মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে ১ মাসে দেড় লক্ষ মেট্রিকটন পাথর উত্তোলনের রেকর্ড
- আপডেট টাইম : ০৮:০০:১১ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩
- / ২০৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির পরিচালনা, উৎপাদন এবং উন্নয়নে জিটিসি’এর সাথে ২য় দফা চুক্তির পর খনি থেকে মাসিক উৎপাদনে ইতিপূর্বের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গত অক্টোবর মাসে খনির পাথর উৎপাদন ইতিহাসে একটি নতুন মাসিক পাথর উত্তোলনের বিস্ময়কর রেকর্ড গড়েছে বে-সরকারি সংস্থা জিটিসি’র।
দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি থেকে গত অক্টোবর মাসে প্রায় দেড় লক্ষ মেট্রিক টন সর্বোচ্চ পাথর উত্তোলন করেছে খনির বর্তমান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মাানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। গত ২০০৭ সালে পাথর খনির বাণিজ্যিক উত্তোলনের শুরু থেকে ইতিপুর্বে এক মাসের মধ্যে এতো পরিমান পাথর উত্তোলন করা কখনোই সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য বর্তমান চুক্তির সময়কালে ধারাবাহিকভাবে প্রায় প্রতিমাসেই জিটিসি পাথর উত্তোলনে নিজেদের গড়া রেকর্ড দিয়ে নতুন মাইল ফলক স্থাপন করে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুত আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে।
জানা গেছে, বর্তমান সরকার ইতিপূর্বে সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন ব্যবস্থাপনায় লোকসানে চলা পাথর খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে গত ২০১৩ ইং সালে জার্মাানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর সাথে খনি কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা, রক্ষনাবেক্ষন,উৎপাদন এবং পরিচালনা চুক্তি হয়। জিটিসি খনির উন্নয়ন ও উৎপাদনকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে পাথর উত্তোলন শুরু করে এবং প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা, অসহযোগিতা সহ নানা প্রতিকূলতার মাঝেও জিটিসি গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছর থেকে টানা ৪ অর্থ বছরে খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে। যার ফলশ্রুতিতে পাথর উত্তোলনে জিটিসি’র এই সফলতার পর প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদ শেষে জিটিসি’র সাথে নতুন করে আবারো খনি কর্তৃপক্ষের ০৬ বছরের জন্য চুক্তি হয়। দ্বিতীয় দফা চুক্তির প্রথম বছরে নির্ধারিত সময়ে বাৎসরিক উত্তোলনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশী পরিমান পাথর উত্তোলন করে জিটিসি তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। এবং ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়ে চলেছে।
মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে উৎপাদনের মাসিক এই নতুন রেকর্ড সৃষ্টির ফলে খনিটি বর্তমানে সরকারের লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার ফলে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। কিন্ত খনি কর্তৃপক্ষের আয়ত্বাধীন পাথর বিক্রয় অতিমাত্রায় ধীর গতিতে হওয়ার ফলশ্রুতিতে খনি কর্তৃপক্ষ ব্যর্থতার দিকে যাচ্ছে। একই সঙ্গে খনি এলকার সচেতন জনগন মনে করেন জিটিসি এর সঙ্গে খনি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভুত সমস্যা দ্রুত সমাধানে খনির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে ব্যবস্থা নিবে। রেকর্ড পরিমানে পাথর উত্তোলনের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খনি সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের অর্থনৈতিক এবং জীবন মানের প্রভুত উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।এই উৎপাদিত পাথর দেশের উন্নয়ন কাজে ব্যপক ব্যবহার হচ্ছে। এই উৎপাদিত পাথর বিক্রয় করে সরকারের রাজস্ব বাড়ছে, লাভবান হচ্ছে কোম্পানি ও সরকার। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সহযোগি হিসেবে মধ্যপাড়া পাথর খনির অবদান অব্যাহত রাখতে খনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা পেলে জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর মাধ্যমে মধ্যপাড়া পাথর খনি দেশের অর্থনীতির একটি মডেলস্বরুপ বিবেচিত হবে।