ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১ ফুলবাড়ীতে মহান মে দিবস পালিত মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন

দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন আদিবাসীরা

নওগাঁর মহাদেবপুরে ‘সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পে’র আওতায় নানান সুবিধা পেয়ে এখন দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন আদিবাসীরা। প্রকল্পের আওতায় আয়বর্ধক নানান পশুপাখি পেয়ে সেগুলো লালন পালন করছেন মমতায়। এ থেকেই একদিন আসবে পুরো পরিবারের স্বচ্ছলতা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আব্দুল মালেক জানান, প্রকল্পের আওতায় জরিপে এই উপজেলার মোট তিন হাজার আটশ’ ৮৬ ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী পরিবারকে পূণর্বাসনযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এরমধ্যে প্রথম পর্যায়ে তিন হাজার একশ’ ১০টি পরিবারকে পূণর্বাসন করার লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়। ইতিমধ্যেই এক হাজার নয়শ’ ৫টি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে পূণর্বাসিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৮১ পরিবারের মধ্যে একটি করে বোকনা বাছুর, বাছুর রাখার ঘর তৈরির উপকরণ, দানাদার খাদ্য প্রভৃতি, ৬৮৬ পরিবারের মধ্যে ২টি করে ভেড়া, ভেড়া রাখার ঘর তৈরির উপকরণ, দানাদার খাদ্য প্রভৃতি, ৮৫৭ পরিবারের মধ্যে ২০টি করে হাঁস, হাঁস রাখার ঘর তৈরির উপকরণ প্রভৃতি এবং ১৮১ পরিবারের মধ্যে একটি করে ষাঁড় বাছুর, বাছুর রাখার ঘর তৈরির উপকরণ প্রভৃতি বিতরণ করা হয়।
সবশেষ গত মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে ১৮১ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয় ষাঁড় বাছুর। উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব বিতরণ উদ্বোধন করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া রহমান পলি, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, ভেটেরিনারী সার্জন ডা: আল আমিন তাং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরআগে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ষাঁড় গরু নিতে আসা আদিবাসীরা জানান, তারা বিনামূল্যে এসব পেয়ে দারুন খুশি। এসব লালন পালন করে আগামী দিনে স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন তারা। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে এলাকার আদিবাসীদের জীবন মানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে এমনটাই ভাবছেন স্থানীয়রা।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত

দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন আদিবাসীরা

আপডেট টাইম : ০৩:০৫:০৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

নওগাঁর মহাদেবপুরে ‘সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পে’র আওতায় নানান সুবিধা পেয়ে এখন দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন আদিবাসীরা। প্রকল্পের আওতায় আয়বর্ধক নানান পশুপাখি পেয়ে সেগুলো লালন পালন করছেন মমতায়। এ থেকেই একদিন আসবে পুরো পরিবারের স্বচ্ছলতা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আব্দুল মালেক জানান, প্রকল্পের আওতায় জরিপে এই উপজেলার মোট তিন হাজার আটশ’ ৮৬ ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী পরিবারকে পূণর্বাসনযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এরমধ্যে প্রথম পর্যায়ে তিন হাজার একশ’ ১০টি পরিবারকে পূণর্বাসন করার লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়। ইতিমধ্যেই এক হাজার নয়শ’ ৫টি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে পূণর্বাসিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৮১ পরিবারের মধ্যে একটি করে বোকনা বাছুর, বাছুর রাখার ঘর তৈরির উপকরণ, দানাদার খাদ্য প্রভৃতি, ৬৮৬ পরিবারের মধ্যে ২টি করে ভেড়া, ভেড়া রাখার ঘর তৈরির উপকরণ, দানাদার খাদ্য প্রভৃতি, ৮৫৭ পরিবারের মধ্যে ২০টি করে হাঁস, হাঁস রাখার ঘর তৈরির উপকরণ প্রভৃতি এবং ১৮১ পরিবারের মধ্যে একটি করে ষাঁড় বাছুর, বাছুর রাখার ঘর তৈরির উপকরণ প্রভৃতি বিতরণ করা হয়।
সবশেষ গত মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে ১৮১ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয় ষাঁড় বাছুর। উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব বিতরণ উদ্বোধন করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া রহমান পলি, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, ভেটেরিনারী সার্জন ডা: আল আমিন তাং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরআগে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ষাঁড় গরু নিতে আসা আদিবাসীরা জানান, তারা বিনামূল্যে এসব পেয়ে দারুন খুশি। এসব লালন পালন করে আগামী দিনে স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন তারা। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে এলাকার আদিবাসীদের জীবন মানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে এমনটাই ভাবছেন স্থানীয়রা।