ঢাকা ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে কুশিয়ারার তীরে উদ্ধারকৃত মস্তকবিহীন লাশের দাফন সম্পন্ন  গ্রাহক সেজে সাভার বিআরটিএ কার্যালয়ে দুনীতি দমন কমিশন দুদক অফিসারের অভিযান সাউন্ড থেরাপির উপকারীতা সত্যিই চমকে যাওয়ার মতোই বেক্সিমকো শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ মেংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের নির্বাচন বানচালে সক্রিয় আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন হুমকি দেওয়া বিমানের সেই ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে সুখবর কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ০২ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আটক মোংলায় জমি জমার বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৩ কালিয়াকৈরে উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত

কালিয়াকৈরে আদালতের নির্দেশনা অমান্য, স্থাপনা নিমার্ণের অভিযোগ।

মোঃদুলাল আহমেদ( দোলন) কালিয়াকৈর উপজেলা প্রতিনিধি।
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৫১ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কালিয়াকৈর থানায় পৃথক পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার সিনাবহ এলাকার দেওয়ান মোঃ শাহ আলম সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার সোলায়মান মিয়া গং একই জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। ওই জমির মালিকানা দাবি করে গাজীপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন দেওয়ান মোঃ শাহ আলম গং। কিন্তু তারপরও সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করছেন প্রতিপক্ষ সোলাইমান ও তার লোকজন। পরে দেওয়ান শাহ আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে সেখানে ১৪৫ ধারা নির্দেশনা জারি করেন আদালত। কিন্তু ওই নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিপক্ষ সোলাইমান ও তাদের লোকজন সেখানে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় দেওয়ান শাহ আলম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে মৌচাক ফাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করেন। কিন্তু একদিন পরেই প্রতিপক্ষ আবারও সেখানে নির্মাণ কাজ চালু করে। এরপর শাহ আলম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আরেকটি অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় গত ১৭ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গত ২০ জুলাই দেওয়ান শাহ আলম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
ওই জমির দাবীদার দেওয়ান মোঃ শাহ আলম জানান, তিনি বলিয়াদীর জমিদার চৌধুরী তানভীর আহাম্মদ সিদ্দিকীর নিকট থেকে আমমোক্তার নামা দলিল মুলে মালিক হয়ে ভোগ দখলে আছি। কিন্তু পর্যাপ্ত কাগজপত্র ছাড়াই ও আদালতের নিদের্শনা অমান্য করে তৃতীয় পক্ষ সোলাইমান ওই জমি দাবী করে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণ করছেন।
অভিযুক্ত সোলায়মান মিয়া জানান, এটা আমার পিতার ক্রয়কৃত সম্পত্তি। পৈতৃক ওয়ারিশ হিসেবে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে কাজ করতেছি। তবে আমরা শাহ আলম মিয়ার জমি জবর-দখল করে কাজ করছি না।
এব্যাপারে মৌচাক ফাড়ি পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক বিবাদী পক্ষকে কাজ বন্ধ রাখার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে আবার কেউ সেখানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কিনা? এটা আমাদের জানা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ওই জমির কাগজপত্রসহ দু-পক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কালিয়াকৈরে আদালতের নির্দেশনা অমান্য, স্থাপনা নিমার্ণের অভিযোগ।

আপডেট টাইম : ০৪:৪০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কালিয়াকৈর থানায় পৃথক পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার সিনাবহ এলাকার দেওয়ান মোঃ শাহ আলম সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার সোলায়মান মিয়া গং একই জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। ওই জমির মালিকানা দাবি করে গাজীপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন দেওয়ান মোঃ শাহ আলম গং। কিন্তু তারপরও সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করছেন প্রতিপক্ষ সোলাইমান ও তার লোকজন। পরে দেওয়ান শাহ আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে সেখানে ১৪৫ ধারা নির্দেশনা জারি করেন আদালত। কিন্তু ওই নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিপক্ষ সোলাইমান ও তাদের লোকজন সেখানে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় দেওয়ান শাহ আলম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে মৌচাক ফাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করেন। কিন্তু একদিন পরেই প্রতিপক্ষ আবারও সেখানে নির্মাণ কাজ চালু করে। এরপর শাহ আলম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আরেকটি অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় গত ১৭ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গত ২০ জুলাই দেওয়ান শাহ আলম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
ওই জমির দাবীদার দেওয়ান মোঃ শাহ আলম জানান, তিনি বলিয়াদীর জমিদার চৌধুরী তানভীর আহাম্মদ সিদ্দিকীর নিকট থেকে আমমোক্তার নামা দলিল মুলে মালিক হয়ে ভোগ দখলে আছি। কিন্তু পর্যাপ্ত কাগজপত্র ছাড়াই ও আদালতের নিদের্শনা অমান্য করে তৃতীয় পক্ষ সোলাইমান ওই জমি দাবী করে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণ করছেন।
অভিযুক্ত সোলায়মান মিয়া জানান, এটা আমার পিতার ক্রয়কৃত সম্পত্তি। পৈতৃক ওয়ারিশ হিসেবে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে কাজ করতেছি। তবে আমরা শাহ আলম মিয়ার জমি জবর-দখল করে কাজ করছি না।
এব্যাপারে মৌচাক ফাড়ি পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক বিবাদী পক্ষকে কাজ বন্ধ রাখার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে আবার কেউ সেখানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কিনা? এটা আমাদের জানা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ওই জমির কাগজপত্রসহ দু-পক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।