ঢাকা ১০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

হোমনায় অভিযোগ উঠেছে ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের

নিজস্ব প্রতিনিধি কুমিল্লা:
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
  • / ২২০ ১৫০.০০০ বার পাঠক

কুমিল্লার হোমনায় এক ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি নতুন বাজারে অবস্থিত মেসার্স ন্যাশনাল ব্রিকস এর মালিক মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে স্বল্পমূলে কাঁচা ইট বিক্রি নামে গ্রাহকের নিকট থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে ইট না দিয়ে টাকা আত্মসাতের এ অভিযোগ উঠে।

সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, মেসার্স ন্যাশনাল ব্রিকস এর প্রথম নাম ছিলো মোবারক ব্রিকস, জনবসতি এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি না পাওয়ায় এর নাম পরিবর্তন করে জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মেসার্স ন্যাশনাল ব্রিকস নামে এ অবৈধ ব্রিক ফিল্ড চালিয়ে আসছে। যার কোন বৈধ লাইসেন্স নেই।
ভুক্তভোগীরা জানান, মেসার্স ন্যাশনাল ব্রিকসের মালিক মো. কামরুল কামরুজ্জামান একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে ইট দেবার লোভ দেখিয়ে স্থানীয় প্রবাসী, চাকরীজিবী ও স্বল্পআয়ের শতাধিক গ্রাহকের নিকট থেকে ব্রিক ফিল্ডের রশিদ, খালি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা গ্রহন করে। কিন্ত সময় মত গ্রাহকরা ইট বা টাকা কিছুই পাচ্ছে না। বিভিন্ন কৌশলে গ্রাহকদের হয়রানি সহ মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে আসছে।

বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান,ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে মো.কামরুজ্জামান প্রভাবশালী হওয়ায় ভুক্তভোগীরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানাগেছে, মো. কামরুজ্জামান নয়াকান্দি গ্রামের মো. হাসানেরর নিকট থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার ,নয়াকান্দি মুন্সিবাড়ি সমাজ কল্যাণ সমিতি থেকে ৬ লক্ষ টাকা, চন্ডিরচর গ্রামে আঃ মান্নানের নিকট থেকে দুই দফায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা,নয়াকান্দি গ্রামের হালিমের নিকট থেকে ৬ লক্ষ টাকা সহ শতাধিক গ্রাহকের নিকট থেকে কাঁচা ইট পুড়িয়ে ১ নং ইট দেবার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্ত এখন গ্রাহকরা টাকা বা ইট কিছুই পাচ্ছে না।

উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামের মো. হাসান জানান, ৫৮৩৩০টি ইট দেয়ার কথা বলে আমার নিকট থেকে রশিদের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন। কিন্ত এথন সে ইট ও দিচ্ছে না টাকাও দিচ্ছে না। এ বিষয়ে হোমনা থানায় অভিযোগ দায়ের করিলে সে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মিথ্যা মামলার হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে ইটভাটার মালিক মো. কামরুজ্জামান মুঠোফোনে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে জানান, করোনা কালীন সময় ইট পুড়াতে পারিনি তাই সমস্যা হয়েছে,নতুন করে ইট পুড়িয়ে গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ করা হবে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছাদেক সরকার জানান,মো. কারুজ্জানের বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ কিন্ত সে বৈঠকে বসে না গ্রাহকের পাওনাও পরিশোধ করছে না। এ নিয়ে এলাকা উত্তপ্ত। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে অবহিত করেয়েছি।

হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন অভিযোগ পেয়েছি। কিছু টাকা ও ইট উদ্ধার করেছি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হোমনায় অভিযোগ উঠেছে ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের

আপডেট টাইম : ০৯:১৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

কুমিল্লার হোমনায় এক ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি নতুন বাজারে অবস্থিত মেসার্স ন্যাশনাল ব্রিকস এর মালিক মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে স্বল্পমূলে কাঁচা ইট বিক্রি নামে গ্রাহকের নিকট থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে ইট না দিয়ে টাকা আত্মসাতের এ অভিযোগ উঠে।

সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, মেসার্স ন্যাশনাল ব্রিকস এর প্রথম নাম ছিলো মোবারক ব্রিকস, জনবসতি এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি না পাওয়ায় এর নাম পরিবর্তন করে জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মেসার্স ন্যাশনাল ব্রিকস নামে এ অবৈধ ব্রিক ফিল্ড চালিয়ে আসছে। যার কোন বৈধ লাইসেন্স নেই।
ভুক্তভোগীরা জানান, মেসার্স ন্যাশনাল ব্রিকসের মালিক মো. কামরুল কামরুজ্জামান একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে ইট দেবার লোভ দেখিয়ে স্থানীয় প্রবাসী, চাকরীজিবী ও স্বল্পআয়ের শতাধিক গ্রাহকের নিকট থেকে ব্রিক ফিল্ডের রশিদ, খালি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা গ্রহন করে। কিন্ত সময় মত গ্রাহকরা ইট বা টাকা কিছুই পাচ্ছে না। বিভিন্ন কৌশলে গ্রাহকদের হয়রানি সহ মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে আসছে।

বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান,ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে মো.কামরুজ্জামান প্রভাবশালী হওয়ায় ভুক্তভোগীরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানাগেছে, মো. কামরুজ্জামান নয়াকান্দি গ্রামের মো. হাসানেরর নিকট থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার ,নয়াকান্দি মুন্সিবাড়ি সমাজ কল্যাণ সমিতি থেকে ৬ লক্ষ টাকা, চন্ডিরচর গ্রামে আঃ মান্নানের নিকট থেকে দুই দফায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা,নয়াকান্দি গ্রামের হালিমের নিকট থেকে ৬ লক্ষ টাকা সহ শতাধিক গ্রাহকের নিকট থেকে কাঁচা ইট পুড়িয়ে ১ নং ইট দেবার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্ত এখন গ্রাহকরা টাকা বা ইট কিছুই পাচ্ছে না।

উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামের মো. হাসান জানান, ৫৮৩৩০টি ইট দেয়ার কথা বলে আমার নিকট থেকে রশিদের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন। কিন্ত এথন সে ইট ও দিচ্ছে না টাকাও দিচ্ছে না। এ বিষয়ে হোমনা থানায় অভিযোগ দায়ের করিলে সে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মিথ্যা মামলার হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে ইটভাটার মালিক মো. কামরুজ্জামান মুঠোফোনে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে জানান, করোনা কালীন সময় ইট পুড়াতে পারিনি তাই সমস্যা হয়েছে,নতুন করে ইট পুড়িয়ে গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ করা হবে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছাদেক সরকার জানান,মো. কারুজ্জানের বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ কিন্ত সে বৈঠকে বসে না গ্রাহকের পাওনাও পরিশোধ করছে না। এ নিয়ে এলাকা উত্তপ্ত। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে অবহিত করেয়েছি।

হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন অভিযোগ পেয়েছি। কিছু টাকা ও ইট উদ্ধার করেছি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।