পিরোজপুরের সাংবাদিক ইমনকে লাঞ্চিত ও ঝালকাঠিতে সাংবাদিক বশিরের বিরুদ্ধে দুটি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
- আপডেট টাইম : ০২:৫৭:৪৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১০৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
পিরোজপুর জেলার এখন টেলিভিশনের সাংবাদিক মো:ইমন চৌধুরী জেলা এলজিইডি”র অফিসের উচ্চমান সহকারী মিনাল কান্তি রায়ের দলস্ত্রীর নামে লাইসেন্স রায় কনেস্ট্রেশন। এই লাইসেন্সে প্রায় দেড় কোটি টাকার কাজ পেয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার করে। এ বিষয়ে ইমন চৌধুরী বিভিন্ন গণমাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করার কারণে। গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে ইমনে বাসা থেকে জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কোষাধক্ষ তার সঙ্গ বঙ্গ নিয়ে ইমনের বাসা থেকে তাকে তুলে এনেছে বলে জানিয়েছেন ইমন ।তুলে আনার পরে প্রথমে মোবাইলের ডকুমেন্ট ও ফেসবুক থেকে সকল ডকুমেন্ট ডিলিট দিয়েছেন। পরবর্তীতে তাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে পরবর্তীতে এই ব্যাপারে আর কোনো লেখালেখি করবি না তোর টাকা লাগলে টাকা নিয়ে যা । কিন্তু সে টাকা নিতে রাজি না হওয়ার কারণে তাকে ব্ল্যাক মেন করে বলে তুই এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করো মিনাল কান্তি রায়ের কাছে তোর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দেয়া হবে।পরবর্তীতে প্রেসক্লাবের পরিত্যক্ত রুমে নিয়ে বেদমভাবে মারধর সহ প্রাণনাশের হুমকি, লাঞ্ছিত করেন।ওখান থেকে প্রায় এক ঘন্টা পর তাকে ছেড়ে দেয় পরে সেই বাসায় এসে লাঞ্ছিত হওয়ার কারণে তার বাসার ফ্যানের সাথে দরজা বন্ধ করে গলায় রাশি দেয়ার জন্য প্রস্তুত হন। এই বিষয়ে তার পরিবারের লোকজন টের পেয়ে দরজা ভেঙে তাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন।
অপরদিকে ঝালকাঠি জেলার দৈনিক ভোরের সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মো: বশির খলিফার বিরুদ্ধে স্থানীয় কিছু রাক্ষসের সাংবাদিক দীর্ঘদিন ক্ষতিশাধন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকজনদের দিয়ে ফিটিং মামলা সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসে।এক এক করে একাধিক মামলা দিয়েও ক্ষান্ত হননি কুচক্রী মহল ও রাক্ষসের সাংবাদিকরা। বশির খলিফার বিরুদ্ধে পূর্বের যত মিথ্যা মামলা ছিল সব মামলা থেকে সে খালাস পেয়েছেন। এখন বর্তমানে ঝালকাঠি সদর থানায় রাজনীতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাহাকে থানার একটি এজাহারে ১২ নাম্বার আসামিতে অন্তর্ভুক্ত করেন ঝালকাঠি সদর থানার ওসি।
পরবর্তীতে একইভাবে আরো একটি ফিটিং মামলা দিয়েছেন ঝালকাঠি বিজ্ঞ আদালতে। এ বিষয়ে বশির খলিফা বলেন মামলার ঘটনা ও তারিখের সময় আমি স্থানে ছিলাম না। অতএব আমাকে উদ্দেশ্য পূর্নভাবে হয়রানি করার জন্য এই পরিকল্পনা করে আসছে। উল্লেখ্য এই উভয় বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এন্ড প্রেস সোসাইটির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২৭ শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ রোজ (বুধবার) দুপুর ১২ ঘটিকার সময় মানববন্ধনের কর্মসূচি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ আবু জাফর। দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার মফস্বল সম্পাদক ,প্রতিদিন খবরের সম্পাদক প্রকাশক ও আলোর ছোঁয়া মানব কল্যাণ সোসাইটি চেয়ারম্যান সরকার জামাল। বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এন্ড প্রেস সোসাইটির চেয়ারম্যান ও দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আনোয়ার হোসেন আকাশ। দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকা ও এশিয়ান টেলিভিশনের রিপোর্টার মো: রাজিব তালুকদার, দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার প্রশান্ত কুমার দাস, সাংবাদিক বৃন্দাবন মল্লিক, ওয়াহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইসলাম উদ্দিন, সাব্বির হোসেন হাওলাদার, ক্রিকেটার ইমন চৌধুরী সহ প্রমুখ।
বক্তারা বক্তব্য বলেন যে বাংলাদেশে আনাছে কানাচে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গাতে সাংবাদিকরা অযথা নির্যাতন এবং মামলার হামলার শিকার হচ্ছে। তাই অনতিবিলম্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ করছি সাংবাদিক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন ও নিরাপত্তার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। পিরোজপুরের সাংবাদিক ইমন চৌধুরী লাঞ্ছিত ও ঝালকাঠি জেলার বশির খলিফার বিরুদ্ধে যে ২ টি মিথ্যা মামলা তদন্ত ছাড়াই দায়ের করা হয়েছে তাহা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার সহ ভুসিদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।