বিরামপুরে ভূয়া পর্চায় জমি রেজিষ্ট্রেরীর অভিযোগ
- আপডেট টাইম : ১১:৫৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
- / ১৩০ ৫০০০.০ বার পাঠক
দিনাজপুরের বিরামপুরে জনৈক দলীল লেখক (মুহরী) আফজাল হোসেন প্রতিবেশী সাহার উদ্দিনের দুই ছেলে আজিজার রহমান ও বেলাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ভূয়া পর্চা সৃষ্টির করে প্রতারণার মাধ্যমে জমি কবলা করায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের মৃত: আব্দুল লতিফের বড় ছেলে জাকির হোসেন ওরফে রকেট ১১ নভেম্বর বিরামপুর থানায় অভিযোগ করেছেন।
জাকির হোসেন ওরফে রকেট সাংবাদিকদের জানান, বিনাইল মৌজার ২৭২ খতিয়ানভূক্ত সাবেক ১৪২৪ দাগ, বর্তমান ২৩৮৭ দাগের ভিটা শ্রেণির ১০ শতাংশ জমি যাহা আমার দাদা বাহার উদ্দিন গং এর নামে এসএ খতিয়ান ভূক্ত ছিল। বর্তমান মাঠজরিপে উক্ত দাগের ১০ শতাংশ জমি মৌখিক ভাগ-বাটোয়ারাসূত্রে আমার দাদার ওয়ারিশদের মধ্যে আমার বাবা আব্দুল লতিফের নামে চলমান মাঠ জরিপে দখলশর্ত অবস্থায় মাঠপর্চা হয়েছে। যাহার বর্তমান ডিপি খতিয়ান নং ১৯৫ ও খতিয়ান নং ১৮১১। যাহা জাকির হোসেন রকেট ও ছোটভাই জাহাঙ্গীর আলম একজন প্রতিবেশীকে সঙ্গে নিয়ে উল্লেখীত জমিটিতে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মাঝে সব বিষয় উপস্থাপন করেন।
অভিযোগ কারির ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম জানান, উক্ত জমি উপজেলার বিনাইল গ্রামের মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলেদ্বয় আজিজার রহমান ও বেলাল হোসেন যোগসাজসে মৃত; জলিলুরের ছেলে বিরামপুর সাব রেজি: অফিসের দলিল লেখক(মুহরী) আফজাল হোসেন সেটেলমেন অফিসের পর্চার ১৯৫ নং ডিপি খতিয়ানের মুল খতিয়ান নং যাহা ১৮১১ কে বিক্রিত করে সেই স্থানে ১৮১০০ খতিয়ান নং বসিয়ে অফিসের কর্মকর্তাদের সিল ও স্বাক্ষর নকল করে একটি মাঠ পর্চা তৈরি করেন।
সেই ভূয়া মাঠপর্চা ও ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে আফজাল হোসেন তার স্ত্রী রেণু কনার নামে দলিল সৃষ্টিকরে উক্ত দাগ ও খতিয়ানের পৌনে ১ শতাংশ জমি মালিকানার শর্ত দাবী করে নামজারি সম্পাদন করে।
বিষয়টি অভিযোগকারী রকেট ও তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম জানতে পেয়ে বিরামপুর সেটেলমেন্ট অফিসে গেলে কর্তব্যরত পেশকার সাইদুল ইসলাম ১৮১০০ খতিয়ান নং এর মাঠপর্চা ও তাতে ব্যবহৃত সিল-স্বাক্ষর তাদের অফিসের নয় বলে ভূয়া বলে সনাক্ত করেন।
ভূয়া মাঠপর্চায় খারিজ করায় বিরামপুর সহকারী কমিশনার(ভূমি) এর কার্যালয়ে রেণু কনা নামে খারিজটি বাতিলের আবেদন করলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের অতিরিক্ত দায়ীত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার কাগজপত্রাদি যাচায় বাছাইঅন্তে রেণু নামের ৬৫/২১-২২ নং নামজারিটি ৩০-১২-২০২১ ইং তারিখে বাতিল করেন।
পরবর্তীতে অভিযোগকারীর ছোটভাই জাহাঙ্গীর আলম অন্যান্ন ওয়ারিশদের সন্মতিক্রমে উক্তদাগের ১০ শতাংশ জমি নিজ নামে নামজারির আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ ২৪-০৯-২০২২ ইং তারিখে ৭৫৩ খতিয়ানভৃক্ত ১৪২৪ দাগের ১০ শতাংশ জমির নামজারিটি মঞ্জুর করেন। যাহার নামজারীর মামলা নং ৩৪৬(IX-I) ২০২২-২৩ ইং। এবং ডিসিয়ার নং- ২২২৭১০১৮৩০০৩৪৬।
এর পর ও উক্ত বিবাদীগং একযোগে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে উক্ত জমিতে পেশিশক্তি খাটিয়ে জবর দখলের পায়তারা করলে উপজেলার বিলাইল গ্রামের মৃত:আব্দুল লতিফের বড় ছেলে জাকির হোসেন ওরফে রকেট গত ১১ নভেম্বর শনিবার আফজাল হোসেন তার স্ত্রী রেণু কনা সহ বেশ কয়েকজনের নামে বিরামপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন বলে জানিয়েছেন। যার বিরামপুর থানায় জিডি নং১৩৪৭/২৩ইং। প্রেক্ষিতে কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পর বিরামপুর থানায় গত ১১ই নভেম্বর একটি অভিযোগ দায়ের করেছে বাদি পক্ষ ।
।