর্ণ ব্রিজটি ভাঙা শুরু করে। পরে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে কাঁদা মাটি দিয়ে পায়ে হাটা রাস্তা তৈরি করেন। যথা সময়ে ব্রিজের কাজ শুরু করলেও ২০২২ সালে এসে শেষ করার কথা ছিল কিন্তু এখনো কাজটি শেষ করতে পারেনি। ১/২ মাস কাজ চলমান ছিল। হঠাৎ অজ্ঞাত কারণে ব্রিজের কাজ ফেলে রেখে উধাও হয়ে যায় ঠিকাদার। স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি দাবী দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন ব্রিজের কাজ শেষ করা হয়।
স্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমাদের কাঙ্খিত খাকুরিয়ার সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়াতে বেশ খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ ৩ বছরেও শেষ করতে পারেনি। অনেকদিন ধরে নির্মাণ কাজ একদম বন্ধ তাতে ৫ বছরে কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।

দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হেপলু বলেন, প্রায় ৩ বছর যাবৎ ব্রিজটি এভাবে স্থগিত রয়েছে। দেওপাড়া ইউনিয়নসহ আশেপাশের ৪১টি গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। আমি সবসময় দেখেছি মানুষ খুব ভোগান্তির মধ্যে আছে। ঠিকাদারকে বার বার চাপ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে সংশ্লিষ্ট সাব-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে না পেয়ে তার মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে শিগ্রই কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী একে এম হেদায়েত উল্ল্যাহ জানান, ধলাপাড়া,দেওপাড়া ও শিমলা রোডে আমাদের ৫২ মিটার ব্রিজের কাজ চলমান আছে। আমাদের প্রায় ৬০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। আমাদের যে মূল ঠিকাদার জেলে থাকার কারণে মূলত অসুবিধাটি হয়েছে। খুব দ্রুতই নতুন করে নির্মান কাজ শুরু হবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সেঁতুর নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু হবে বলে আশা করছি।