কিশোরগঞ্জে সদরে উত্তর নন্দলা রাস্তা পাকা না করায় ধানের চারা রোপন
- আপডেট টাইম : ১১:৫১:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০২৩
- / ৩০৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
কিশোরগঞ্জ সদরের চৌদ্দশত ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর নান্দলা গ্রাম। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্য গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি আঞ্চলিক সড়ক থেকে শুরু হয়ে উত্তর নান্দলা গ্রামের ভেতর দিয়ে গেছে। রাস্তাটি বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা পাকা করার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কাঁচা রাস্তা আর পাকা হয়নি। সীমাহীন দুর্ভোগ আর কষ্টে রাস্তাটি দিয়ে বছরের পর বছর চলাচল করছেন গ্রামের লোকজন।
যানবাহন তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে পার হওয়ারও উপায় নেই এ রাস্তায়। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে রাস্তাটি যেন জমিতে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে খেপেছেন গ্রামের যুবকরা। দীর্ঘদিনেও পাকা না হওয়ার প্রতিবাদ হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে অভিনব কায়দা। গত ২ জুলাই রাস্তাটি কাদামাটিতে ধানের গাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন উত্তর নান্দলা গ্রামের যুবকরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এসবের ভিডিও ও ছবি দিয়ে সমস্যা সমাধানে দাবি জানিয়েছেন। গ্রামবাসীদের থেকে জানা যায়, দরবারপুর, নান্দলা, জিনারাইল, হিম্ম বতকিলা, চৌদ্দশত নয়াবাজার এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তাটি গ্রামের ভেতর দিয়ে চলে গেছে। কিন্তু বিভিন্ন নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা রাস্তাটি পাকা করার আশ্বাস দিয়েছেন, তবে তারা সেটি করেননি। গ্রামের লোকজন সীমাহীন দুর্ভোগ নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছেন। বর্ষা এলে বৃষ্টিতে দুর্ভোগ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। উত্তর নান্দলা গ্রামের মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ছোট থেকে বড় হয়েছি, কিন্তু রাস্তাটি কাঁচা থেকে আর পাকা করতে দেখিনি। এমনকি কেউ রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। আমরা গ্রামবাসী এ দুর্ভোগ লাঘবের জন্য সরকারের কাছে রাস্তা পাকা করার দাবি জানাচ্ছি। চৌদ্দশত ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, এটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। তাছাড়া রাস্তাটি পাকা করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রামের যুবকরা রাস্তায় ধানের গাছ লাগিয়েছে বিষয়টি আমিও শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলছি। তাছাড়া এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদেরও সহযোগিতা কামনা করছি। এদিকে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার হলে সেটিও করবেন বলে জানান।