ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মঠবাড়িয়ায় অন্তঃস্বত্ত নারীর পেটে লাথি দিয়ে গর্ভের সন্তান হত্যা প্রতিবাদে মানববন্ধন উজিরপুরে প্রথম ভূমি অপরাধ প্রতিকার ও প্রতিরোধ আইনে দুজন গ্রেপ্তার মুমিনের পরিচয় ও গুণাবলি। দুধরচকী হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ইসরায়েলে বোমা পাঠানো স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভোটকেন্দ্রে ২ পুলিশকে পেটাল প্রার্থীর সমর্থকরা জামালপুরে নিরাপদ বিষমুক্ত কচুর লতির চাষ বাড়ছে মনোহরদীতে মডেল মসজিদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল প্রায় ৫ লাখ টাকা ভোটের আগে বারুইপুর জেলা পুলিশের বড় সাফল্য, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার কলেজ পড়ুয়া জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে হাজী মো: মকবুল হোসেনের বিশাল জনসভা

আখাউড়ায় সরকারি গাছ কর্তন, নেয়া হয়নি অনুমতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় গত বুধবার (২২ মার্চ) টেন্ডার ছাড়া পোস্ট অফিসের ৫টি সরকারি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে পোস্ট মাস্টার আজহার উদ্দিনের বিরুদ্ধে। সরকারি গাছ কাটার জন্য অনুমতি প্রয়োজন কিন্তু তিনি তা করেন নি। গাছের পরিমাপ, মূল্য নির্ধারণ এবং সরকারি অনুমতি না নিয়েই তিনি এসব মূল্যবান গাছ কেটেছেন।

জানা যায়, আখাউড়া পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র সড়ক বাজারে পোস্ট অফিসের একতলা ভবন রয়েছে। পোস্ট অফিস চত্বরে বেশ কিছু ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে। পোস্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন এসব গাছ থেকে ৫টি গাছ কর্তন করেছেন। এর মধ্যে একটি গাছের গুড়ি থেকে বাকি গাছগুলো কাণ্ডের ওপরের অর্ধাংশ ডালপালাসহ কেটে ফেলেছেন। গাছ কাটার জন্য পোস্ট অফিস বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় বন বিভাগের কোনো অনুমতি নেয়নি পোস্ট মাস্টার।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, পোস্ট অফিসের সামনের খোলা জায়গায় গাছের কাণ্ড ও ডালপালা রাখা হয়েছে।

গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পোস্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, গাছের ডালপালা বিদ্যুতের তারে পড়েছিল, এ জন্য কেটে দিয়েছি। গাছ কাটার বিষয়ে বিভাগীয় অনুমতি রয়েছে। তবে তিনি লিখিত কোনো অনুমতি দেখাতে পারেননি।

উপজেলা বন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে পোস্ট অফিসের কোনো চিঠি পাইনি। বিষয়টি আমি অবগত নই।

আখাউড়া উপজেলার সাবেক বন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, গাছ কাটতে হলে বন বিভাগকে অবগত করা হলে তারপর মূল্য নির্ধারণ করা হয়। তারপর কমিটি নিলাম দেওয়ার পর প্রাপ্ত ব্যক্তি গাছ কাটবেন। এটাই নিয়ম।

ডাক বিভাগের কুমিল্লা ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল (ডিপিএমজি) মোজাম্মেল হক বলেন, বৃষ্টির পানি যাতে ছাদে না পড়ে সে জন্য গাছের ডালপালা ছেঁটে দেওয়ার নির্দেশনা আছে। তবে গাছ কাটার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য কসবা পোস্ট মাস্টারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

মঠবাড়িয়ায় অন্তঃস্বত্ত নারীর পেটে লাথি দিয়ে গর্ভের সন্তান হত্যা প্রতিবাদে মানববন্ধন

আখাউড়ায় সরকারি গাছ কর্তন, নেয়া হয়নি অনুমতি

আপডেট টাইম : ০১:০৮:১০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় গত বুধবার (২২ মার্চ) টেন্ডার ছাড়া পোস্ট অফিসের ৫টি সরকারি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে পোস্ট মাস্টার আজহার উদ্দিনের বিরুদ্ধে। সরকারি গাছ কাটার জন্য অনুমতি প্রয়োজন কিন্তু তিনি তা করেন নি। গাছের পরিমাপ, মূল্য নির্ধারণ এবং সরকারি অনুমতি না নিয়েই তিনি এসব মূল্যবান গাছ কেটেছেন।

জানা যায়, আখাউড়া পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র সড়ক বাজারে পোস্ট অফিসের একতলা ভবন রয়েছে। পোস্ট অফিস চত্বরে বেশ কিছু ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে। পোস্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন এসব গাছ থেকে ৫টি গাছ কর্তন করেছেন। এর মধ্যে একটি গাছের গুড়ি থেকে বাকি গাছগুলো কাণ্ডের ওপরের অর্ধাংশ ডালপালাসহ কেটে ফেলেছেন। গাছ কাটার জন্য পোস্ট অফিস বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় বন বিভাগের কোনো অনুমতি নেয়নি পোস্ট মাস্টার।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, পোস্ট অফিসের সামনের খোলা জায়গায় গাছের কাণ্ড ও ডালপালা রাখা হয়েছে।

গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পোস্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, গাছের ডালপালা বিদ্যুতের তারে পড়েছিল, এ জন্য কেটে দিয়েছি। গাছ কাটার বিষয়ে বিভাগীয় অনুমতি রয়েছে। তবে তিনি লিখিত কোনো অনুমতি দেখাতে পারেননি।

উপজেলা বন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে পোস্ট অফিসের কোনো চিঠি পাইনি। বিষয়টি আমি অবগত নই।

আখাউড়া উপজেলার সাবেক বন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, গাছ কাটতে হলে বন বিভাগকে অবগত করা হলে তারপর মূল্য নির্ধারণ করা হয়। তারপর কমিটি নিলাম দেওয়ার পর প্রাপ্ত ব্যক্তি গাছ কাটবেন। এটাই নিয়ম।

ডাক বিভাগের কুমিল্লা ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল (ডিপিএমজি) মোজাম্মেল হক বলেন, বৃষ্টির পানি যাতে ছাদে না পড়ে সে জন্য গাছের ডালপালা ছেঁটে দেওয়ার নির্দেশনা আছে। তবে গাছ কাটার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য কসবা পোস্ট মাস্টারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।