ঢাকা ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
শরণখোলায় রায়েন্দা বাজার ৫ নং ওয়ার্ড ব্যবসায়ীকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি কেন ইসরাইলিদের পছন্দ করতেন না রানি এলিজাবেথ? জাতীয় বাটপার ঘুস’ হিসেবে গুলশানে ফ্ল্যাট নেওয়ায় টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলা ৩৫ সাবরেজিস্ট্রি অফিসে একযোগে দুদকের অভিযান দলিল রেজিস্ট্রেশন বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে নাসিরনগর বিএনপির উদ্যোগে ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত আজমিরীগঞ্জে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দুই কৃষিশ্রমিকের মৃত্যু কালিয়াকৈরে রাজিব সরকারের নেতৃত্বে মারধর, চাঁদাবাজি ও হুমকির অভিযোগ আরও আঘাত পাবে হামাস’, গাজায় গিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন নেতানিয়াহু প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির ৮ শীর্ষ নেতা দায়িত্বে অবহেলা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, চসিক মেয়র ড. শাহাদাত হোসেন

উখিয়ায় সুপারির বাম্পার ফলনঃ বাগান মালিকদের মুখে হাসি

উখিয়া (কক্সবাজার) 
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৪:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৫৩৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা’র বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। পাকা সুপারির ভালো দাম পেয়ে বাগান মালিকদের মুখে হাসি ফুটেছে উঠেছে। কক্সবাজার জেলার দক্ষিণাঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া সুপারি উৎপাদনে উপযোগী। এ জনপদের এমন কোনো বাড়ি নেই যে সুপারি গাছ নেই। এছাড়াও বিশাল-বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে সুপারি বাগান।
উক্ত ফসলি জমি গুলোতে সুপারির বাগান করে উৎপাদন করা হচ্ছে শত শত কোটি টাকার সুপারি। অর্থকারী এ ফসলকে ঘিরে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে উখিয়া উপজেলায়। উৎপাদিত সুপারির বাজার দর ভালো থাকায় সুপারি চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। বিশেষ করে উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়া বাজার, কোটবাজার, রুমখাঁ মনি মার্কেট, মরিচ্যা বাজার, উখিয়া সদর, ভালুকিয়াপালং, কুতুপালংসহ বিভিন্ন স্থানে সুপারীর হাট বসে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে এখানকার উৎপাদিত সুপারি।
সরেজমিনে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় বাগানে উৎপাদিত সুপারি বাজারে ক্রয় বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। এবারে সুপারির দামও চাষিদের অনুকুলে রয়েছে। যার ফলে স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে ব্যবসায়ীরা।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উখিয়া উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। চাষকৃত জমিতে গড়ে ১.৮৮ মেট্রিক টন ফলন হয়েছে। ফলে উপজেলায় এবারের মৌসুমে মোট ১৭৮০মেট্রিক টন সুপারি ফলন হয়েছে।
এদিকে রুমখাঁ ধুরুমখালীর সুপারি ব্যবসায়ী মাহবুব আলম ও ছৈয়দ আলম জানান, এবছর প্রতি পণ সুপারি (৮০টি) মানভেদে ২৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। দেশে প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র থাকলে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিজাম উদ্দিন জানান, মাঠ পর্যায়ের জরিপ অনুযায়ী ৯৫০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। যা স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে, সুপারি বাগান মালিকদের কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

উখিয়ায় সুপারির বাম্পার ফলনঃ বাগান মালিকদের মুখে হাসি

আপডেট টাইম : ০৬:১৪:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা’র বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। পাকা সুপারির ভালো দাম পেয়ে বাগান মালিকদের মুখে হাসি ফুটেছে উঠেছে। কক্সবাজার জেলার দক্ষিণাঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া সুপারি উৎপাদনে উপযোগী। এ জনপদের এমন কোনো বাড়ি নেই যে সুপারি গাছ নেই। এছাড়াও বিশাল-বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে সুপারি বাগান।
উক্ত ফসলি জমি গুলোতে সুপারির বাগান করে উৎপাদন করা হচ্ছে শত শত কোটি টাকার সুপারি। অর্থকারী এ ফসলকে ঘিরে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে উখিয়া উপজেলায়। উৎপাদিত সুপারির বাজার দর ভালো থাকায় সুপারি চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। বিশেষ করে উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়া বাজার, কোটবাজার, রুমখাঁ মনি মার্কেট, মরিচ্যা বাজার, উখিয়া সদর, ভালুকিয়াপালং, কুতুপালংসহ বিভিন্ন স্থানে সুপারীর হাট বসে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে এখানকার উৎপাদিত সুপারি।
সরেজমিনে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় বাগানে উৎপাদিত সুপারি বাজারে ক্রয় বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। এবারে সুপারির দামও চাষিদের অনুকুলে রয়েছে। যার ফলে স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে ব্যবসায়ীরা।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উখিয়া উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। চাষকৃত জমিতে গড়ে ১.৮৮ মেট্রিক টন ফলন হয়েছে। ফলে উপজেলায় এবারের মৌসুমে মোট ১৭৮০মেট্রিক টন সুপারি ফলন হয়েছে।
এদিকে রুমখাঁ ধুরুমখালীর সুপারি ব্যবসায়ী মাহবুব আলম ও ছৈয়দ আলম জানান, এবছর প্রতি পণ সুপারি (৮০টি) মানভেদে ২৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। দেশে প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র থাকলে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিজাম উদ্দিন জানান, মাঠ পর্যায়ের জরিপ অনুযায়ী ৯৫০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। যা স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে, সুপারি বাগান মালিকদের কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।