ঠাকুরগাঁওয়ে উপমা সংস্থার পক্ষ থেকে অসহায়দের মাঝে পাকা স্যানিটেশন প্রদান
- আপডেট টাইম : ০৫:৫৫:২৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৫৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
: ঠাকুরগাঁওয়ে উপমা সংস্থার পক্ষ থেকে ক্ষুদ্র- নৃগোষ্ঠী দরিদ্র পরিবারের মাঝে ৯ টি পাকা স্যানিটেশন প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার হরিহরপুরের মাছুয়াপারায় ফিতা কেটে এর শুভ উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন।
উপমা পল্লী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এস এম ফারজানা আক্তারের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন। তিনি ঐ গ্রামের সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, স্যানিটেশনের অভাবে আপনারা খোলা আকাশে মলমূত্র ত্যাগ করেন যা পরিবেশ ও স্বাস্থের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। উপমা পল্লী উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে আজকে আপনারা সেমি পাকা স্যানিটেশন পেয়েছেন। এভাবে বিভিন্ন প্রকল্প, সংস্থাসহ সরকারের বিভিন্ন সহযোগিতার মাধ্যমে অবহেলিত এলাকাগুলো উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এছাড়াও ঐ এলাকার অনেক নিচু রাস্তা যেগুলো বর্ষাকালে পানির নিচে তলিয়ে থাকে যার কারণে যাতায়াতের অনেক সমস্যা হয়। এ রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করার আশ্বাস দেন রহিমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হাসান মোঃ আব্দুল হান্নান হান্নু।
এদিকে স্যানিটেশনের যথাযথ ব্যবহার সহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক খাদেমুল ইসলাম।
এসময় উপমা পল্লী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এস এম ফারজানা আক্তার বলেন, আমি জানতে পারি সদর উপজেলার হরিহরপুরের এই গ্রামটি অনেক অবহেলিত। আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে তারা এখনো বঞ্চিত। তারা এখনো খোলা আকাশে যেখানে সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করে। তাই আমি এদের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করা শুরু করি। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে ১৬ টি বরাদ্দ পেয়েছি যার মধ্যে আজকে ৯ টি অসহায় পরিবারের মাঝে সেমি পাকা স্যানিটেশন ল্যাট্রিন দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরো দেওয়া হবে। আমি এরকম অসহায় দরিদ্রদের পাশে থেকে কাজ করতে চাই যেন এদের মধ্যে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগে এই প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছি।
স্যানিটেশন ল্যাট্রিন পেয়ে উপমা পল্লী উন্নয়ন সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়ে গ্রামবাসীরা বলেন, আমাদের এই গ্রামে কোন বাড়িতে স্যানিটেশন ল্যাট্রিন নেই। আমরা খোলা আকাশের নিচে যেখানে সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করতাম। এভাবে আমরা প্রায় সব সময় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতাম। আমরা অনেক অবহেলিত। হঠাৎ করে উপমা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ফারজানা আক্তার আপা এসে আমাদের সাথে কথা বলেন আমাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেন। তার মাধ্যমে আমরা আজ স্যানিটেশন ল্যাট্রিন পেয়েছি এবং আমরা আশা রাখি সরকার আমাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে।