হয়রানীমূলক মামলা দিয়ে বাড়ীয়াতে সরকারী প্রকল্প বন্ধের পায়তারা, নেপথ্যে ৩ দালাল সাংবাদিক সিন্ডিকেট
- আপডেট টাইম : ০৪:০০:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩
- / ২২০ ৫০০০.০ বার পাঠক
গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়ীয়া ইউনিয়নে সরকারী একটি প্রকল্পের কাজকে ঘিরে বেশ কয়েকদিন ধরে নানা ধরনের হয়রানীমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে প্রকল্পটি বন্ধের পায়তারা করছে একটি চিহ্নিত মহল। এলাকায় মাদক কারবারী হিসেবে পরিচিত জনৈক নুরুদ্দিন নূরুর নেতৃত্বে স্থানীয় বাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এ কাজে ইন্ধন যোগাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রকল্পটি যাতে আলোর মুখ দেখতে না পারে এবং চেয়ারম্যান যাতে বিতর্কিত হয় – এ জন্যই ওই মহলটি উঠেপড়ে লেগেছে বলে জানিয়েছেন বাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খান।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বাড়িয়া ইউনিয়নের রোশাদিয়াতে চিলনী রোশাদিয়া রাস্তায় সরকারী প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজের সময় ইউপি সদস্য ও প্রকল্পের সভাপতি মোঃ মাইদুল হককে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা হামলা করে মারাতœকভাবে আহত করে। এ ঘটনায় আরো প্রায় ১০ জনকে আহত করেছে সন্ত্রারী । এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্বার করে শহীদ তাজদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
জানা যায়, বাড়ীয়া ইউনিয়নের কতিপয় প্রভাবশালী ও উচ্ছৃখল লোকের বাধার মুখেও রাস্তাটির কাজ চলমান ছিল । বিভিন্নসময় নির্মান কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে তারা দলবলে মেন্বার মাইদুলকে মেরে আহত করে। সরকারী প্রকল্পের উন্নয়ন কাজে মাইদুল হক সভাপতি থাকায় স্থানীয় একটি পক্ষ এ রাস্তার বিপক্ষে কাজ করে। তারা স্থানীয় চেয়ারম্যানের নির্বাচনী ইস্যুকে কেন্দ্র করে এ রাস্তার বিরোধিতা করে আসছে। বর্তমান অর্থবছরে কাবিখা প্রকল্পে বাড়িয়া ইউনিয়নে চিলনী রোশাদিয়া মাটি ভরাট প্রকল্প রাস্তা নির্মানের জন্য ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন জেলা প্রশাসন। ইতি মধ্যে প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে । এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চিলনী ও রোশাদিয়ার মানুষ সহজে কুমুন ও গাজীপুর জেলা সদরের সাথে সহজে যোগায়োগ করতে পারবে আর দুরত্ব কমবে প্রায় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার। স্থানীয় মোঃ নুরু উদ্দিন, মোঃ কামাল উদ্দিন, মোঃ খোরশেদ আলম, মোঃ রাসেলসহ এলাকার কিছু চিহ্নিত মাদক কারবারীরা উক্ত প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছিল। তাদের এ কাজে নেপথ্য থেকে ইন্ধন যোগাচ্ছে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানে সাথে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম এবং কয়েকজন চিহ্নিত মিডিয়া কর্মী। এ তথ্য জানিয়েছেন স্বয়ং চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান নিজেই । তিনি জানান, আমার উন্নয়ন কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার প্রতিপক্ষরা আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাকে মামলায় জড়িয়েছে। এ কাজে তাদেরকে সহযোগিতা করেছে কয়েকজন মিডিয়াকর্মী । তারা আমার কাছে অনৈতিক কিছু দাবী করেছিল যা আমি পূরন করিনি। এ কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমার প্রতিপক্ষের সাথে হাত মিলিয়ে সরকারী একটি প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। গত বৃহস্পতিবার সদর থানার ইউএনও এর উপস্থিতিতে উক্ত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমার প্রতিপক্ষ লোকদেরকে নানা ধরনের উস্কানী দিতে থাকে । এক পর্যায়ে তারা উক্ত প্রকল্পের সভাপতি , ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ মাইদুল হককে মেরে মারাতœকভাবে আহত করেছে। এসময় স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত সাংবাদিকদেরকে ধাওয়া করলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে । পরে তারা নিজেরা আহত হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রপাগান্ডা ছড়ায়। চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান আরো জানান, উক্ত সাংবাদিকরা শুধু এ প্রকল্পই নয়, ইতিপূর্বে বিভিন্ন কুকর্ম ও অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করার কারনে একটি জুয়ার আসরেও গনপিটুনীর শিকার হয়েছিল, যা জেলায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তিনজন সাংবাদিকের এ গ্রæপটি আমার কাছেও একাধিকবার নানা অনৈতিক সুযোগ ও অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেছিল । আমি তাদেরকে কোন অনৈতিক সুযোগ না দেবার কারনে তারা আমার বিরোধিতা করে আসছে ।
ইতি পুর্বে মোঃ নুরে আলম রতন এলাকার উন্নয়নের দিক লক্ষ করে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে উন্নয়ন কাজ চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানিয়েছিল। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে গাজীপুরের জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি সরকারী টিম এলাকাটি পরিদর্শন করেন এবং প্রকল্পটি পূনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন।