হোমনায় যুবলীগ নেতা উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ
- আপডেট টাইম : ০২:৪৯:৩৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩
- / ১২১ ৫০০০.০ বার পাঠক
কুমিল্লার হোমনায় মো. জয়নাল আবেদীন(৪০) নামে এক যুবলীগ নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় যুবলীগ নেতা সহ ২ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় হোমনা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এস আই ইকবাল মনিরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনে দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন গ্রামবাসি।
জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকালে উপজেলার মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের মহিষমারি গ্রামের চকের বাড়ির মোড়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত যুবলীগ নেতা মো. জয়নাল আবেদীন মহিষমারি গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে ও মাথাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। অপর জন একই গ্রামের করিম মিয়া ওরফে করু মিয়ার ছেলে মো. ফারুক মিয়া। এ ঘটনায় ১২ জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার বিকালে যুবলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন মোল্লা হোমনা থেকে বাড়ি ফেরার পথে মহিষমারী গ্রামের চকের বাড়ির তিন রাস্তার মোড়ে পৌছলে প্রবাসি আবুল হোসেন নেতৃত্বে তোফাজ্জল হোসেন, বাবুল মিয়া,তকির হোসেন সহ ১০/১২ জন তার উপর হামলা চালায় এবং কিল ঘুষি মেরে আহত করে। এবং তার সঙ্গে থাকা নগদ ৯ লাখ টাকাসহ টাকার ব্যাগ ছিনাইয়া নিয়ে যায়।পরে লোকজন আগাইয়া আসিলে তাকে ফেলে রেখে তার সমর্থক করিমের বাড়িতে গিয়ে করিমকে না পেয়ে তার ছেলে ফারুক মিয়াকে মারধর করে এবং বাড়িঘর ভাংচুর করে। এ সময় কোরবানির জন্য জমানো ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এতে বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা করিম এর স্ত্রী সাথী স্বপ্না বেগমকে ও মারধর করেএবং শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় তার গলা থেকে ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে হোমনা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি কারায়। পরে ফারুক বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামী করে হোমনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে মো. বাবুল মিয়া মুঠোফোনে যুবলীগ নেতাকে মারধরের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, রমজানের ঈদের সময় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে জয়নাল মোল্লা ও তার সহযোগীরা আমার ভাতিজা তকির হোসেন কে বেধরক মারধর করে। থানায় অভিযোগ হলেও কোন বিচার পাই নাই। আমি ফোনে জয়নালের নিকট মারামারির ঘটনা জানতে চাইলে সে আমার সাথে খারাপ আচরন করে একং ২০ লাখ টাকা চাঁদাদাবী করে। বিষয়টি গ্রামের অনেককে জানিয়েছি।
বৃহস্পতিবার বিদেশ থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে জয়নালের সাথে দেখা হলে চাঁদা দাবীর বিষয় জিজ্ঞাসা করতেই সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। তখন রাগ সামালতে না পেরে তাকে কয়েকটি চর থাপ্পর মেরেছি। পরে আমার ভাই ভাতিজার সাথে বাড়ি চলে যাই। পড়ে শোনলাম এ ঘটনার জের ধরে ওমর ফারুকের বাড়িতে হামলা করেছে এবং তার স্ত্রী শিখা আক্তার কেও মারধর করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেয়া আছে।
এ বিষয়ে এস আই ইকবাল মনির জানান,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কিলঘুষির ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। ওসি স্যার ছুটিতে আছে। আসলে তিনি সিদ্ধান্ত নিবেন।
হোমনা থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম। যুবলীগ নেতাকে মারপিট করা হয়েছে বলে শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় কিরঘুষি ৩২৩ ধারার অপরাধ। এ বিষয়ে দুইপক্ষই অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।