৬ ডিসেম্বর নাবাবগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস
- আপডেট টাইম : ০২:৫৮:২৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ১২১ ৫০০০.০ বার পাঠক
আজ ৬এ ডিসেম্বর, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর আজকের এই দিনে সুর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের ঝুকিনিয়ে লড়াই করে নবাবগঞ্জ থেকে দখলদার পাকবাহিনীকে তাড়িয়ে শত্রু মুক্ত করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা উড়িয়েছিলেন।
ততকালীন সময়ের স্থানীয় বীরযোদ্ধাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা যায়, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের শুরু থেকেই যখন পাকিস্তাানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন চলছিল তখন শান্তিশৃংখলা বজায় রেখে বাঙালি ও অবাঙালিদের মধ্যে যেন কোনো প্রকার সংঘাত সৃষ্টি না হয় সেজন্য মার্চের প্রথম সপ্তাহে নবাবগঞ্জে গঠিত হয় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের কমিটি। ২৪ মার্চ পর্যুন্ত নবাবগঞ্জে পূর্ণ শান্তি বিরাজ করে আসছিল কিন্তু ২৫ মার্চের গভীর রাতে সারা দেশে দখলদার পাাকবাহিনীর দ্বারা নিরীহ বাঙালিদের হত্যাযজ্ঞের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে,২৬ মার্চ এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিসদ কমিটির উদ্যোগে নবাবগঞ্জ শহরে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয় ।
স্বাধীনতা যুদ্ধচলাকালিন সময়ের এক পর্যায়ে এপ্রিলের ২ তারিখে দখলদার পাকবাহিনী আক্রমণ করে নবাবগঞ্জ পুরো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এবং তারা তখন থেকে শুরু করে এখানকার বাঙালিদের ওপর নির্মম অত্যাচার। হত্যা, লুটতারাজ ও অগ্নিসংযোগসহ বর্বর নির্যাতন চালায় তারা।
মাতৃভূমিকে দখলদারের কবল হতে মুক্ত করতে তৎকালিন নবাবগঞ্জের মুক্তিকামী যুবকরা যোগ দেন মুক্তিবাহিনীতে। ভারতের মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার বিভিন্ন দিকহতে নবাবগঞ্জে প্রবেশ করে দখলদার পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায় মুক্তি সেনারা। মিত্রবাহিনীর হাতে নিশ্চিত পরাজয় ভেবে দখলদার পাকবাহিনী নবাবগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর এই দিনে বাংলার মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনী যৌথভাবে তুমুল সম্মুখ লড়াইয়ে খানসেনাদেরকে হটিয়ে হানাদারমুক্ত করে নবাবগঞ্জ কে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে দেয় মুক্তি সেনারা। দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করে আসছেন।