সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দুই দোকানে চাঁদাবাজি ও জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিক কে হুমকি থানায় অভিযোগ
- আপডেট টাইম : ০৮:০৪:১৮ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৫৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
পটুয়াখালী জেলা গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ানের কল্যান কলস গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের কালিবাড়ী বাজার দুইটি কীটনাশকের দোকান থেকে চাঁদা দাবি করায় এবং মিথ্যা হয়রানি করার কারনে ভুক্তভোগী দুই দোকান মালিক ১. আব্দুল হালিম ২. ইমরান আকন অভিযোগ করেন গণমাধ্যমের কাছে।এবং এ বিষয়ে গলাচিপা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী আব্দুল হালিম মিয়ার ছেলে মোঃ ফাইজুর রহমান শুভ।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী আব্দুল হালিম মিয়া জানান পলাশ হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি আমাদের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে এসে ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধির পরিচয় দিয়ে আমার রেকে থাকা বিভিন্ন কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক হাতাহাতি করে।এবং আমার দোকানের পিছনে নিজের জমিতে প্রয়োগের জন্য ১৫ কেজি ইউরিয়া ও ১২ কেজি টিএসপি সার বস্তায় থাকা অবস্থায় ছবি ও ভিডিও করতে শুরু করেন।এবং আমাকে প্রশ্ন করেন আপনি কি সার বিক্রয় করেন ? তখন তার প্রশ্নের উত্তরে আমি বলি কোম্পানির সার বিক্রয় করি।এটা যে কেউ করতে পারে কীটনাশক লাইসেন্স থাকলে।তখন ঐ ব্যক্তি তার হাতে থাকা মোবাইলের ক্যামেরা বন্ধ করে আমাকে বলেন সার বিক্রয় করতে হলে আমাকে ম্যানেজ করে করতে হবে।আমি আপনাদের ডিস্টার্ব করবো না আপনি ইচ্ছেমতো রাসায়নিক সার বিক্রি করতে পারেন এর জন্য আমাকে প্রত্যেক মাসে ২০০০ টাকা করে দিতে হবে আমি সাংবাদিক যেহেতু আপনাদের খুচরা সার বিক্রয়ের লাইসেন্স নেই।নয়তো আপনার দোকানের কীটনাশক লাইসেন্স ও বাতিল করে দিব আমি।তখন সাথে সাথে আমার ছেলে মোঃ ফাইজুর রহমান শুভকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘটনাটি জানাই যেহেতু আমার ছেলে একজন সাংবাদিক।তখন আমার ছেলে আমার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই সাংবাদিক পরিচয় দেয়া লোকটির সাথে কথা বলেন।কথা বলার কিছুক্ষণ পরে আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে একটু দূরে গিয়ে আমাদের ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল বশার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার কে ঘটনাটি মিথ্যে ভাবে উপস্থাপন করে পলাশ হাওলাদার।পরবর্তীতে পলাশ হাওলাদার আমাকে বলেন আপনার ছেলে মোটরসাইকেলের তেল খরচের জন্য ২০০০ টাকা দিতে বলছে।তখন আমি ও আমার ভাইয়ের ছেলে ইমরান আকন, পলাশ হাওলাদারের কথায় বিশ্বাস করে তাকে ২০০০ টাকা দেই।এর পরেই আমার ছেলে মোঃ ফাইজুর রহমান শুভ আমার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানতে চায় তারা কোথায় তখন আমি বলি তুমি তো টাকা দিতে বলছ আমি দিয়েছি তারা চলে গেছে।তখন শুভ আমাকে বলে কিসের টাকা আমি কোন টাকা দিতে বলিনি আমার ফোনের লাইনটা কেটে দেওয়া হয়েছে।তখন আমি বুঝতে পারি আমি প্রতারণা শিকার।
এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগকারী মোঃ ফাইজুর রহমান শুভ আমাদেরকে বলেন।সাংবাদিক পরিচয় দানকারী পলাশ হাওলাদারের রেখে যাওয়া একটি ভিজিটিং কার্ডের নম্বরে ফোন দিয়ে জানতে চাই।আপনি কিসের টাকা নিয়েছেন কিসের জন্য ? সাংবাদিকের কোন আইনে আছে ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া দোকানের রেকে থাকা পণ্য হাতাহাতি করা আপনার কাছে নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ অথবা কোন প্রমাণ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানাতে পারতেন। তারা যদি আমাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে কোন প্রকাশ অবৈধ কিছু পায় তাহলে আইনগত যে ব্যবস্থা নিবে সেটাই আমরা মেনে নিব।টাকা আনছেন কিসের জন্য ? তখন পলাশ হাওলাদার আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি এবং হুমকি দিতে থাকে।আমিও তার কথার পাল্টা জবাব দেই।এবং তার কাছে জানতে চেয়েছি এটা কোন সাংবাদিকের ভাষা হতে পারে। তখন তিনি আমাকে বিভিন্ন হুমকি সহ ভয় ভীতি দেখাতে শুরু করে।এবং আমার পারিবারিক ব্যাপারে তিনি বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ও আমার বাবাকে নিয়ে গালাগালি শুরু করেন কথিত সাংবাদিক পলাশ হাওলাদার।এজন্য আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ও চাঁদাবাজি করার অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গলাচিপা থানায় অভিযোগ দায়ের করি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুনীল কুমার গাইনের কাছে।
কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল বশার গণমাধ্যমকে জানান।সাংবাদিক পলাশের ফোন পেয়ে আমি আমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে ঘটনাটি অবগত করি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমাকে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যেতে বলে।আমার সাথে থাকা চিকনিকান্দী ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহাগ কে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই।এবং সমস্ত দোকান সার্চ করি সেখানে কোন সরকারি রাসায়নিক সারের অস্তিত্ব মেলেনি।তখন আমি ঘটনাটি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে জানাই তিনি আমাকে নির্দেশ দেন আব্দুল হালিম ও ইমরান আকনের কীটনাশক লাইসেন্সের মূল কপি নিয়ে-০৪-০৯-২৩ইং তারিখে গলাচিপা উপজেলা কৃষি অফিসে তাদের যাওয়ার জন্য।আব্দুল হালিম ও ইমরান আকন ঐ তারিখে গলাচিপা উপজেলা কৃষি অফিসে স্বশরীরে হাজির হন।তাদেরকে প্রাথমিক পর্যায়ে গলাচিপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সতর্ক করে দেন এর বেশি আমার জানা নেই।
ঘটনা স্থলে থাকা স্থানীয়রা জানান কথিত সাংবাদিক পলাশ হাওলাদার প্রায়ই নাকি কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি ও ভয় ভীতি দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা পয়সা নিতো। এই ধরনের হলুদ সংবাদ কর্মীদের কাছ থেকে আমরা নিস্তার চাই।
সরজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায় সাংবাদিক পরিচয় দেয়া পলাশ হাওলাদার ফটোকপি ও ছবি তোলার কাজ করে গলাচিপা উপজেলা ভি,আই,পি রোড এলাকায়।তিনি নিজেকে একাধিক পত্রিকা সহ অনলাইন পোর্টাল এর সাংবাদিক দাবি করেন।তার পরিচয় দেয়া জাতীয় দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকার মফস্বল সম্পাদক মহোদয়ের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন পলাশ নামের গলাচিপা উপজেলায় আমাদের কোন সংবাদকর্মী নেই।আমাদের গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ নেসার।
গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের ( সভাপতি)জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মু. খালিদ হোসেন মিল্টন বলেন কোন চাঁদাবাজ সাংবাদিক হতে পারে না।আর আমি পলাশ হাওলাদার নামের কোন সাংবাদিককে চিনি না তিনি গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের আমাদের সদস্য না।তাই তার ব্যাপারে কোন মন্তব্য নেই আমার।তবে সংবাদ কর্মী নাম ভাঙিয়ে যারা চাঁদাবাজি করে তাদের ব্যাপারে জনগণের সচেতন হওয়া উচিত।এতে করে মূল ধারার গণমাধ্যমের উপর মানুষের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যায় বলে তিনি জানিয়েছেন।